Nikhil Ranjan Guha

সম্পর্ক/ভেন্টিলেশন
নিখিল রঞ্জন গুহ

হটাৎ করেই কয়েক দিন হল তিনি বিছানায় । বয়স কত হবে ? তা প্রায় সত্তর ছুঁই ছুঁই । এই বয়সে মানুষ এখন হিল্লিদিল্লি করে বেড়ায় । অঞ্জনাও তেমনই ছিল । সুগার থেকেই যত বিপত্তি । তাঁর সাথে জুটেছে রক্ত চাপ । পাশের মানুষটা গত হওয়ার পর যেন তাঁর ভোগান্তির শেষ নাই । তাও বছর সাতেক হবে,সেই যে স্ট্রোকে আক্রান্ত মানুষটা শয্যা নিয়েছিল আর তাঁর ওঠা হল না ।

চেষ্টা যে হয়নি তা নয় । ছেলেরা প্রথম প্রথম একটু আধটুকু উদ্যোগ নিলেও পরে তাঁদের আর সময় হয়নি । কার কতটুকু দায় তাই নিয়ে যত বিবাদ । অঞ্জনাকেই এগিয়ে আসতে হয়েছিল । সেই থেকে স্বামীর সব দায়িত্ব তাঁর । মাঝে মধ্যে ধৈর্যের বাঁধ ভেঙেছে বটে তাই বলে তাঁর সেবায় ভাঁটা পড়েছে এ কথা বলা যাবে না । স্বামীর এই অসহায় অবস্থার জন্য ভেতরে ভেতরে সে রক্তাক্ত হয়েছে । এখন সে ভাগ্যকে দোষ দেয় ।

ওই অবস্থাতেও মাথাটা তাঁর বেশ সক্রিয় । হাঁটতে চলতে না পারলে কী হবে, সুযোগ পেলেই সে কবিতা আউড়ে চলে । কখনও রবীদ্রনাথ,কখনও নজরুল আবার কখনও মাইকেল মধুসূদন দত্ত অথবা জীবনানন্দ দাশ তাঁর মুখে । স্মৃতি শক্তিও প্রখর । কেউ দেখা করতে এলে কথা যেন শেষ হয় না । সাহিত্য যেন তাঁর গুলে খাওয়া । সেখানে কে নেই ? সেক্সপিয়ার, হুইট ম্যান,রবীন্দ্রনাথ সবেতেই তাঁর বিচরণ ।

হবেই বা কেন পড়াশোনায় তো সে কোনওদিনই খারাপ ছিল না । ভেতরে ভেতরে অঞ্জনার রাগ হয় । যারা আসে তাঁরা কেউ তাঁর ছাত্র । কেউ বা তাঁর সহকর্মী অথবা বন্ধু । অঞ্জনা তাঁর অসুস্থ স্বামীকে নিয়ে এমনিতেই নাজেহাল তার উপর আবার অতিথি আপ্যায়ন !

নিজের কাজ নিজে করতে পারুক বা না পারুক কোনও ত্রুটি হলে রক্ষে নেই । ওই অবস্থাতেও তাঁর পৌরুষে এতটুকু টাল খেয়েছে বলা যাবে না । বিচিত্র স্বভাবের একরোখা মানুষটাকে সে হারে হারে চেনে । বৈষয়িক বুদ্ধি বলে যদি কিছু থাকে । অবসরের পর যা পেয়েছিল ছেয়েমেয়েদের দিয়ে তাঁর হাত শূন্য । পেনশনের টাকাটুকুই ভরসা । এখন তার অর্ধেক নিয়েই অঞ্জনাকে চলতে হয় । তবে সে খুব হিসেবি ।

অঞ্জনা এমনিতে চাপা স্বভাবের মানুষ, ভেতরে ঝড় বয়ে গেলেও বাইরে থেকে বোঝার উপায় নেই ।

সেদিন দরজা খুলেই কাকিমাকে দেখে নেহা বলল, শিড়ি ভেঙে উঠতে পারলে ? অসুবিধা হল না ?

শরীরের যা অবস্থা, ওঠা কী সোজা কথা ! তোর কাকু ছিল, সময় কেটে যেত । হাঁটা চলার অসুবিধা হয়, তাই কোথাও যেতে পারি না । নেহা পাড়ার মেয়ে । অসুবিধা হলেও সে মাঝে মধ্যে আসে । নেহা তাঁকে না খাইয়ে ছাড়ে না । খেয়ে বলে, ‘কতদিন পর তোর হাতের রান্না খেলাম’ ।

নেহা জানে কাকির ব্যাথাটা কোথায় । তবে সে বলে রেখেছে, ‘যেদিন কাজের মাসি আসবে না সেদিন তুমি চলে এসো । গল্প করে সময় কাটাবো । আমি তো সারাটা দিন একাই থাকি’ ।

অঞ্জনার উদাস চোখ দুটি শূন্যে কী যেন খুঁজে বেড়ায় । একটা দীর্ঘশ্বাস ফেলে উত্তর দেয়,‘দেখনা কেমন হাপাচ্ছি । ইচ্ছে থাকলেও দুই দণ্ড কারো সাথে কথা বলব তার জো নেই’ ।

কাকু গত হওয়ার পর মানুষটা কোনওক্রমে নিজেকে টেনে নিয়ে চলেছে । নেহা জানে কাকুর একখণ্ড জমি ছিল তাও ছেলেরা বিক্রি করিয়ে ছেড়েছে । এই নিয়ে সে কাকিমাকে প্রশ্ন করলে সে উত্তর দিয়ে বলেছিল, ‘সবই তো পেটের জন’ ।

যখন মানুষের স্বপ্নের দরজাগুলি বন্ধ হয়ে আসে তখন বিস্মৃতির অতল গভীরে হারিয়ে যাওয়া অতীতের মণিমাণিক্যে ভরা সোনালি দিনের টুকরো টুকরো মুহূর্তগুলি মনের দরজায় এসে হানা দেয়,জীবনের প্রতি মায়া বাড়ায় । অঞ্জণার ক্ষেত্রেও যেন তাই হল । নার্সিংহোমের আইসিইউতে অখন্ড সময়ে অঞ্জনা অতীতের দিনগুলিকে হাতড়ে বেড়ায় । ফ্লাস ব্যাকে ভেসে ওঠে বড় ছেলে খোকা সুজনের কথা । খোকা যখন পেটে এসেছে তখন তাঁকে নিয়ে কত না স্বপ্নের জালবোনা । ছেলে না মেয়ে তাই নিয়ে তাঁর জল্পনার শেষ নেই । শিবতোষ ঠাট্টা করে বলেছিল,‘তোমার শরীরে নতুন প্রজন্মের নির্মাণ চলছে । যেই আসুক,তাঁকেই আমরা খুশি মনে বরণ করব’ । অঞ্জনা বরের মুখের দিকে অপলক দৃষ্টিতে তাকিয়ে থাকে ।

খোকা যেদিন প্রথম মা বলতে শিখল সেদিন যেন অঞ্জনার মুখখানা সহস্র ভল্টের আলোয় ঝলমল করে উঠল । খোকার চাঁদপানা মুখখানা দ্যাখে আর স্বপ্নের রাজ্যে ডুব দেয় সে । উঁকি মারা সাদা ধব ধবে দুইটি ঝিনুকের মতো দুধের দাঁত বের করে খোকার খিল খিল হাসিতে তাঁর প্রাণ জুড়িয়ে যায় । শিবতোষকে কতদিনই না খোকার জন্য ঘোড়া হতে হয়েছে । তাঁর সে কী আনন্দ ! যেন যুদ্ধজয়ী রাজপুত্র । সেই খোকা এখন বড় হয়েছে । সংসার হয়েছে । শুধু খোকাই বা কেন, তাঁর আর ছেলেমেয়েরা ? মেয়েটাও এখন পুর দস্তুর গিন্নী ।

শুরুটাই যার এলোমেলো তাঁর জীবনে অঞ্জনার আসাটা সত্যিই অস্বাভাবিক ছিল । একটা ঝড়ে বিধ্বস্ত মানুষটার সাথে প্রথম পরিচয়েই অঞ্জনা্র মধ্যে যেন অদ্ভুত একটা জেদ চেপে বসেছিল । সে যেন আজ হিসেব নিকেশ নিয়ে বসেছে । তিন তিনটি সন্তান উপহার দিয়েও কি সে তাঁকে পুরোপুরি পেয়েছে ? বোহেমিয়ান মানুষটা সারাজীবন একই থেকে গেল । তাঁকেও কম. ভুগতে হয়নি ।

কথাগুলি মনে পড়লে ভেতরটা তাঁর বিষাদে ভরে ওঠে । তবুও তাঁর অস্থিত্বটুকুই যেন তাঁর আশ্রয় । এখন নিজেকে তাঁর বড় একা মনে হয় । কর্ম সুত্রে জীবনের একটা বড় সময় বাইরে কাটিয়ে তাঁর নিজের শহরেই সে যেন হাপিয়ে উঠেছে । স্ত্রীকে বলত, ভুল করেছি । বাইরেই ভালো ছিলাম ।

অঞ্জনারও উত্তর প্রস্তুত থাকে । মোটেও না । তুমি এই শহরকে মোটেও ভুলতে পারনি ।

শিবতোষ ভাবলেশ দৃষ্টিতে তার খোঁজে ।

ডাক্তার দেখিয়ে আজ সবে ফিরেছে অঞ্জনা । ইতিমধ্যে ননদ,মালবিকা একবার ঘুরে গিয়েছে । মালবিকাকে সে বিবাহিত অবস্থায় পেয়েছে । অল্প বয়েসেই বাবা মাকে হারিয়ে সংসারের জোয়াল কাঁধে নিয়ে শিবতোষকেই সেই দায়িত্ব পালন করতে হয়েছিল । সেই দিক থেকে মালবিকা অঞ্জনার সিনিয়র ।

প্রদীপ্তার মুখের দিকে তাকানো যাচ্ছিল না । তাঁর মায়ের অবস্থা এতটা খারাপ হবে সে বুঝে উঠতে পারেনি । ছেলেরাও এসেছে । প্রদীপ্তার গলায় কী যেন একটা দলা পাকিয়ে আছে । কথা বলতে পারছিল না সে ।

‘ইমিডিয়েটলি নার্সিংহোমে ভর্তি করতে হবে, বলেছেন ডাক্তারবাবু’, কান্নাভেজা গলায় বলেছিল প্রদীপ্তা ।

মানব শরীরের রহস্য বুঝে ওঠা ভার । কবে তাঁর শরীরে এ্মন একটা মারণ রোগ বাসা বাঁধল কে জানে । পরিবেশটা মুহূর্তের মধ্যে কেমন যেন ভারী হয়ে উঠল ।

অঞ্জনার নিজেকে অপরাধী মনে হতে থাকে । সে বড় খোকাকে ডেকে বলেছিল, ‘তুই রাতে একবার দেখা করিস’ ।

মাকে ওষুধ খাইয়ে বাড়ি ফিরেছিল প্রদীপ্তা ।

সেই থেকে সে নার্সিংহোমে । ভালো হওয়ার লক্ষণ নেই । দিন দিন যেন অবস্থা খারাপের দিকে যাচ্ছে ।

নেহাও সেদিন নার্সিংহোমে । চারদিন হল আইসিউতে । দুদিন হল ভেন্টিলেশনে রাখার জন্য চাপ দিচ্ছেন ডাক্তার বাবু ।

‘রক্তচোষার কারখানা নার্সিংহোমগুলি সুযোগ পেলেই এই কথা বলে’, বলল প্রদীপ্তা ।

বোনের কথায় সায় দিয়ে সুজন জবাব দিল, ‘তা ঠিক । তাই বলে তো আর বসে থাকা যায় না । এসব নিয়ে তোরা ভাবিস না, দেখছি কী করা যায়’ ।

সকলের মাথার উপর থেকে যেন একটা বড় বোঝা নেমে গেল ।

এখন সে ভেন্টিলেশনে । আইসিইউতে থাকতেই তাঁকে নিয়ে টানাপোড়েনের কিছু কথা তাঁর কানে এসেছে । নিজেকে এতটা অসহায় সে আগে কখনও মনে করেনি । শিবতোষের পূর্ণ অবয়বটা যেন ধীরে ধীরে মনের আয়নায় ভেসে ওঠে । নিজের অজান্তেই চোখের কোণা থেকে কয়েক ফোটা জল গড়িয়ে পড়ে ।

এই নিয়ে তিনদিন হল । মাতৃজঠরে রক্তমাংশের পিণ্ডটাতে প্রাণবায়ু সেই যে অঞ্জনার ধাঁচাটাতে আশ্রয় নিয়েছে, শত বাধা বিপত্তির মধ্যেও, সে তাঁকে ছেড়ে যেতে পারেনি । এক অদ্ভুত মায়ার বন্ধনে যেন সে বাঁধা পড়ে আছে । সেই মায়াটুকুই ডাক্তারবাবুদের এখন যা ভরসা । অঞ্জনা বেঁচে থাকার স্বপ্ন দ্যাখে । ছেলেমেয়েদের দেখতে তাঁর খুব ইচ্ছে হচ্ছে । চোখের সামনে ভেসে ওঠে তাঁদের মুখগুলি ।

নেহা প্রতিদিনের মতো আজও এসেছিল । কাকি কী তাঁকে কিছু বলতে চায় ? তাঁর চোখের পাতা জলে ভরে উঠেছে । নেহা নিজেও কেঁদে ফেলেছিল ।

আজ চথুর্থ দিন । মস্ত একটা বিল সুজনের হাতে । কী করবে তাই নিয়ে ভাবচ্ছে সে ।

ডাক্তার বাবু গ্যারাণ্টি দিলে আরও কিছুদিন রাখা যেতে পারে ।

প্রদিপ্তা মনে মনে ভাবে আর কটা দিন রাখলেই বা ক্ষতি কী ? আর ক’টা দিন দেখ, বলল প্রদীপ্তা ।

সুজন জবাব দিল, ‘শুধু শুধু কষ্ট দিয়ে লাভ কী’ ?

সাধের সংসারে সেটাই ছিল তাঁর শেষ দিন ।

বাড়িতে আত্মীয়দের ভিড় । সত্তরটা বছর তো কম নয় । অনেকেই শেষ বারের জন্য একবার দেখতে এসেছিল তাঁকে । শ্রাদ্ধও হয়েছিল ঘটা করে ।

একদিন ডাক পড়ল নেহার বর,অখিলেশের । তাঁকে ডাকার হেতু বুঝতে তাঁর অসুবিধা হল না । সুজনই কথাটা তুলল । মায়ের অ্যাকাউন্টে কিছু টাকা পড়ে আছে । কিছু অস্থাবর সম্পত্তিও আছে । কাকু তুমি এসেছ ভালো হয়েছে ।

একটা পাসবুক বের করে সে বলল, ‘এখানে লাখ পাচেক টাকা ছিল । এখনও প্রায় হাজার নব্বই আছে । শ্রাদ্ধের কাজ এখান থেকেই হয়েছে’ ।

সকলে হতবাক ! একে অপরের মুখের দিকে তাকায়, তাহলে সবই মায়ের টাকায় ?

এত খরচ ? বলল একজন ।

‘বিলগুলি দেখে নিস’, উত্তর দিয়ে বলেছিল সুজন ।

চাবিটা আমাকে মা দিয়ে গিয়েছিলেন,আলমারিতে হাজার পঞ্চাশেক টাকার আর কিছু সোনা দানার জিনিস যত্ন করে রাখা ।

যেদিন ভেন্টিলেশন থেকে তাঁকে বের করা হল সেদিন নেহা বাড়িতে এসে অঝরে কেঁদেছিল । অখিলেশ মনে মনে ভাবে সময়ের সাথে সাথে সম্পর্কগুলি কেমন করে যেন বদলে যায় । নতুন পুরোনোকে সরিয়ে নিজেকে স্থাপন করে । কিন্তু অঞ্জনা কাকিমা কী তা পেরেছিল ?

নেহার চোখের সামনে ভেসে উঠল সেই দিনটার কথা । অখিলেশ হটাৎ একটা ফোন পেয়ে চমকে উঠেছিল ।

নেহা জানতে চেয়েছিল, তোমাকে এমন চিন্তিত দেখাচ্ছে কেন ?

মেঘমালাদি ফোন করেছিল ।

মেঘমালাদি ? সে তো এখন অ্যাডভোকেট চঞ্চল বাবুর স্ত্রী ?

তিনি কাকুকে একবার দেখতে চায় ।

নেহা জানে শিবতোষ কাকুর প্রথম প্রেমের কথা । এই মেঘমালাদিই সেই প্রেমিকা যাকে সে পাগলের মতো ভালোবাসত । কী করে যে তাঁদের বিয়েটা ভেঙে গিয়েছিল নেহার কাছে তা আজও রহস্য । নেহা বলল, ‘তা তুমি কী বললে’ ?

তিনি এলে কাকিমার মনের অবস্থা কি হতে পারে নিশ্চয় বুঝতে পারছ ।

সেটা ঠিক । আমি অবাক হচ্ছি, মেঘমালাদির কথা ভেবে । আশ্চর্য ! নেহা প্রশ্ন করেছিল, এমনও হয় ?

হয়, জবাব দিয়ে বলেছিল অখিলেশ । মনে রেখো আমাদের প্রত্যেকেরই মনের মধ্যে একটা মন থাকে । প্রেমদেবতার অধিষ্ঠান সেই মনভূমিতে একবার যে প্রবেশাধিকার পায় সেই সারাজীবন আরাদ্ধ দেবতা হয়ে পুজিত হয়ে থাকে । বাইরের মন দিয়ে তাঁকে বিচার করলে ভুল হবে । মেঘমালাদি এবং শিবতোষ কাকুর জীবনে ঠিক তাই ঘটেছিল ।

সেদিনটার কথা তার চোখের ভেসে উঠল;শিবতোষ কাকুর নিথর দেহটা উঠানে শোয়ানো । দীর্ঘদীন শয্যায় থাকা মানুষটার শরীর তখন কঙ্কালসার । নেহা তাঁর পাশে । তাঁর চোখের জল বাঁধ মানছিল না । ঝুঁকি নিয়েই এসেছিল মেঘমালাদি । অপরাধীর মতো দূর থেকে তাঁকে শ্রদ্ধা জানিয়েছিল । তাঁর চোখের সামনে ভেসে উঠল সেই উদ্ধত যুবকের মুখ । চোখে স্বপ্নের হাতছানি । সেই কন্ঠস্বর । মনে পড়ে গেল তাঁর জীবনে আসা সেই ঝোড়ো পাখির কথা । তাঁর কথা আটকে আসছিল । চোখে জল ।

যেভাবে এসেছিল সেই ভাবেই নিঃশব্দে সকলের চোখের আড়ালে বিদায় নিয়েছিল সে ।

ঠিকানা ঃ (M):9434096777

নিখিলরঞ্জন গুহ,
৪৫৪/প্রতীচী অ্যাপার্ট মেন্ট,
ডাবগ্রাম -১
পোঃ রবীন্দ্র সরণি,
শিলিগুড়িঃ৭৩৪০০৬

[jetpack_subscription_form show_subscribers_total=”false” button_on_newline=”false” custom_font_size=”16px” custom_border_radius=”0″ custom_border_weight=”1″ custom_padding=”15″ custom_spacing=”10″ submit_button_classes=”has-background has-midnight-gradient-background” email_field_classes=”” show_only_email_and_button=”true” success_message=”Success! An email was just sent to confirm your subscription. Please find the email now and click 'Confirm Follow' to start subscribing.”]


Leave a Comment

Your email address will not be published. Required fields are marked *