
কি যে পেলাম
সিদ্ধেশ্বর হাটুই
একলা আমি বসে আছি খেলার মাঠের – সেই এক কোণে
বিকেল বেলা উদাস মনে চেয়ে গগন পানে …..
অনেক শিশু মাঠের মাঝে খেলছে মনের সুখে,
আমি তবু ভাবছি একা ,মরছি আপন দুঃখে।
জীবনে কি করলাম আমি, ষোলোআনাই ফেল ?
না করেছি পরের জন্য, আর নিজের হয়েছে জেল।
একি কারাগৃহে বন্দি আমি সংসারে হলাম অসার
আকাশ তুমি দাওনা বলে- কি দোষ আছে আমার।
জীবন পথে চলতে গিয়ে সুবিচার আমি পাইনি…..
ললুপের কাছে মাথানত করে আমি তো কিছু চাইনি !
বাতাস তুমি দাওনা এনে একটু সুখের খোঁজ……
পারিনা আর করতে সহ্য, নির্দয় –কঠিন এই বোঝ।
আকাশ-বাতাস বলল হেসে, কি ভাবছিস বোকা…..
জীবনটা তোর দুঃখের হলেও, দিসনি কাউকে ধোঁকা।
মাথাটা তখন মাটির দিকে করে- ভাবলাম মনে মনে
বাকি পথটা কেটে যাবে ঠিক- মানুষের ভালোবাসার টানে।
মাদুর্গা তোমার কেমন বিচার
সিদ্ধেশ্বর হাটুই
মাগো তুমি চলে গেলে , তবু ডাকছি বারংবার
তোমার পায়ে অঞ্জলি দিয়েও -প্রাণ গেল কতজনার।
চারিদিকে দেখো তোমার ঐ অবাধ্য সন্তানের দল
সুরার ব্যাকুলতায় মত্ত হয়ে বিপদে পড়ে , ঝরাচ্ছে চোখের জল।
কত জন মা পৃথিবী ছেড়ে চলে গেল যমালয়ে….
হাসপাতালে দেখলে পারবে বুঝতে , শুয়ে আছে কত ছেলে।
এদের কি তুমি দেখবেনা মা ? পারবেনা ক্ষমা করে -মায়ের কোলে দিতে এনে ?
অসহায় হয়ে তাদের পিতা-মাতারা কাঁদছে বোসে ঘরের কোণে।
যারা গেল চলে… তোমার আগমনে সুরানন্দে মেতে, তরতাজা কত প্রাণ !
মানছি ওরা অবাধ্য, কিন্তু তুমিতো সবার মা …. এরাওতো তোমার দান।
মাগো তুমি আর একটিবার তাকাও আবার ফিরে-
শত আশা তোমায় উপর, বাঁচাও মরণোন্মুখ প্রাণ, ফিরিয়ে দাও ঘরে।
দেখবে মা ওরা পরের বছর করবে নিজেদের শোধন ….
আর দিওনা ওদের যন্ত্রনা, নাও মা করে আপন।