প্রেমোপাখ্যান
কামরুল ইসলাম
হয়তো বা
বিন্দু বিন্দু পুঞ্জিত ভাবনায়
তোমার হৃদপিন্ডের অলিন্দ-নিলয়ে
ব্যগ্র বিস্ময়ে সর্বত্র সমাগত
অগুনতি কৌতুহলের বিক্ষিপ্ত বিচ্ছুরণ।
হয়তো বা
ক্রমাগত বিরহের ঊর্মিমালা
আছড়ে পড়ছে প্রকোষ্ঠের তীরে,
প্রকম্পিত করছে হৃদয় প্রাচীর,
ধমনীতে ঊর্ধ্বমুখী লোহিত কনার আন্দোলন।
কিংবা
ভেবেছো প্রাচুর্যের অপয়া প্রশ্রয়ে
আপাদমস্তক আক্রান্ত আমি দিবাস্বপ্নে
কাটছি সাঁতার বিলাসীতায় হিমালয় নিঃসৃত কোমল জলে,
আষ্টে পৃষ্ঠে বেষ্টন করেছে অহমের বাতাবরণ।
হয়ত বা,
তুমি নারগিসকে লেখা নজরুলের চিঠিটি পড়ে ফেলেছো,
অনাহূত স্নায়ুবিক তাড়নায় হয়ত তুমি পরিশ্রান্ত, বিভ্রান্ত
তোমার কাছে অথৈ, অপরিমেয় আর অর্থহীন আমার
জীবন ও জীবিকার যোগসাজশে মুখর কর্মময় যৌবন।
কিন্তু
নজরুলের অন্ধ অনুচিকীর্ষু নই আমি
কেবল একরাশ উপদেশের উপহারেই আপনাকে ক্ষান্ত রাখবো।
তোমার প্রেমের সটান সুতোর কম্পন আজও আঁচ করি সর্বত্র সর্বাঙ্গে
দেহ মনে আজও রচিত হয় চিরচেনা আদিম শিহরণ।
সেদিন
অনন্ত অভিমান ভুলে নিজের অজান্তে দাড়াবে আয়নায়,
ললাটের মলাটে দীপ্তি ছড়াবে প্রিয় কালো টিপ,
অভিমানী তবু অভ্যাসের অত্যাচারে বসবে বারান্দায়,
উৎসুক দৃষ্টি তোমার থমকে যাবে অদূরে আবছায়ায়
কর্তব্যের কূহক-জাল ভেদ করে সেই স্নিগ্ধ সন্ধ্যায়
চুপি চুপি এসে
একরাশ গোলাপ হাতে তোমার আঁখি জল দিব মুছে,
নতজানু হব নিবিড় ভালবাসায়,
সন্ধ্যা তারা সাক্ষী হবে উদাত্ত উচ্চারণের-
প্রিয়, আজও আমি ভালবাসি তোমায়।