বৃদ্ধাশ্রমে পিতা:প্রদ্যোৎ কাঞ্জিলাল
“পিতা স্বর্গ,পিতা ধর্ম,পিতাহি পরমং তপ,পিতরি প্রিতিমাপন্নে প্রিয়ন্তে সর্ব দেবতা”
মন্ত্র কেবল লেখাই থাকে বলতে ভীষণ ভালো,
নীরব অশ্রু ঝরে পড়ে ধুঁকছে আকাশ কালো,
পুত্র-কন্যা স্বপ্নের কারিগর দুই হাতে তার গড়া,
মেরুদন্ড শক্ত করে মাথা উঁচু করে তারই তরে বাঁচা।
নতুন স্বপ্ন দূরে ঠেলে দিয়ে ভবিয্যতের পথে,
বৃদ্ধপিতা আজ কিনা রূপ-রস-গন্ধ নিয়ে বৃদ্ধাশ্রমে বাঁচে,
সন্তান আজ অনেক বড়ো অর্থে ধনবান
সময় নেই তার পিতা কোথায় খোঁজ নিতে ব্যস্ত তার জীবন শাসন।
স্বপ্ন আজ পাড়ি দিয়েছে দুঃশাসনের কবলে,
পিতা কিনা আজ মুখের ভাষা হারিয়ে বোবাদের দলে,
কালোঘামে ভিজে গেছে জীবনের শ্রম-মান
স্বপ্ন দেখা দুচোখ আজ বৃদ্ধাশ্রম হাতড়ান।
নোনাজলে চোখের অশ্রু ভিজে আছে রোজ,
ভবিষ্যত গড়ার স্বপ্ন পিতা আজ মন থেকে নিখোঁজ,
মেরুদন্ড শক্ত করে দাঁড়িয়ে পাইনা নেবার খোঁজ,
কালের গর্ভে হারিয়ে যাচ্ছে কত শত পিতা রোজ।
তোমার কষ্ট কেউই বোঝে না শত মন্ত্র উচ্চারনে,
বৃদ্ধাশ্রম প্রতিদিন বাড়ে স্বপ্নের দিন কেড়ে নিতে,
বটবৃক্ষ আজ হেলে পড়েছে ঘুন ধরেছে কোটরে,
বৃদ্ধাশ্রমে পিতা আজ একমনে মৃত্যুর দিন গোনে।
১৮/০৬/২০২২