Shamsuddin Harun

সেই মেঘ সেই বৃষ্টি সেই পাথরের কাছেই
শামসুদ্দিন হারুন

আমি মেঘকেই চাইলাম, উড়ুক্কু মেঘ তখনই
এক পশলা বৃষ্টিতে আমায় দিলো ভিজিয়ে
সলাজ হেসে বলে, আমি এখন বড়ো হয়েছি
সূর্য, এখন তুমি আমায় বৃষ্টি বলেই ডেকো।

বৃষ্টির ভেঁজা ঠোঁটে আমি চুমু খাই সংগোপনে।

এরপর কিভাবে যে কেটে গেলো এতোটা সময়
আমি বৃষ্টিকে ডাকি, হঠাৎ করেই শীলা বৃষ্টি…
সেই সাথে ঝড়ো হাওয়া। হিম হিম কণ্ঠ জানায়
তোমার অপেক্ষাতেই বৃষ্টি এখন কঠিন পাথর।

জল ও জলের কণা জমাট বেঁধে হয়েছে শীলা।

আমি পাথরের কান্না শুনেছি, আমি শুনেছি মন্বন্তরের সেই ডাক, অমাবস্যায় দশ দিগন্ত
আমার গেছে ঢেকে। পাহাড়ের কাছে যাই…
পাহাড় আমাকে ঠেলে দেয় বিষুব রেখায়।

আমি স্বপ্নভুক স্বপ্নের উপত্যকার দিকে যাই।

ভালোই হলো, নীল দিগন্তের নীলাকাশ ছুঁয়ে
আমি আবারও মেঘের কাছেই যাবো, এই
মেঘের কাছেই আমি চাইবো নিঘাত প্রেম
মেঘ তখন বৃষ্টি হয়ে আবারও পড়বে ঝরে ।

বৃষ্টির কাছে শিখে নেবো ভালোবাসিবার গান।

শোনো হে সময়ের স্রোত, শোনো হে পাথর সময়
মেঘ তুমি বৃষ্টি হও, বৃষ্টির ঠোঁটে ফের নিগূঢ় চুম্বন
জলীয় বাষ্প জমে গিয়ে হয় যদি শীলা, হোক…
তবুও সেই মেঘ বালিকাকেই আমি বাসি ভালো।

এই অবেলায় যতোই লাগুক প্রবল ভাটার টান।

সেই মেঘ সেই বৃষ্টি সেই পাথুরে শীলার কাছেই
এই আমি রাখবো আমার আমাকেই জমা
আর যা কিছু আমার আছে সবটাই ভেসে যাক
থাকুক, শুধুই থাক্ আমার বিভ্রম অনুপমা।

হে মহান প্রভু দয়া করো, আমাদের করো হে ক্ষমা।

Leave a Comment

Your email address will not be published. Required fields are marked *