কুমিল্লা,বাংলাদেশ।
প্রদীপ ভট্টাচার্য,
তুমি শুধু তুমি
ঐ সাগরপাড়ে যখন দাঁড়িয়েছিলে
দেখলাম রংধনু রং দিয়ে তোমার শরীর
দেখলাম নীল আকাশে বুক উপচানো কিছু মেঘ
দেখলাম তীরভাঙ্গা কিছু ঢেউ বাতাসের সাথে
আর কিছু দূর-পাহাড় তার পাড়ে উঁকি দিচ্ছে
অশান্ত হয়ে গেলাম আমি যেন অনন্ত সুখে
আকাশের মত তোমার ছবি ছায়া ফেলে বুকে
গাংচীল যখন খোঁচা মারে জলের বুকে দেখলাম
তুমি ক্যামোন মায়াবী সুর ধরে কাঁদো একাগ্র
তোমাকে পেতে কামনার রসদগুলো শাণিয়ে আসে
মধ্য রাতে একলা প্রহরে যেমন চাঁদ আছড়ে পড়ে অরণ্যে।
এখন মন-ফাগুনে উজাড় হয়ে আছে আশপাশ
সোনালী রোদ্দুর যাই যাই করে দাঁড়িয়ে মাঠের প্রান্তে
একলা চলা পাখিগুলো ঘুমকাতুড়ে বৃক্ষের মাঝে উড়ে
আসে রাতের রমণে অথবা পাতা দোলানোর ছন্দে
গোধূলী সন্ধ্যে আঁকড়ে ধরে লাজুক শোভাকে অভিসারে।
আসা -যাওয়ার এই আতুড়ে ঘরে নূতন করে
পৃথিবীর গান শোনাও কোন প্রেয়সির কোলে
অথবা তোমার স্নেহের আড়ালে তুলে ধরো
জীবনের রোমাঞ্চিত পথের দীর্ঘ ইতিহাস অনেকটা।
অতঃপর সন্ধ্যে ঘনিয়ে এলেও দেখি–তোমাকে
দেখি তোমার ছায়া-প্রচ্ছায়া তুমি –শুধু তুমি।
09-08-2022
কুমিল্লা বাংলাদেশ।
প্রদীপ ভট্টাচার্য,
আমি দেখিনি
অনন্ত আকাশ নই তবু স্পর্শ করি নিজেকে
ঐ চাঁদের জ্যেছনাকে
সাদা আলো পেলে মেলে ধরি কলমের ছায়া
কোন সবুজ বৃক্ষমাঝে।
এখানে ধূসর বালুচর দেখা যায়না সীমারেখা
অন্তর বালুচরে মিশেছে
বহুবার বহু বসন্ত মাসে নবজাতক ফাল্গুনী রোদে
ছায়ারা খেলেছে হেলেদুলে।
নদী দেখেছে সেই ছায়াটুকু সেই ছোটবেলা লয়ে
অনন্ত আকাশ
ছোটকার বেলা
শব্দের খেলা
ঝালমুড়ি
আরো কত কী
আমি দেখিনি দেখেছে শরতের ঢেউ কবিতা ভেলা।