
“বাস্তব সুপারম্যান”
সংকলনে
সুভাষ চন্দ্র সূত্রধর
বাবা!
সাদা পাতায় যথেচ্ছা লিখনের কলম;
যেন কাটা-পোড়া-ভাঙ্গা-মচকার মলম।
বাবা সেই যার পরিচয়ে প্রথম নিজেকে চেনা,
সর্বস্তরে জয়ী হওয়ার দৃঢ় প্রত্যয় ধ্বনিত সেনা।
বাবা হলো সকল আবদারের নিরাপদ পাত্র,
যেন দায়িত্বশীল শিক্ষকের নির্ভরযোগ্য ছাত্র।
বাবা হলেন পুরোনো ড্রেসের নূতন মনোভাব,
যিনি দেখতে দেননা সন্তানেরে কোনো অভাব।
হাত ঘড়িটা যার হাতেই হয় বৃদ্ধ,
রোজগারে যার ভাগ বসানো আজীবন সিদ্ধ।
যিনি নিজের বেলায় খুব হিসেবি,
সন্তানের বেলায় এক্কেরে বেহিসেবী।
সন্তানের জন্য বিনে পয়সার হোটেল,
বাবার যত্নে গড়া সংসার নামক মোটেল।
সন্তানদের প্রতি বাবাদের একটাই রাগ;
অনুশাসনের চাদরে মোড়ানো অনুরাগ।
বাবা যখন সন্তানের কাছে থাকে,
ধরণীর সর্বসুখ তখন সাথে থাকে।
বাবা হওয়া যত সহজ,
কিন্তু হয়ে উঠা ততই কঠিন।
তাই অপূরণীয় সর্বদাই পিতৃঋণ!
বাবা শিখতে শেখান মাথা করে নিচু,
আর বাঁচতে শেখান মাথা করে উঁচু।
বাবা হলেন রোদ-বৃষ্টিতে মাথার উপর ছাতা,
ধরণীর বুকে নিরাপদ একমাত্র আশ্রয় দাতা।
বাবা হলেন প্রখর রোদে বটবৃক্ষের ছায়া,
যেন ক্লান্ত দেহের একটুখানি প্রশান্তির কায়া।
বাবা হলেন সংসার রাজ্যের রাজা;
পুত্র রাজপুত্র আর কন্যা রাজকন্যা।
বাবা হলো সন্তানের কাছে বাস্তব সুপারম্যান;
যার কাছে সন্তান পায় শত শিক্ষকের জ্ঞান।