
শারদ স্তুতি
সোহাগ কুমার ঘোষ
সেদিন শুনলাম বরষার গুরু গুরু ডাক
কদম কেয়ারা যৌবনের খেলায় মত্ত প্রায়
পিচ ঢালা রাস্তায়ও হাটু সমান কাঁদা
সবকিছু উপেক্ষা করে চেপেছি হুডতোলা রিক্সায়
তুমি ছাতা নিয়ে দাঁড়িয়ে লেবু গাছটার কোনায়
টিপ টিপ বৃষ্টির মাঝেও সূর্যের দেখা
কালো মেঘেরা পালিয়েছে দূর আকাশের বুকে
ছন গুলো সব বড় হয়েছে হুট করেই
নদী পাড়ের শুভ্রতা কি আকাশের চেয়েও বেশি
বিলের জলের স্বচ্ছতা যেন দর্পণের স্বজাতি
ধানগাছের উপর ফড়িং বসেছে- ওগুলো কিসের পাতা
নলিনী ফুটেছে কিছু-, শরৎ কি তবে এসেই গেছে
বাগানে কি তাল পেকেছে, দেউরী বাড়ি লোক জমেছে
খড় বাশঁ আর মাটির উপর,রং তুলিতে চোখ ফুটেছে
দূর্গা মায়ের বাবার বাড়ি,এখন বুঝি আসবেন তিনি
দুদিন পরে মহালয়া,অনেক বাদে হবে দেখা
তোমার জন্য আনবো কিনে নীল চুরি আর গলার মালা
লাল পাড়ের ওই সাদা শাড়ি পরবে কিন্তু অষ্টমীর সন্ধ্যাবেলা
তোমার পাশে পুকুর পাড়ে বলব যত জমা কথা
কিন্তু বলো কিসের ভয়ে বন্ধ করলে খবর নেওয়া
দূর্গা আসে খড়গ হাতে ভুলে গেলে কিসের লোভে
শিবকে যদি পতি মানে আমার বলো দোষ কি তবে
তোমরা সবে আসুর মিলে ঐশি-শক্তি পায়ে মুড়ে
সুখে থাকবে ক’দিন বলো রূপ যৌবন আর বৈভব নিয়ে
শেষ বেলাতে মুখোশ পরে মানবতার মঞ্চে এসে
ফাঁকা বুলির আকর শেষে লেজ গুটিয়ে পালাও কেন
জবাব দিতে বাধ্য না তাই- বিবাদ কেনো বিশ্বাস বেচে
সাবধন হও কপটচারী ধংস হবে স্বমূলে সব
বিশ্ব জুড়ে শান্তি দিতে মা এসেছেন ধরাধামে।
সোহাগ কুমার ঘোষ
গনিত বিভাগ,জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়
১৫,নারিন্দা রোড,ঢাকা।
২৬ সেপ্টেম্বর,২০২২