Mousumi Sarkar

ডিভোর্স
মৌসুমী সরকার, সমাজতত্ত্বে এম. এ.

প্রতাপবাবুর প্রবল প্রতাপ চিরকাল, বয়স তার সত্তর হবে এই মাঘ মাসে, ,কিন্তু বয়সের সাথে সাথে প্রতাপ ও যেন বাড়ছে।আসলে ওনারা কোনকালে রায় বাহাদুর উপাধি পেয়েছিলেন, ব্যাস, কথাটা তিনি নিজেও ভোলেন না,কাউকে ভুলতেও দেন না ।তার মানে এই নয় যে ,তার বিশাল কিছু জমিদারি আছে ।পৈর্তৃক সূত্রে কয়েক বিঘে জমি শুধু আছে,এই গয়েস পুর অঞ্চলে, ,তিনি তো নিজেই ব্যাঙ্ক ম্যানেজার ।

বাড়ি করা আর দুই পুত্র কে বড়ো করা, কিভাবেযেন দিন কেটে গিয়েছে ।মুশকিল হয়েছে এই রায়ে বাহাদুর উপাধি নিয়ে ।তিনি মাজে মাজে তাকিয়ে থাকেনটার পূর্ব পুরুষের বড়ো বাঁধানো ছবি গুলোর দিকে, আর ,বড়ো গোঁফে তা দিতে থাকেন, ব্যাস, তার ওপর প্রবল প্রতাপান্বিত কে যেন জেগে ওঠে ।হাঁক ডাক শুরু হয়ে যায় তার ।যেমন ,আজ, বেশ বাড়াবাড়ি হয়ে গেল, ।সকাল আটটা।অন্যদিন হলে ৭টাই তার চা খাওয়া হয়ে যায় ,চাকর ভজা দিয়ে যায় ।

আজ ,দেরি হয়েছে গিন্নির ,তিনি মুখে দিয়ে দেখেন,চিনি দিতেই ভুলে গিয়েছে গিন্নি ,আসলে চাকর টা দেশের বাড়ি গেছে দিন দুই হলো, তিনি বোজেন সব, কিন্তু তিনি যে রায় বাহাদুর, একবার চা মুখে দিয়েই তিনি সব উল্টে ফেলে দিয়েছেন ,রাগ করে বলেছেন এমন চা চাই না তার,আর গিন্নি কে তিনি রাগ করে বলেছেন, সোজা ডিভোর্স দিয়ে দেবেন, একেবারে সকাল বেলায় কি কান্ড ।তার চিৎকারে বাগানের মালিটা, এমন কি বড়োখোকা ,বৌমা পর্যন্ত দৌড়ে এসেছে ।ইস, কাপ টা ফেলে দিয়ে তিনি বুজেছেন, বেশি বাড়াবাড়ি হয়ে গিয়েছে, খোকা শহরের নামকরা ডাক্তার ,,বড়বৌমাও তাই ,তাদের সকালে চেম্বার থাকে,কাজের মাসি কি কারণে আস্তে দেরি করছে, তার মধ্যে তার চা এর বায়না, গিন্নি হিমশিম খাচ্ছেন রান্নাঘরে, তার মধ্যে এই কান্ড ।

মুশকিল হয়ে গেছে তার বড়ো পুত্র টির জন্য ।সে ছোট্ট থেকেই পড়াশোনায় অসম্ভব ভালো,মেডিকেল কলেজের নামকরা ছাত্র ছিল।ইচ্ছা করলেই সে দেশের বাইরে থাকতে পারতো,কিন্তু মা,বাবা দেশের গরিব মানুষের টানে সে এখানেই থেকে গেছে ।সে কথা কম বলে ,কাজ বেশি করে ।

নিজের পুত্র বলে নয় ,তিনি মনে মনে রীতিমতো শ্লাঘা অনুভব করেন ,ওর জন্য ।আর বৌমাটিও হয়েছে তেমনি ।,সেও ডাক্তার। কিসব যেন সাইকোলজি ,না কি নিয়ে তার পড়াশোনা ।সেও ভারী ভালো ,মেয়ে ।কয়েক বছর হলো ওদের বিয়ে হয়েছে, একটি ফুটফুটে নাতনি হয়েছে ,তার একবছরের ,সবাই কে নিয়ে ভালোই কেটে যায় দিন, কিন্তুআজ যে কি হলো! রায়বাহাদুর রক্ত চাগার দিলো, সকালবেলাই ।

একেবারে হুলুস্তুলু বেধে গেছে। ফেলে দিয়েই তিনি বুজেছেন, বড্ডো বাড়াবাড়ি করে ফেলেছেন ।তার স্ত্রী ,নিরুপমা ,বছর বাষট্টির মহিলা, একেবারে হত বম্ব হয়ে গেছেন,সাথে বৌমাও ।ছি, ছি ,, তাকিয়ে দেখেন নিরুর মুখ এই সকালেই ঘর্মাক্ত কাজের চাপে, আর তিনি ? আয়েস করেবসে আছেন ,আর তার ওপর একেবারে ডিভোর্স এর কথাও তার মুখ দিয়ে বেরিয়ে গেছে। তিনি লজ্জায় আর তাকাতে পারছেন না তার বৌমার দিকে । আস্তে ,আস্তে, সবাই চলে গেছে, কিন্তু বড়োখোকা যায় নি, তিনি এবার বুজেছেন, তার কপালে দুঃখ আছে ,ওর সামনে তিনি কেমন যেন হয়ে যান, বড়োখোকা আস্তে আস্তে বলে “,কি বললে তুমি মা কে?ডিভোর্স করে দেবে? বেশ ।তাই হবে । আজ থেকে তোমরা আলাদা থাকবে ।একমাস ।তারপর ,আমি কাগজ রেডি করবো ।

“ বলে ডাক্তার বাবু বেড়িয়ে যায় ,ঘর থেকে ।কিছুপর খোকার গাড়ির আওয়াজতিনি শুনতে পান । মালি বাগানে কাজ করছে ,নাতনি আয়ার কোলে, নিরু দেখভাল করছে ,কাজের বুড়ি, ঘর দোর পরিষ্কার করছে, বাইরে বাগানে দখিনা হাওয়া তে কত মরসুমি ফুল হেসে হেসে দুলে দুলে পড়ছে ,কিন্তু তার মনে শান্তি নেই ।আর নিরুপমা তার চল্লিশ বছরের বিবাহিত বৌ ও যেন কেমন গম্ভীর ,হয়ে রয়েছে ,তার সাথে একটাও কথা বলছে না ।আর এই হয়েছে তার মুশকিল ,সারাদিন একভাবে কেটেগেলো, এমন কি বিকেলেরোজ যে তার বাড়ি তে দাবা খেলা হয় ,তাতেও তিনি মন বসাতে পারলেন না ।বড়োখোকা বৌমা সবাই এসে গেছে ,রাতে খাবার টেবিল এ তাদের কত কথা হয়, আর আজ ।সবাই চুপচাপ ।শুতে গিয়ে দেখেন, আর এক কান্ড ,সাড়ে দশ টাই তিনিশুয়ে পড়েন ,তার পায়ের ব্যাথা বাড়লে ওষুধ দেওয়া, সেঁক করা সব নিরুর দায়িত্ব ।আজ নিরু আসেনি ।

বড়োখোকা বলেছে ,তাকে নাকি একা থাকতে হবে ।রায় বাহাদুর মশাই এর চোখ গুলো গোল গোল হয়ে যায়।কে তাকে ভোর পাঁচটায় চা করে দেবে ?বাড়ির সবাই ওঠার আগে তারা দুজনে একবার চা খান ,সাত টা সময়ে আবার ।ইসসস, কেন যে তিনি এমন করতে গেলেন, তারচল্লিশ বছরের বিয়ে করা বৌ থেকে তিনি আজ আলাদা শুচ্ছেন ।নানান কথা ভাবতে ভাবতে তিনি ঘুমিয়ে পড়েন ।পরদিন, তারপর ,… তারপর … একই রুটিন ।কেউ ঠিক করে তার সাথে কথা বলছে না ,নিরু তো নয় ই, এমন কি বৌমাও নয় ।

আশ্চর্য !তিনি যে একজন রায় বাহাদুরের বংশ,সে কথা ভুলে গেলে চলবে ? দিন কুড়ি কেটে যায় এইভাবে ।এবার তিনি চিন্তিত হয়ে পড়েন ,সত্যি, তার ডিভোর্স হবে নাকি ?থাকবেন কোথায় এই বয়স এ ?বাড়ি অবশ্য তার আরো একটা আছে, কিন্তু সেটা তো ভাঙ্গা বাড়ি একেবারে গ্রামে, সেখানে কার্রেন্ট ও নেই। এই বাড়ি তার বৌ এর, বেশি রাগ করে করেছেন কি তিনি ?

ছোট ছেলেকে একদিন ফোন করলেন, সে বিদেশে থাকে, সফটওয়্যার ইঞ্জিনিয়ার ।সে তো শুনে, প্রথমে হাসলো, কিছুটা, তারপর বললো, গ্রেট, বাপি, করে ফেলো ডিভোর্স,দেরি করো না, বলে তার এখন কি মিটিং আছে বলে ফোন ছেড়ে দিলো । দাবা খেলেন, তিনি রোজ বন্ধু দের সাথে তিন জন কে তিনি যথেষ্ট কাছের বলে মনে করেন, কিন্তুএকজন তো শুনতেই পেলো না, বললো তার নাকি কানে সমস্যা, কিন্তু তার বাড়ি যখন খাবার কথা হয় ,ঠিক তো শুনতে পায়।আর এক জন কোনো মন্তব্য করলেন না,আর একজন বললেন যে রাত নয়টা বেজে গেছে ,! দেরি হলে তার গিন্নি বকবেন । আচ্ছা ,!এইসব বন্ধু তার !এতদিন চিনতে পারেন নি !

সব চেয়ে মুশকিল নিরু কে নিয়ে ।সে এই সাতাশ দিন ধরে একটা কথাও বলেনি, তার সাথে । খাবার দিয়ে যাচ্ছে, চাকর টা কে দিয়ে ,,,,, চাকর টা দেশ থেকে ফিরে এসেছে, কিন্তু ,,,, কিন্তু ।না, না।আর নয়, এদের কি মতলব তিনি বুজতে পারছেন না, তিনি একদিন নিরু র কাছে বলতে চেষ্টা করলেন, তিনি ভুল আচরণ করেছেন, এবারের মত তাকে সুযোগ দেওয়া হোক, আটাশ দিনের মাথায় দেখলেন তার বেয়াই এল, কিন্তু কি আশ্চর্য !তার সাথে দেখা না করেই চলে গেল, এমন কি একটা কথা ভেসে এল তার কানে, তাহলে ওই কথাই রইলো ।তার বৌ তো হেসে হেসে কথা বললো’, তিনি দেখলেন, আর তিনি ? যার কাঁধেতোরা দাঁড়িয়ে উঠলি, আজ সেই হলো বাতিল ?

তিনি একটু বেশিবেশি না হয়, রাগ করে ফেলেছেন, এই রকম করে শোধ নেওয়া?তার বেয়াই আবার উকিল মানুষ এই গয়েশপুরের লোক ভালোই চেনে এবার তার চোখ গুলো আবার গোল গোল হতে থাকে ,সত্যি কি তার ডিভোর্স পেপার তৈরী হচ্ছে ?, তার এতদিনের তিল তিল করে তৈরী সংসার, নিরু যখন খোকা হবার সময় খুব অসুস্থ, তিনি সেবা করেন নি? খোকা যখন টাইফয়েড হয়েছে, তার ওপর কি ঝড় বয়ে গেছে । তবে ?যত নষ্টের গোড়া, ওই উপাধি টা । আর তার বৌ এর বা কি আক্কেল । ছেলে বলেছে, আলাদা থাকতে, তাই শুনবে তুমি ?

তোমার কোনো বিবেচনা নেই নিজের ? বলেছেন ,বলেছেন, বেশ, করেছেন, তিনি নিজের বৌ কে বলেছেন, তাতে কার কি?তোদের এতে কান দেওয়ার কি দরকার ? তিরিশ দিন আজ । গত একমাস ধরে তার কত অসুবিধা ,,,চলছে কে খবর রাখে তার ?তাকে বোধ হয় ওই গ্রাম এর বাড়িতেই থাকতে হবে, তারই প্রস্তুতি চলছে । তিনি বন্ধু কাউকেও মনের কথা ঠিক খুলে বলতে পারছেন না, এত বিষম বিপদ হলো!গিন্নির কিন্তু কোনো হেলদোল নেই, সে দিব্বি, খাচ্ছে দাচ্ছে, পান চিবোচ্ছে, মন্দির যাচ্ছে, কেন ? কেন? সে এসে আড়ালে বলতে পারে না ,”ওগো, কাপ ভেঙেছো, তো কি হয়েছে, আবার কিনবো, তুমি আমি একসাথে থাকবো, সারা জীবন ।

“তা নয়, তিনি কথাই বলছেন না, একমাস ধরে রাগে দুঃখে তার চুল ছিড়তে ইচ্ছা হয় নিজের । দুপুর থেকেই কিছু একটা আয়োজন চলছে বাড়ি তে তার মনে হচ্ছে, তিনি বুজতে পারছেন, এসব তার গিন্নি আর বড়ো ছেলের মতলব, সাথে বৌমাও আছে সবাই আনন্দ করে থাকবে, আর তাকে ওই গাঁয়ে রেখে আসবে, তাই হোক, তাই হোক তিনি রায় বাহাদুর এর উত্তরাধিকারী, কারো কাছে নত হবেন না।বিকেল হয়ে সন্ধ্যা । নিচ তলা টা ফুল দিয়ে সাজানো হচ্ছে কেন ? সুগন্ধিত খাবারের ঘ্রান তার নাকে আসছে, কি ব্যাপার কি? বেয়াই, বেয়ান এসেছে, কিন্তু তারা তো ওপরে আসছেই না, ডিভোর্সের পেপার বোধ হয় রেডি, করে এনেছে, তাকে সই করিয়ে নিজেরা ভালো খাওয়া দাওয়া করবে ।

ঠিক, ধরেছেন তিনি ।বেশ, বেশ, ভালো কথা!ক্ষণিকের ভুলে রায়বাহাদুর সাজতে গিয়ে কি কান্ড, হলো তার, না খেয়ে তিনি থাকবেন না, পেনশন আছে, কিন্তু তিনি যে কিছু রাঁধতে জানেন না । ভজা, হতভাগা চাকর না টাকেই তিনি সঙ্গে নেবেন, দেশ থেকে দুদিন হলো এসেছে, কি শুনেছে, কে জানে, তার কাছে বিশেষ ঘেঁষে না। চেয়ারে বসে তিনি আকাশ পাতাল ভাবতে থাকেন।গাড়ি আসার শব্দ পেলেন, তিনি দোতলার বারান্দা থেকে, কি সব যেন নামাচ্ছে দেখলেন, অনেক গুলো লোক, ভালো; ভালো, সব আয়োজন তাহলে সম্পূর্ণ এদের,বড়ো ট্রাঙ্ক, হবে তার জামা কাপড় নেওয়ার জন্য, আচ্ছা, কারো কি একটুও মায়া দয়া নেই ? অভিমানে সত্তর বছরের মুখ থম থম করতে থাকে । নিরু কে তিনি হটাৎ দেখেন অনেক গয়না পরে একেবারে বেনারসি পরে, নিচ তোলাতে গেলো ।

বৌমাও তো বেনারসি পড়েছে । হতভাগা চাকর একটা নতুন তসর পাঞ্জাবি এনে তাকে পড়তে বলে গেল । মানে না টা কি এসবের ? তার ডিভোর্স সেলিব্রেট হবে নাকি আজ ? ছোটখোকা ও তো তাই করতে বলেছে, ছি, ছি । বলুক, নতুন পাঞ্জাবি তিনি পড়বেন না, কিছুতেই । সন্ধ্যা সাত তা বেজে গেছে ।তার সব বন্ধুর দল পরিবার সহ এসে খুব গল্প করছে হাসাহাসি চলছে, তিনি শুনতে পাচ্ছেন, হঠাৎ তার এক বন্ধু ওপরে এসে তাকে বলছে, চল চল, আর বসে থাকিস না, তোর ই চল্লিশ বছরের বিয়ের উৎসব, আর তুই যে এখনো বসে আছিস ? মানে? মানে, আবার কি ? কাল তো নেমন্তন্ন পেলাম, তোর বড়ো খোকা আর বৌমা গিয়ে করে এল যে! পাঞ্জাবি পরে নিচে এসে দেখেন, বিশাল কেক, তাতে হ্যাপি এনিভার্সেরী বলে লেখা আছে তার আর নিরুর নাম, ছোটখোকা নাকি এটা বিদেশ থেকে বিশেষ যত্ন করে পাঠিয়েছে ।

…… রাত এগারোটা, মন টা তার ভরেগেছে, এদের আয়োজন দেখে । শুধু নিরু আর বড়খোকার চোখের দিকে তিনি তাকাতে পারছেন না ঠিক । তার বৌমা এবার বেয়াই বেয়ান কে নিয়ে এসে চে, তার কাছে, আর হাসি যেন চাপতে পারছে না ঠিক ।প্রায় পঞ্চাশ জন মতো লোক রাতে খেয়ে যাবার পর, তিনি আর নিরু আবার সেই পুরোনো দিনের মতো এক ঘরে । নিরু কে এই বয়সেও কি অপূর্ব লাগছিলো দেখতে, বেনারসি তে ।”কেমন আছো, তুমি? “নিরুপমা জিজ্ঞসেস করে। “তোমরা ই তো পর করে দিয়েছো । “” কি করবো বল, বড়োখোকা বারণ করে দিয়ে ছিল “, “ সাথে বৌমাও, তোমাকে একটু শিক্ষা দেওয়ার জন্য । “”সত্যি, নিরু সেদিন এমন মাথা গরম হয়ে গেল যত দোষ এই রায় বাহা দূর উপাধি তার, “” তা নয়, দোষ “ তোমার ওই ধূসর পদাথের কিছু কোষের” নিরু বলে ।

,, দুজনে হেসে ফেলেন, “”আর, কোনোদিন হবে না, নিরু, । কি যে কষ্ট পেয়েছি এই একমাস, “ “তার মনে পড়ে যখন ছোট ছিলেন, তার এই বদ রাগের জন্য মা একবার জোরে তাকে থাপ্পড় মেরেছিলেন, বড়োখোকাও আজ তাকে একমাস কথা না বলে শাস্তি দিয়েছে ,বৌমা ও সাইকোলজি র লোক, সেও ব্যাপার বুজে শাশুড়িকে বারণ করেছিল তার সাথে কথা বলতে, তিনি যে চিরকাল বড় মেজাজি, তা তিনি নিজেই ভালো জানেন, সবাই তাকে সমজে চলে । ছি ছি ,, এরা তাকে কত ভালো বাসে, তার তো এরা পুরো হৃদয় জুড়ে, ,প্রিয় জন ছেড়ে থাকা যে কি কষ্টের, তা তিনি হাড়ে হাড়ে বুজেছেন ।

কিছু জিনিস মেনে নেওয়া আর মানিয়ে নেওয়া তেই আনন্দ ,ঘরে জোরালো হাওয়ায় ঠাকুরের ছবি, তার মায়ের ছবি দুলে ওঠে, যিনি অনন্ত কালের বিধাতা, যার সৃষ্টি সব কিছুর ,অবিরত যিনি ভাঙছেন, গড়ছেন, সব কিছু, নরনারীর মনের প্রেম, ঈর্ষা, ক্রোধ ও যার দান, তিনি কি হেসে ওঠেন ? মা ও যেন ছবিতে হাসছেন মনে হয়, দেওয়ালে এক জায়গাতে লেখা ঝুলছে, সংসার সুখের হয় রমণীর গুনে, কথাটা অসম্পূর্ণ, সংসার সুখের হয় নারী পুরুষের সঠিক বোঝাপড়া তে, কাল তিনি যোগ করে দেবেন। বাইরে থেকে বৌমা,ও খোকার হাসি ভেসে আসে, ছেলের থেকে যা শিক্ষা পেলেন, এ জন্মে ডিভোর্স তিনি আর করতে চান না ।

Leave a Comment

Your email address will not be published. Required fields are marked *