রম্যরচনা
পা’-তো আমার ‘গোল’ নয়
প্রদীপ দে
— বুদ্ধু পাগল কাহিকা! ভাগ ইধার সে, ভাগ শালে …
ভয়ে ল্যাজ গুটায়ে ভাইগা আইলাম ওই দুকান থাইক্যা।
দোষ দুন্দতে দুন্দতে নাজেহাল!
আরো এক নার্সারি দোকানে যাইয়া পুছলাম,
— মিলবে কি না?
— সুবা সুবা মুসকরা মারসেন? এইসব পাগল কুথা হতে আইসে?
লজ্জায় আবার পগারপার!
এবার সটান কাঁচের স্লাইডিং ঠেলে ঢূকেই সরাসরি জানতে চাইলাম,
— ক্যান ইউ গিভ মি?
— আর ইউ ম্যাড? উই হ্যাভ নো টাইম টু এটেন্ড ইউ ,প্লীজ গেট আউট।
ঘাড় ধাক্কায় সরাসরি বাড়িমুখো আমি ম্যাড বুড়ো।
আসলে গতকাল রথীনদার বাড়ি গেছিলাম। দেখলাম বৌদি চা তৈরী করার জন্য ছাদের ওপর থেকে এক গ্লাস দুধ নিয়ে এলেন।
অত্যধিক কৌতূহলে জানতে চাইলাম,
— বৌদি ছাদে গেলেন কেন? ওখানে কি দুধ ছিল।
— হ্যাঁ, আমদের ছাদে দুধের গাছ লাগিয়েছি তো …… কিগো ঠাকুরপোকে বলোনি?
বৌদির উত্তর পেলাম।
রথীনদা হেসে হেসে বললেন,
— কেন ভায়া তুমি জানোনা। আমরা ছাদে দুধ, মাখন, ঘিয়ের গাছ লাগিয়েছি। ভালো ফল হচ্ছে!
আমি অবিশ্বাস্য মুখে হাসছি।
দাদা বললেন, — বিশ্বাস না হলে যে কোন নার্সারি দোকানে গিয়ে খোঁজ করো, আর পারলে কিনে এনো।
আমি চালাকি মেরে বুঝিয়ে দিলাম, আমাকে বোকা বানানো অতো সহজ নয়। আবার এও ভাবলাম লুকিয়ে একবার খোঁজ করে এলে কি দোষ আছে? এখন কত নতুন নতুন আবিষ্কার হচ্ছে। কথায় আছে না ‘ উড়ায়ে দ্যাখো ছাই, পাইলেও পাইতে পারো অমূল্য রতন ‘!
বাড়ি ফিরে মায়ের কাছে জানলাম, দাদার তেতলায় ছাদের শোবার ঘরে ফ্রীজ রাখা আছে।
মা আগেও বলতো এখনও মাঝেমধ্যে বলে,
— তুই পাগল কিনা জানিনা তবে একনম্বরের বোকাপাঁঠা!
ঠিকানাঃ
প্রদীপ কুমার দে
বিরাটী আবাসন
এল আই জি -৯
এম বি রোড
নিমতা
কোলকাতা -৭০০০৪৯
মোবাইল -৮০১৭২৬৭৬২৬
PRADIP KUMAR DEY
Birati Housing Estate
LIG – 9
M.B.ROAD.
NIMTA
KOLKATA – 700 049
West Bengal
INDIA
