
দাদা ভাগ্নিকে ডাকত
”ফুল কলি রে ফুল কলি” বলে। একটা গানের কলি। দাদা আজ নেই। কিন্তু থেকে গেছে পরিবারের প্রতি তার টান। তারই রেশ ধরে লেখা।
বলতে নারি
রণেশ রায়
১৩/১০/২০২২
বরষাধুম ইলিশ কুটুম হতচ্ছারী যত
মন কেড়ে নেয় ইলশেগুঁড়ি
জ্যোৎস্না ঝরা শিশির কণার মত।
মনআদুরী গোলাপ রাঙা
জাগে যে প্রেম বাঁধ ভাঙ্গা
জ্বললো আলো হৃদয়হারা
বলতে গিয়েও বাক হারা
আমি যে এক ছন্নছাড়া
তুই যে আমার মনকাড়া।
তাথৈ তাথৈ ফুলকলিরে
হলি খেলি রাত দুপুরে
ফিরছি আমি রঙিন রঙে
রাঙাব তোকে নতুন ঢঙে।
ডাকে ওই ফুলকলি
তোর সাথে যে আড়ি
বারমাস্যার সুখ দুঃখে
বানের জলে ভাসি
বলতে গিয়েও বলতে নারি
তোরে আমি ভালোবাসি।
ফুল কলি রে ফুলকলি
ফুলকলি রে ফুলকলি
হারিয়ে গেলি কোন গলি
ভয়ে আমি কেঁদে মরি
ডুববে আমার সোনার তরী?
ফুলকলি রে ফুলকলি
কোথায় তুই চললি?
ওটা যে এক কানাগলি
ও পথ কেন ধরলি?
ফুলকলিরে ফুল কলি
একটা কথা বলি
আমার হাত ধরবি
সত্য পথে চলবি।
ভাসিয়ে চলবো সোনার তরী
ফসল তুলব তরী ভরি
পৌঁছে যাব ভোর আকাশে
ওই সেখানে সূর্যাবাসে।