স্বীকৃতি
সৌদামিনী শম্পা
জানিস মাঝে মাঝে তোকে বড় দেখতে ইচ্ছে করে।তাইতো তোর নম্বর ডায়াল করে ফেলি অজান্তেই।
জানি সে ফোন ধরবি না কোনোদিন।
আমি তোর ব্লকের খাতায়।
আচ্ছা ব্লক করেছিস কেন? কই আমি তো তোকে ব্লক করিনি।
আসলে ব্লক করতে পারিনি।
বার বার মনে হয়েছে, তুই যখন আমার সঙ্গে কথা বলতে চাস না, তখন আমার কি দরকার হ্যাংলা হবার?
ব্যাপারটা কি বলতো, একবার ভালোবাসলে ঘৃণা করা যায় না।
তবে এখানে কিন্তু একটা মজা আছে! আমি তোকে ব্লক না করলেও কখনো দরকারে পড়ে ফোন করি না।
আসলে যে মানুষটার মনে বা জীবনে কোনোটাতেই জায়গা পাইনি, দরকারে তার কাছে সাহায্য চাইতে আত্মসম্মানে বাধে!
তুই কিন্তু অবলীলায় কোনো সমস্যায় আমাকেই ফোন করে বলিস,” এ কথা তোকে ছাড়া পৃথিবীর কাউকে বলা যায় না”! আমি পাশে থাকি সাধ্যমত।
বন্ধুরা বলে “ব্লক কর”, মাথা বলে, “ব্লক কর”, বুদ্ধি বলে ,”ব্লক কর”! “ও তোকে দরকারে ব্যবহার করছে”!
আমি পারি না! অথবা করি না।
তুই তোর জীবনে আমাকে স্বীকৃতি না দিলেও, তোর সমস্যার সময়গুলোতে আমাকে মনে করিস। আসলে তোর অজান্তেই তুই তোর জীবনে আমাকে স্বীকৃতি দিয়ে ফেলেছিস!