“মানুষ চিনতে পারিনি”
সুমিত রঞ্জন সাহা
চিনতে পারেননি বাবা,
বিশ্বাস করেছিলেন –
একমাত্র ভাইকে।
বিনিময়ে সর্বস্বান্ত হয়েছিলেন প্রায়,
পরিবারে নেমে এসেছিল খরা।
চোখের জল ফেলতে দেখেছি বাবাকে।
সত্যিই কি চেনা যায় মানুষকে?
বহমান সময়ের স্রোতে
পরিবর্তিত হয় সবকিছু,
পরিবর্তিত হয় সম্পর্কও।
কাল যে ছিল অন্তরঙ্গ, আজ সে বহুদূরে।
চিনতে পারিনি আমিও।
জীবনের রূদ্র-কঠিন সময়ে
যষ্ঠি ভেবেছিলাম যাকে, ভালোবেসেছিলাম
মন – প্রাণ দিয়ে,
ভরসা করেছিলাম চোখ বুজে,
স্বপ্ন দেখেছিলাম যাকে ঘিরে,
সেও একদিন –
শেষ হয়ে গিয়েছিল
বেঁচে থাকার ইচ্ছাটাই।
আজ পেরিয়ে এসেছি অনেকটা পথ,
পূর্ণ হয়েছে স্মৃতির কলস
তিক্ত – মধুর স্বাদে।
তবু মনে হয় –
মানুষ চিনতে শিখিনি।
নমস্কার, ছবি আপলোড না করলে লেখা সাবমিট করা সম্ভব হচ্ছিল না। তাই বাধ্য হয়ে একটি ছবি আপলোড করতে বাধ্য হলাম। ছবিটি অপ্রয়োজনীয়। অনুগ্রহ করে ছবিটি বাদ দিয়ে লেখাটি প্রকাশিত করবেন।
ধন্যবাদান্তে – সুমিত রঞ্জন সাহা।