নাটক
(ধারাবাহিক)
মুখবন্ধ ও
পর্ব-১
২২/৫/২২
যমরাজ ও নগরের নটী
মহীতোষ গায়েন
[নাটকটি হাস্যরসাত্মক, ভাষা গুরুচন্ডালি দোষে দুষ্ট,নাটকের চরিত্রগুলি কাল্পনিক। বাস্তবের কোন চরিত্রের সাথে মিল নেই]
যমরাজ-এর পরিচিতি :
ইনি কালা ও ধর্মরাজ নামেও পরিচিত, মৃত্যু ও ন্যায়বিচারের হিন্দু দেবতা,এবং তাঁর বাসস্থান যমলোকে। তিনি প্রায়ই ধর্মের সাথে চিহ্নিত হন, যদিও তাদের ভিন্ন ভিন্ন উৎপত্তি ও পুরাণ আছে। তিনি রামায়ণ, মহাভারত এবং পুরাণ সহ হিন্দুধর্মের কিছু গুরুত্বপূর্ণ গ্রন্থে আবির্ভূত ।
তিনি আবার লোকপাল (নির্দেশাবলীর অভিভাবক), দক্ষিণ দিকের রক্ষক হিসেবে নিযুক্ত। তাকে প্রায়শই একটি অন্ধকার রঙের মানুষ হিসাবে দেখানো হয়, একটি মহিষের উপর চড়ে এবং আত্মাকে ধরে রাখার জন্য একটি ফাঁদ বা গদা বহন করে। শাস্ত্র তাকে যমীর (যমুনা) যমজ এবং সূর্য দেবতা (পূর্বের ঐতিহ্যে বিভাসবত) এবং সঞ্জনার পুত্র বলে বর্ণনা করে। তাঁর প্রধান কিছু উপস্থিতির মধ্যে রয়েছে পাণ্ডব, সাবিত্রী সত্যবান এবং ঋষি মার্কণ্ডেয়ের গল্প। তাঁর সঙ্গে ছিলেন চিত্রগুপ্ত, মৃত্যুর সঙ্গে যুক্ত আরেকটি দেবতা।[ আধুনিক সংস্কৃতিতে, যমকে ভারতের বিভিন্ন নিরাপত্তা অভিযানে চিত্রিত করা হয়েছে।
সূত্র: উইকিপিডিয়া]
[আম্রপালি-নগরের নটী
পরিচিতি:
আম্রপালি, “আম্বপালিকা”, “আমবাপালি” বা “আম্র” নামেও পরিচিত, খ্রিস্টপূর্ব ৫০০ অব্দে প্রাচীন ভারতে বৈশালী (প্রাচীন শহর) প্রজাতন্ত্রের (বর্তমান বিহারে অবস্থিত) প্রসিদ্ধ নগরবধূ বা রাজ বারাঙ্গনা তথা নর্তকী ছিলেন।বুদ্ধের উপদেশ অনুসরণ করে তিনি আরহান্ত হয়েছিলেন। পুরাতন পালি গ্রন্থ এবং বৌদ্ধ রীতিনীতিতে (আগাম সূত্র) তাঁর উল্লেখ রয়েছে, বিশেষত বুদ্ধের সাথেই তাঁর সংযোগ পাওয়া যায়। আম্বপালি উদ্যানে তার সঙ্গে অবস্থান করেছিলেন বুুুদ্ধ। পরে আম্রপালি তার আদেশে উদ্যানটি দান করেছিলেন এবং সেখানে বুদ্ধ তার বিখ্যাত আম্বপালিকা সূত্র প্রচার করেছিলেন।আম্রপালি কিংবদন্তির উত্থান প্রায় ১৫০০ বছর আগে বৌদ্ধ জাতক গল্পে হয়েছিল।
সুত্র: উইকিপিডিয়া]
আম্রপালি ও মানবধর্ম কথা
মহীতোষ গায়েন
আম্রপালি,দুঃসময়ে সব মাঝিরা সমঝে চলে
সব দাতারাই ভাবতে থাকে আসল নকল…
আম্রপালি,যায় না বোঝা মন মহিমা অসময়ে
কেউ কি বোঝে লড়াই করার কত ধকল।
মনের এবং মুখের কথা তাল মিলিয়ে ক’জন চলে
ক’জন আছে এই সমাজে নিম্নবর্গে সসম্মানে?
আম্রপালি,উদার এবং সহিষ্ণু সে ধর্মগুরুর আদর্শ
ছড়িয়ে দেওয়ার প্রবণতা বজায় আছে মনেপ্রাণে?
দিন চলে যায় রাত আসে,সুখ চলে যায় দুঃখ আসে,
তবুও দেখ সূর্য ডোবে চাঁদ ওঠে এই নীলিমায়,
ফুলের গাছে ফুল ফুটে যায়,নদীর বুকে স্রোতের ধারা
সময় এখন বহ্নিশিখা,হাসি কান্নায় দিন কেটে যায়।
সব ভুলে যাও আম্রপালি,নতুন ভাবে বাঁচতে শেখো
মায়ার খেলা ছিন্ন হলে নতুন লড়াই জারি রাখো,
মনের অসুখ,সুখের অসুখ সব সারিয়ে যুদ্ধ-জীবন
ও মহাকালের চিত্রপটে মুক্তিপথের স্বপ্ন আঁকো।
বিবেক: “নগরের নটী যায় এঁকে বেঁকে
পিছে ফেরেনাকো কভূ
অঙ্গে তাহার রূপের আঁধার
নয়নে বিদ্ধ যমপ্রভূ….”
যমরাজ: আ: এত দরদ দিয়ে গান করছে কে? গোধূলির রঙে প্রকৃতি মাতোয়ারা,স্নিগ্ধ বাতাস বইছে।সত্যই কী
নরকে কোন অপরূপ সুন্দরীর আগমন ঘটেছে!
(ক্রমশঃ)

ড. মহীতোষ গায়েন
চরিত্র গুলি নয় হবে চরিত্রগুলি
আপনার উল্লেখ করা বিষয়টি ঠিক করা হল ।