Noor Angesh

” মা” শব্দটি ছোট হলেও। পাল্লায় এর ভারটা এতটাই ভারী যে গোটা জগৎ জুড়ে এই শব্দটা অস্বীকার করার প্রশ্নই ওঠে না। ভীষণ যন্ত্রণায়। প্রচন্ড ব্যাথায় কষ্ট পাওয়া শরীরটায় যখন রক্ত ঝড়তে থাকে। সেই যন্ত্রণায় আকুল হয়ে যে শব্দটা আমরা ডেকে ওঠি। তা হলো “মা”। গর্ভে বহন করার শুরু থেকে ভূমিষ্ঠ হওয়া পর্যন্ত। তার শারীরিক কষ্টগুলো শুধুমাত্র সেই মা-ই বুঝতে পারে। এরপর ও যখন স্বামীর মুখ থেকে শুনতে হয়।

” তোমার প্রয়োজন ফুরিয়েছে আমার কাছে। এই সংসারে এখন নতুন কাউকে আনতে চাই। যদি মেনে নাও ভালো। তোমার অন্য কোন সিদ্ধান্তে কোন রকম খরচ কিম্বা ভরনপোষণ আমি দিবোনা।”

একজন গর্ভধারিনীর পক্ষে এই অপমানটা কতটা যন্ত্রণার। কতটা অপমানের শুধু একজন মা-ই তা অনুভব করে। এই কঠিন কথায় অনেকে জীবিত কংকাল হয়ে সংসার আকড়ে থাকে। কারণ তার আর্থিক সামার্থ তাকে মাথা নিচু করে থাকতে বাধ্য করে। শিক্ষিত আর উপার্যনশীল নারী তার জবাব দেয়।

নিজের শিক্ষা, মেধা আর তার কর্মক্ষমতা দিয়ে। প্রতিনিয়ত নির্যাতনের মাঝে আর একটি ভয়াবহ নির্যাতন হলো নিজ স্ত্রীকে অসম্মান করা। এই বোঝা করা যখন অসহনীয় হয়। স্ত্রী বাধ্য হয়েই সিদ্ধান্ত নেয় আলাদা থাকার। স্বামীর অসুবিধা হওয়ার প্রশ্নই ওঠে না। শুরু হয় একাকী মায়ের যুদ্ধ। কন্যাশিশু তার পুতুল খেলার মাধ্যমেই সংসার সাজাতে শিখে। বাস্তব জীবনে সেই সংসার ধরে রাখতে পারে কয়জন।

একাকী মায়ের মানসিক কষ্ট আমরা কখনও খেয়াল করিনা। ডিভোর্সি কিম্বা স্বামীর সাথে বনিবনা হচ্ছেনা। এমন মায়েরা তো আছেনই। তারপর ও হাজারো পরিবারের হাজার রকম সমস্যার কারণে ও অনেক নারী একাকী জীবন বেছে নেয়। নয়তো থাকতে বাধ্য করা হয়। বাবার বাড়ি, ভাইয়ের বাড়ি। সেইতো মাথা নিচু করে থাকা। আজ তেমনি নারীর কিছু কথা থাকলো।

সংসার যখন করা হলোনা ফিরোজার। অনেক ত্যাগ স্বীকার করে ও। বাধ্য হয়েই আলাদা হয় মেয়ে পুনমকে নিয়ে। চলে নতুন করে যুদ্ধে নামার প্রস্তুতি। সংসার, চাকরি, পরিবেশ। সবকিছু মিলিয়ে হিমসিম খেতে হয় ফিরোজাকে। সাহায্যকারীর উপর নির্ভর করে একা মেয়েকে ছেড়ে কর্মজীবন পার করা খুব কঠিন। মেয়ে বড় হয়ে যখন নিজের পরিচিতি পায়।

হয় কোন প্রতিষ্ঠানের কর্মজীবী অথবা ডাক্তার, ইঞ্জিনিয়ার। বিয়ের পর তারও একটা আলাদা সংসার হয়। সময় মানুষকে এগিয়ে নিয়ে যায় বয়সের দিকেও। একা হয়ে যাওয়া সেই নারীকে ভাবনায় পেয়ে বসে। মানসিক চাপের কারণে রোগ বাসা বাধতেও ছাড়েনা। এতো এতো বছর পর কী পেলাম শব্দটি শব্দ হয়েই থাকে। আয়ু নির্ভরশীল শরীরে। মনেও।

Leave a Comment

Your email address will not be published. Required fields are marked *