হাঁটা হাঁটি
সুদীপ চক্রবর্তী
আমি পথে একলাই চলি ,
সবার সাথে চলতে কেমন সংকোচ বোধ হয় ,
কারুর জন্য জীবনে আজ অব্দি কিছু করিনি ,
তাই কিন্তু , কিন্তু মনে রয় ।
সবার মতোই আমারও সব জিনিসপত্র নাগালের বাইরে ,
অর্ধাঙ্গিনী নেহাতই খুবই ভালো , তাই দু ‘ বেলা খেতে থাকতে দেয় ,
না হলে শেষ হতো এ প্রাণ ভাগাড়ে।
বাড়ির বিড়াল কুকুরের মত থাকি ,
তফাত একটাই ,
ভাত খেতে খেতে জিজ্ঞেস করে আর একটু লাগবে নাকি ?
ছেলে মেয়েরা জিজ্ঞেস করে রোজ এতো কি লেখো ?
রোজকার ঘটনা লিপিবদ্ধ করে রাখি ,
ইতিহাস থেকে শেখো ।
একদিন এই দমবদ্ধ অবস্থা পাল্টে যাবে ,
সবাই সবার সাথে হেসে হেসে কথা বলবে ,
লিপিবদ্ধ ইতিহাস অতীতকে উন্মোচন করবে শেখার জন্য ,
তখন সবার মনে প্রশ্ন জাগবে কে ছিল এই নগন্য ?
কে ছিল এই ঘটনার সাক্ষী ?
ইতিহাস বলবে আমি এই রক্ষা কর্তার রক্ষি ।
সবাই আসবে নিতে একসাথে হাঁটার জন্য ,
অসার দেহের পাশে বসে চিৎকার উঠবে ,
এই আমাদের বিশ্ব বরেন্য।