
আঘাত
সিদ্ধেশ্বর হাটুই,
জীবনকে যখন বিষন্নতা পূর্ণগ্রাস করে
স্বপ্নেরা যখন একটু একটু করে,
টুকরো টুকরো হয়ে যায়……………
আশাগুলো বাসার ঠিকানা না পেয়ে কেঁদে মরে !
হায় রে- পোড়া কপাল, বেঁচে থাকা কি অভিশাপ ?
প্রসব যন্ত্রনায় কাঁদে মস্তিস্ক নিভৃতে।
পাগল বাউল মনের একতারাটা আর বাজেনা, থাকে চুপচাপ।
কেন এই অভীষ্ট লক্ষ্য নিয়ে হৃদয়ে গোলাপের কাঁটার আঁচড় ?
আরো আরো আরো আছে পথ বাকি….
আঘাতে আঘাতে জীর্ণ দেহ, মাটিতে লুন্ঠিত,
অনিশ্চিত অপেক্ষার অধিক যন্ত্রনা পৃথিবীতে বিরল
হিংস্রের ক্ষুধাতুর গ্রাসের মুখে সমাজে টিকে থাকা জীবনের এক কঠোর লড়াই।
হিংস্রতা
সিদ্ধেশ্বর হাটুই,
আমিত্বে আছে হিংস্রতা, আমিত্বে আত্ম আভিজাত্য
আমিত্ব ভাবে সকলেই অধম , আমিই তো মহা-উত্তম।
অপরাধ জ্ঞান থাকেনা প্রাণে, চেনেনা আপনজন,
কতিপয় মানুষ থাকে তার পাশে, মহাজন জ্ঞানে সেও অধমের অধম।
নিজ স্বার্থে এরা পারে আমার-আপনার বিরুদ্ধে যেতে,
এরা কনোদিন চায়না কাহারো ভালো, যায়না রক্ত দিতে।
এদের চোখে শকুনির দৃষ্টি, মুখে মধুর হাসি
কুটনিতিতে জীবন চালায় , চায় সবকিছু নিজের করে নিতে।
ও মাস্টার মশাই
সিদ্ধেশ্বর হাটুই,
এক যে ছিল মাস্টার মশাই
পোশাকে তাহার প্রমান।
মুখেতে থাকতো পানের খিলি
চশমাটা ছিল করতালের সমান।
আসত যেত পয়সা পেত
ছাত্র-ছাত্রীরা খেলে বেড়াতো
মাস্টার মশাই ক্লান্ত হয়ে, টেবিলে
মাথা রেখে বেশ ঘুমোতো।
স্বভাবটা তার ছিল বেশ ভারীবদ
চালাকিটাই তার পরিচয়।
গ্রামের মানুষের বিরুদ্ধে যেত,
মানুষের মনে নেই আশ্রয়।
মাস্টার মানে শিক্ষাগুরু
সমাজ শেখে তাকে দেখে,
কিন্তু এই মাস্টারের গোড়ায় গলদ
মাথায় অল্প শিক্ষা রেখে।
নিজেকে ভাবে আমি বিদ্যার-সাগর
কৃষক, মজদুর-শ্রমিক গ্রামবাসীরা নির্ঘাত মাথা মোটা।
উনি নাকি ছিলেন একাই মহান, ধনী বাপের বেটা,
এহেন মাস্টার থাকলে দেখবে অশিক্ষিত হবে দেশটা।