একটি সম্পর্কের গল্প…….
দহনকাল
—————-
পুলক মন্ডল
—————————–
শেষপর্যন্ত ছাতাটা খুলেই ফেলল সুহাস। বৃষ্টির বেগ-টা আচমকাই বেড়ে গেল। এতক্ষন এলোমেলো হাওয়া-র সাথে ঝিরঝির করে পড়তে থাকা জলের টুকরোগুলো’র যুগপৎ খেলার ভিতর দিয়ে হাঁটতে বেশ ভালই লাগছিল তাঁর। কিন্তু হঠাৎ-ই দমকা হাওয়াটা বন্ধ হয়ে ঝরঝর করে জলের ধারা নামতে থাকায়, হাতে ধরা বন্ধ ছাতাটা খুলতেই হল। আর তখনই সুহাসের নজর পড়ল উল্টোদিকের ফুটপাথে। চোখেমুখে এসে পড়া বৃষ্টির ছাঁট হাতব্যাগ’টা দিয়ে আড়াল করার আপ্রাণ চেষ্টা করে চলেছে হলুদ শাড়ি’র যে ছিপছিপে মেয়েটি তাঁকে এই বৃষ্টিধারার মধ্যেও চিনতে এতটুকু অসুবিধা হলনা সুহাসের। উল্টোদিকে যাবার জন্য দ্রুত’পায়ে রাস্তায় নেমে পড়ল সে।
রিমি। রিমিতা বসু। একটা বেসরকারি ইংলিশ মিডিয়াম স্কুলের শিক্ষিকা। আলাপ একটু গাঢ় হবার পর সুহাস বলেছিল, ‘তোমাকে দেখে ইংরেজি দিদিমণি বলে কিছুতেই মনে হবেনা’
‘তবে কি মনে হয়?’ কপট কৌতুহলে ভ্রু ঊর্ধ্বগামী হয় রিমির।
‘না, মানে, এই মনে হয় যেন কবিতা-টবিতা লেখ আর কি’- আমতা আমতা করে বলেছিল সুহাস।
না, কবিতা অবশ্য কোন কালেই লেখেনি রিমি, তবে নিজের ব্যাপারে বরাবরই উদাসীন সে। খুবই সাধারণ শাড়ি কিম্বা কুর্তিতেই চলাফেরা করলেও রিমলেস চশমা তাঁর ট্রেডমার্ক। চশমার ফ্রেম পাল্টাতে গিয়েই সুহাসের সঙ্গে রিমির আলাপ। পরপর ক’দিন কাছ থেকে মনোযোগ দিয়ে লক্ষ্য করে তাঁর একাকীত্ব ধরা পড়ে গিয়েছিল সুহাসের চোখে।
যারা একটু ফ্যাশনেবল চশমা পরতে ভালবাসেন তাদের কাছে এই কোম্পানিটি-র যথেষ্ট খ্যাতি আছে। সুহাস মিত্র, ‘দিগন্ত আইভিশন’ নামক এই চশমা সংস্থাটির স্থানীয় শাখার প্রধান।
ক্যাটালগ দেখে চশমার ফ্রেম পছন্দ করা তারপর সেগুলি ঘুরিয়ে-ফিরিয়ে পরে বেশ খানিকক্ষণ ধরে শোরুমের ঢাউস আয়নায় নিজেকে পর্যবেক্ষণ এবং সবশেষে সচরাচর কাউকে পরতে দেখা যায়না এমন ধরনের ফ্রেমের অর্ডার দেওয়া- পরপর কয়েকদিন এমন ধরনের দৃশ্য নজর এড়ায়নি সুহাসের। শোরুম’টির এককোণে সুদৃশ্য রঙিন কাঁচের পাটাতনে ঘেরা ম্যানেজারের ছোট চেম্বারে বসে সুহাস কৌতুহলি হয়ে উঠে একদিন রিমিকে ভেতরে ডেকে পাঠাল।
‘ম্যাডাম, দেখুন তো, এর মধ্যে কোন একটা পছন্দ হয় কিনা’- ড্রয়ার টেনে কয়েকটা চশমা বার করে টেবিলের ওপর রাখে সুহাস।
রিমির চোখেমুখে মুগ্ধতা ঝরে পড়ে, একটা একটা করে চশমাগুলো পরে স্মার্টফোনের ক্যামেরায় মুখটা দেখে নেয়।
‘মেয়ের জন্য পছন্দ করেছিলাম। জানেন তো ও একদম আপনার মতো, রিমলেস চশমা ছাড়া পরবেই না’।
লজ্জায় পড়ে যায় রিমি। বলে, ‘ছি! ছি! আপনার মেয়ের জন্য পছন্দ করা চশমা আর একটু হলেই আমি নিয়ে নিচ্ছিলাম’।
রিমির সঙ্কোচ কাটাতে সুহাস বলে ওঠে, ‘এতে লজ্জা পাবার কিছু নেই ম্যাডাম, আমার মেয়ে তো আর সবগুলো ফ্রেম ব্যবহার করবে না, আপনার পছন্দ হবার পর বাকিগুলো থেকে একটা ও নেবে’।
সুহাসের কণ্ঠের আন্তরিকতা ছুঁয়ে যায় রিমিকে। সে বলে, ‘সবকটা ফ্রেমই আমার পছন্দ হয়েছে। আপনি এক কাজ করুন না, আপনার মেয়েকে এই ফ্রেমগুলো দেখান, আগে ও পছন্দ করুক তারপর আমি নেব’।স্মিত হাসিতে সম্মতিসূচক ঘাড় নাড়ে সুহাস। টেবিল থেকে হাতব্যাগটা নিয়ে নমস্কার করে উঠে দাঁড়ায় রিমি।
সুহাস সেদিন একটা ভিজিটিং কার্ড এগিয়ে দিয়ে বলেছিল, ‘এখানে কোম্পানির ওয়েবসাইট ঠিকানা দেওয়া আছে, নতুন লঞ্চ করা ফ্রেমের হদিশ পেতে পারেন’।
পরদিন স্কুলে বার্ষিক অনুষ্ঠান থাকায় বাড়ি ফিরতেই সন্ধ্যা হয়ে যায় আর তাছাড়া নিজের মেয়ের জন্য কোন বাবা কিছু পছন্দ করে রেখেছে, সেখানে সে ভাগ বসাবে! এরকম একটা ভাবনাও পরের দিনই চশমা আনতে যাওয়ার ব্যাপারে রিমির ইচ্ছাগতিকে কিছুটা শ্লথ করে দিয়েছিল।
যাব কি যাবনা করে কয়েকটা দিন কাটার পর, ফোন করা যাক ভেবে একদিন ভিজিটিং কার্ডটা বের করেছিল রিমি। সুন্দর ছিমছাম ছোট্ট একটা কার্ড। একেবারে ওপরে এককোণে লেখা আছে-সুহাস মিত্র। নীচে ফোন নম্বর, মাঝে কোম্পানির নাম ও ওয়েবসাইট নম্বর। তারপর একটা আন্ডারলাইন, তার নিচে লেখা-‘তোমার সাথে দেখা হবে চোখের তারায়/ আমার সকল কথা মিশে আছে দিগন্তরেখা-য়’।
প্রেমে একধরনের মাদকতা থাকে। তার দু’টি বাহু। এক বাহু সুগন্ধের, অন্যটার গায়ে লেগে থাকে মেছো আঁশ। এই বিপরীত বাহু সবসময় আনাচকানাচ খোঁজে। আড়াল তার প্রিয়তম অবসর। কিন্তু সুগন্ধের বাহু বয়স মানেনা, লোক-লজ্জা’র ধার ধারেনা। কেননা প্রেমের শুদ্ধতা মানুষকে সমাহিত করবেই। সুহাস-রিমি হাত মেলাল প্রেমের সুগন্ধের বাহুর সাথে। অনেকের চোখে তা কলঙ্ক ঠেকলেও ভরা চাঁদের জ্যোৎস্না সদা ঘিরে রাখত তাঁদের।
উল্টোদিকের ফুটপাথে যেতে যেতেই রিমিকে হাতব্যাগ থেকে মোবাইল বার করতে দেখে গতি কমিয়ে নিজের ফোনটা পকেট থেকে বার করল সুহাস, ভাবল কল’টা রিসিভ না করে ওকে পেছন থেকে ছুঁয়ে চমকে দেবে-
নিস্তব্ধ ফোনটাকে ফের পকেটে রেখে সামনে তাকাল সুহাস। দেখতে পেল, ফোনে কথা বলতে বলতে বাঁদিকের সরু গলিটা ধরে দ্রুতপায়ে হাঁটছে রিমি। সুহাসও চলার গতি বাড়াল, আর তখনই ওর মোবাইলটা বেজে উঠল। সুহাসের চেনা জুয়েলারী দোকানের ফোন। ওর মনে পড়ে গেল দু’দিন আগের ঘটনা’টা-
সেদিন বাড়ি ফিরতে বেশ রাত হয়ে গিয়েছিল। রিমি বাড়ি ফেরার জন্য বারবার তাগাদা দিলেও ওই গড়িমসি করেছিল। দরজা খুলে দিয়ে থমথমে মুখে ভেতর ঘরে চলে গিয়েছিল তানিয়া। প্রমাদ গুনেছিল সুহাস। প্রতিদিনই বাড়ি ফিরে সে একবার এগারো ক্লাসের পড়ুয়া মেয়ের ঘরে যায়, কিছুক্ষণ বাপ-মেয়ের খুনসুটি চলে। সেদিন যায়নি সুহাস, বোধহয় তানিয়ার সম্ভাব্য আক্রমণ মোকাবিলা করার প্রস্তুতি নেবার জন্যই সে হাত-মুখ ধুয়ে খাবার টেবিলে চুপচাপ বসে ছিল। রান্নাঘরে বাসনের আওয়াজ তানিয়ার মেজাজের সাথে তাল মিলিয়েই বেশ জোরে জোরে শোনা যাচ্ছিল-
সেদিন ছিল সুহাস-রিমির প্রথম দেখার দ্বিতীয় জন্মদিন। আদিখ্যেতাটা সুহাসই বেশি দেখিয়েছিল, রিমি এসব নিয়ে কোনদিনই মাথা ঘামায়নি। বরং রিমির পাঁচ বছরের মেয়ের সামনে সুহাস একটু অস্বস্তি বোধ করলে রিমিই বলে উঠত, ‘নিজেকে অত গুটিয়ে নেওয়ার কিছু নেই, ছোট থেকেই ও জানতে-চিনতে শিখুক না, মা’য়ের সবচেয়ে প্রিয় মানুষটাকে’। যতই ছোট হোক না কেন, নিজের মেয়ের সামনে রিমির এই অকপট স্বীকারোক্তি সত্ত্বেও আজও রিমির সন্তানের সামনে তেমনভাবে সহজ হতে পারেনি সুহাস।
রিমি একাই থাকে মেয়েকে নিয়ে। প্রদীপের সঙ্গে অবশ্য এখনও আইনগত বিচ্ছেদ হয়নি। তবে দিনের পর দিন রিমির ওপর শারীরিক এবং মানসিক অত্যাচার মাত্রা ছাড়িয়ে গিয়েছিল যখন বন্ধুদের ডেকে বাড়িতে মদের আসর বসানো শুরু করল প্রদীপ। এরপরই দু’বছরের মেয়েকে নিয়ে সরে যেতে এতটুকু দ্বিধাগ্রস্ত হয়নি রিমি। একদিন বাবা-মায়ের ইচ্ছার বিরুদ্ধে দাঁড়িয়ে ভালোবেসে বিয়ে করেছিল, তাই বাবা-মাকে শুধু জানিয়েছিল যে ও প্রদীপের সঙ্গে আর থাকবেনা। মনের মধ্যে বহুকাল বয়ে নিয়ে চলা লাঞ্ছনা আর অপমানের তিক্ত অনুভুতি উগলে দিয়ে সুহাসকে সে সব জানিয়েছিল। ওর চোখ থেকে নেমে আসা দুটো জলবিন্দুকে সেদিন নিজের ঠোঁট দিয়ে শুষে নিয়েছিল সুহাস। জানতে চেয়েছিল, ‘আচ্ছা, প্রদীপ কখনো আসেনি, তোমাকে ফিরিয়ে নিয়ে যাবার জন্য?’ উত্তরে রিমি বলেছিল, ‘ দু-একবার এসেছিল’ জোর-জবরদস্তিও করেছিল, কিন্তু পুলিশ ডাকাতে ভয় পেয়ে চলে গিয়েছিল, তবে ডিভোর্সের মামলাটা এখনও চালিয়ে যেতে হচ্ছে এই যা!’
ঠক করে খাবারের থালাটা টেবিলের ওপর নামিয়ে রেখে খরখরে গলায় তানিয়া বলেছিল, ‘রু কে?’
এমন একটা অভাবিত প্রশ্নের জন্য এতটুকু প্রস্তুতি না থাকায় ঘাবড়ে গিয়ে আমতা আমতা করে সুহাস বলেছিল, ‘মানে! তুমি কি বলছ ঠিক বুঝতে পারছি না’
‘আজ সকালে তোমার ফোনে রু’নামে কারো ফোন এসেছিল, তুমি তখন স্নান করছিলে, যদিও আমি ধরার আগেই ফোনটা কেটে যায়’।
বিশ্বাসযোগ্য উত্তর দেবার জন্য একটু সময় নিয়ে প্লেটের খাবারটা নাড়াচাড়া করে সুহাস-
আসলে রিমির ফোন নম্বরটা মোবাইলে রু’নামেই সেভ করা আছে। রিমিকে সুহাস কিছুকাল যাবৎ ‘রু’ নামেই ডাকছে। খুব কায়দা করে রিমিকে সে বলেছিল, ‘তোমাকে আমি রু বলেই ডাকব। কেননা, আরবিতে রুহ্ শব্দের অর্থ আত্মা, যেহেতু আমরা বাঙালি, তাই রিমিতা হলো রু। শুধু আমার রু’!।
এইতো! আজ সন্ধ্যেবেলাতেই তো সে তাঁর নিজের ছোটবেলার কতকথা বলেছে রু’য়ের সাথে! যা সে এর আগে কাউকে বলেনি। তারপর নিজে পছন্দ করে তাঁকে শাড়ি কিনে দিয়েছে, সদ্য বিবাহিতের মতো ঘনিষ্ঠভাবে রাস্তার ধারে দাঁড়িয়ে দুজনে ফুচকা খেয়েছে- সেসব কি তানিয়া জেনে ফেলল ?
সুহাসের হৃদস্পন্দন দ্রুতলয়ে চলতে থাকে। প্লেট থেকে মুখ তুলে দেখে তানিয়ার দু-চোখ জুড়ে সন্দেহ। নিজেকে সামলে নেবার ভঙ্গিতে সুহাস বলে, ‘তুমি রু’য়ের কথা বলছ? রু হলো- রুবেল, ও গোয়ায় থাকে। এইতো দিনকয়েক হলো আমাদের কোম্পানিতে জয়েন করেছে’। উত্তরে ভ্রু কুঁচকে তানিয়া বলেছিল, ‘তা তোমার এই রু’য়ের সাথেই কি রোজ সন্ধ্যেটা কাটাচ্ছ’?
ততক্ষনে অবশ্য মনস্থির করে ফেলেছে সুহাস, কারন তানিয়াকে ম্যানেজ করার কিছু সুত্র তার জানা আছে। তাই বলেছিল, ‘ হুম! ছেলেটা শেয়ার মার্কেট থেকে কিছু এক্সট্রা ইনকাম আমাকে পাইয়ে দিয়েছে। ভাবছি, তোমার জন্য একটা হার গড়াতে দেব’।
তারপর, বৈধ স্ত্রীর শরীরী উত্তাপ গায়ে মেখে আঠারো বছরের দাম্পত্য জীবনের আরও একটা টেনশন-হীন রাত-ঘুম দিতে পেরেছিল সে।
আচমকা পথচলতি একজনের সাথে ধাক্কা খেয়ে যেন সম্বিত ফিরে পায় সুহাস। বাঁ পাশের গলিটা ধরে ঢুকল না রিমি? কিন্তু ওদিকে তো বইপাড়া! কৌতূহলী হয়ে বড় বড় পা ফেলে এগতে থাকল সুহাস। ওই তো! রিমিকে দেখা যাচ্ছে। একটা বইয়ের দোকানের সামনে দাঁড়িয়ে-
রিমির গলা শোনা যাচ্ছে এমন দূরত্বে পৌঁছে, সুহাস শুনতে পেল, “পুরো বইটাই কিন্তু ডিজিটাল প্রিন্টিং হবে। আর আপনাকে তো আগেই বলেছি, কভার হার্ডকোর-বাইন্ডিং হবে। ও, হ্যাঁ শুনুন, প্রচ্ছদে থাকবে আকাশের গায়ে মেঘের মিলন-চিত্র। কম্পিউটর গ্রাফিক্স করবেন না কিন্তু, চিত্রশিল্পী কে দিয়ে কাজটা করাবেন। তার ওপর জলরঙে লেখা হবে বইয়ের নাম- মেঘালাপ”।
‘মেঘালাপ’! – শব্দটা শুনেই সুহাসের মনে পড়ে যায় বেশ কিছুদিন আগেকার কথা-
‘তুমি নিজের বই প্রকাশের কথা ভাবো না?’, সুহাসের ফোনে সেভ করে রাখা কবিতাগুলো নিজের ডায়েরিতে টুকতে টুকতে রিমি বলেছিল।
ঝুঁকে বসে লিখতে থাকা রিমির উন্মুক্ত গ্রীবার ওপর নিজের উষ্ণ ঠোঁট ঘষতে ঘষতে সুহাস বলেছিল, ‘রু! এসব ছাইপাঁশ লেখা কেউ পড়বে? কি যে বলনা তুমি! আর তাছাড়া, তখন ছিলাম কবিতা-য়, এখন তো রিমিতা-য়’।
বড় বড় চোখ’দুটি মেলে ধরে ঘাড় ঘুরিয়ে রিমি বলেছিল, ‘তুমি জানো-না, তুমি কতটা ভালো লিখতে পারো। জানো! প্রথম-দিন তোমার ভিজিটিং কার্ডে যখন কবিতা’র দুটি লাইন দেখি, তখন-ই ভেবেছিলাম, তুমি মানুষ-টা একটু অন্যরকম। চাকরি-বাকরির সঙ্গে তোমায় ঠিক মানায়-না’।
তারপর চোখ নামিয়ে গাঢ় স্বরে রিমি বলেছিল, ‘ আমি তো জমাট-বাঁধা ছিলাম গো। তোমার আকাশে আমাকে ঠাঁই দিলে, তাইতো আমি জলভরা-মেঘ হলাম’।
তপ্ত বৈশাখ ততক্ষণে আর এক প্রস্থ সিক্ত হবার বাসনায় অধীর হয়ে উঠেছে। ধীরে ধীরে পিছু হটতে থাকে সুহাস। নিজের প্রতি ঘৃণায় জ্বলে-পুড়ে খাক হয়ে যেতে থাকে সে। মেঘলা আকাশ থেকে ফের বৃষ্টি পড়া শুরু হয়েছে। কিন্তু হাতে ধরা ছাতা-টা আর খোলে-না সুহাস। জলভরা-মেঘ গলে গলে পড়তে থাকে তাঁর ওপর…..
————————————————————–