শিরোনাম – ” জীবনে উন্নতি করতে গেলে কিছুটা পাগল হতে হয় । ”
কলমে – রতন বসাক
আচ্ছা কেউ কি বলতে পারেন আমরা, কে পাগল নই ? কেউ লেখায় পাগল, কেউ পড়ায় পাগল, কেউ খেলায় পাগল, কেউ গানের জন্য পাগল, কেউ ঘোরার জন্য পাগল, কেউ দেখার জন্য পাগল । এই ভাবে আমাদের সবাই অল্পবিস্তর কিছু না কিছুর প্রতি পাগলামিটা আছে । আসলে পাগলামিটা হচ্ছে কোন কিছুর প্রতি অতিরিক্ত ইন্টারেস্ট । আর এই পাগলামির জন্যই আমরা সেই বস্তুটির পুরোপুরি স্বাদ নিতে পারি । যেটার প্রতি আমাদের আকর্ষণ সবচেয়ে বেশি ।
কোন কিছুর প্রতি পাগলামিটা না থাকলে আমরা সেটার গভীরে যেতে পারি না । কোনকিছু ভালোভাবে জানতে গেলে কিংবা শিখতে গেলে, তার প্রতি একটা পাগলপন থাকার দরকার হয় আমাদের সবার । আর এই পাগলপন এর জন্যই আমাদের নির্দিষ্ট লক্ষ্যে পৌঁছে দেয় । পাগলপন না থাকলে কোনো কিছু শিখতে আমরা অনেকটা কষ্ট পেতাম । কোন কিছু শিখতে গেলে তার মধ্যে একটা কষ্টের ব্যাপার থাকে । আর এই পাগলপনই আমাদের সেই কষ্টটা ভুলিয়ে দেয় ।
পৃথিবীতে সবচেয়ে সুখী মানুষ কে, আপনারা কি কেউ জানেন ? হ্যাঁ আমি মনে করি এই পৃথিবীতে সবচেয়ে সুখী মানুষ কেউ যদি থাকে, সে হলো একজন পাগল । তার না সুখ, না দুঃখ, না চাওয়া, না পাওয়া কোন কিছুই তার থাকে না । তার মন এই সব বাস্তব আকর্ষণের থেকে অনেক দূরে থাকে । তাই তার মনে কোন কষ্টও নেই আবার কোন দুঃখও নেই । সে পেলে খায় না পেলে না খায় । কারো প্রতি কোন হিংসা বিদ্বেষ কিছুই নেই তার । তার মনটা খুবই খোলা ও হালকা থাকে । মনের মধ্যে কোন প্যাচ নেই, বলা যেতে পারে একদম পরিষ্কার । তাই সে সবচেয়ে সুখী থাকে জীবনে ।
একজন পাগল এর বাহ্যিক কোন সেন্স থাকে না । সে সুখ দুঃখের উর্দ্ধে থাকে । কেউ তাকে খুশি দিলেও তার মনে কোন খুশি হয় না । আবার তার নিজের কেউ মারা গেলও তার কোনই দুঃখ হয় না । ঠিক এরকম ভাবে আমরা যদি কোন কিছুর প্রতি সব ভুলে এক মনে এগিয়ে যেতে পারতাম । তাহলে আমরা জীবনে অনেক উন্নতি ও অগ্রগতি করতে পারতাম । কিন্তু আমাদের সেন্স আমাদের সুখ-দুঃখ বোধ করিয়ে অনেক বাধার সৃষ্টি করে । তাই কোন কিছুর প্রতি পাগল হওয়ার প্রয়োজন আছে ।
আবার এও দেখা গেছে কেউ কেউ এতটাই পাগল কোন কিছুর প্রতি যে, সেটা না পেয়ে তার দুঃখে সত্যিকারেরই পাগল হয়ে গেছে । কোন কিছুর প্রতি পাগলামমো ভালো কিন্তু অতিরিক্ত আসক্তি ঠিক নয় । যেমন সমাজে দেখা যায় যখন একটা ছেলেকে একটা মেয়ে প্রেম করে । একে অপরকে সারা জীবনের জন্য যদি না পায় কিংবা কোন কারণে তাদের বিচ্ছেদ হয়ে যায় । তখন দুজনের মধ্যে একজন অনেক সময় পাগল হয়ে গেছে এটাও দেখা গেছে ।
অনেকে আবার অর্থহানীতে কিংবা জীবনে যা হতে চেয়েছিল । তাই না হতে পেরে চিন্তায় চিন্তায় পাগল হয়ে গেছে এটাও দেখা গেছে । তাই সবশেষে বলব কোন কিছুর প্রতি পাগলামো হওয়াটা খুবই ভালো, না হলে সেটাকে সহজে পাওয়া যায় না । কিন্তু অতিরিক্ত পাগলপন হলেই তখন হিতে বিপরীত হয় । আমি যে পাগল এর কথা বলছি সেটা সেন্স যুক্ত পাগলের কথা বলছি । কিন্তু সমাজে পথে ঘাটে আমরা যে পাগল দেখি তারা সেন্সলেস পাগল । তাদের সত্যিকারেরই কোন ফিলিংস থাকে না । এই জগতের সঙ্গে তাদের কোন লেনদেনই আর থাকে না ।
<- – – – – – + – – – – – ->