Ratan Ali

চলন্তাঘাতে
কবিতাকার

ইজ্জতের নীলমণি বুকে বেঁধে
ঘোমটা গায়ে শুয়েছিলো আকাশ
এক পশলা ঘুমে,আঁধারের উঠানে।
আঁধার তখন খুঁটে খুঁটে
গাছের ছায়াও খেয়েছিলো উদরপুরে,
ভয়ে জড়োসড়ো নক্ষত্র কাঁপছিলো
আলোশ্রু জমিয়ে চোখে চোখে।
অল্পাঘাতে ব্যথিত নারীর ন্যায়
আকাশ হয়তো কেঁদেছিলো নীরবে
তারে তারে এখনো জ্বলজ্বল করছে
অশ্রু-আঘাত,জলের করাত।

এখন আহত আকাশ দুরদুরে পচা–
প্রাগৈতিহাসিক পোশাক পরে আছে,
ভয় হচ্ছে কোনখানে কোনাংশ ছিঁড়ে পড়ে
ইজ্জতে-আহত প্রশ্ন মনে ঘুরে ফিরে।
কালের কুড়ালি কোপে হৃৎপিণ্ডাহত টিন
পড়ে আছে,রক্তাক্ত দেহ তার,
এ দেহে আঠায় আটকে আছে যেন
ঘাড়গোঁজা বিড়ালের মতো ঘুমন্ত–
লোমশ পুতুলের নিথর দেহ।

রোদের আয়নায় আকাশটা কালকেও ছিলো
টিকটিকির পেটের মতো ধবধবে সাদা,
আজকে আকাশের গায়ে পুরানো বস্ত্র
তাতে মাঝে মাঝে জমে আছে
ব্যথাবর্ষা মনের কালো, স্নাতসুন্দরের অপেক্ষায়।
কালিমাখা কাপড় নিয়ে গৃহিণী ঘরোয়া বিবাদ
টিকটিকির পিঠের মতো দোআঁশ মাটি
লেগে আছে তার চোখের তারায়,
বাতাসে ভাসছে কি টিকটিকির লেজ–
পড়বে না তো খসে চলন্তাঘাতে?

Leave a Comment

Your email address will not be published. Required fields are marked *