ক্রিয়েটিভিটি / দীপঙ্কর বেরা
————-
বহু মানুষের মধ্যে এখন আর কোন ক্রিয়েটিভিটি নেই। নতুন সৃষ্টির কোন তাগিদ নেই। অনেকেই সারাদিন কোন ক্রিয়েটিভিটি না করেই সময় কাটায়। সেই একই রকম ঘুম থেকে ওঠা মুখ হাত ধোয়া ছেলেমেয়ের পড়াশুনা করা বড়দের অফিস যাওয়া নয়তো কাজে যাওয়া গিন্নীদের রান্নাবাড়া ইত্যাদি ইত্যাদি।
সেই একই কাজের মধ্যে লেপ্টে থাকা। এই একই কাজের মধ্যে থেকেও একটু ভিন্ন ভাবা একটু ভিন্ন করা একটু অন্যরকম করে নিজেকে সাজাতে নিজেকে ভাবাতে আমরা কেউ চাই না। ঋত্বিক ঘটক বলেছিলেন “ভাবা প্র্যাকটিস করো”। আমরা ক’জন ভাবি। কিছু ভাবি না।
ফেসবুকে যা পাই শেয়ার করি। অন্যের মুখে যা শুনি সেটাই অন্যকে বলি। পেপারে যা লেখে সেটাই ঠিক মনে হয় মনে করি। ছেলেমেয়েরা বইটুকুই ভাল করে পড়ে না কিংবা পড়লেও সহায়িকা যা বলে তাই উগরে দেয়। ছবি আঁকা ছোটবেলায় দেখে দেখে আঁকে। তৈরি স্বরলিপিতে গান শেখে। কবিতা যেমন বলতে বলে তেমন বলে। তারপর যখন একটু পরিণত বয়সের দিকে এগোয় নিজের ভাবনা শুরু হয় তখন এসব অনেকেই ছেড়ে দেয়। কেন না আঁকা গান আবৃত্তি ইত্যাদি চর্চার মধ্যে কিছু না কিছু ক্রিয়েটিভিটি আছে। যারা এইসব চর্চা করে তারা নতুন কিছু তো ভাবেই। তার সংখ্যাও ধীরে ধীরে কমছে।
অন্যের তৈরি করা গেম খেলে, সিনেমা দেখে, গান শোনে, সিরিয়াল দেখে। এগুলো শুধু খেলে দেখে অথবা শোনে। শুধুই। তারপর সেইসব নিয়ে নিজে আর কিছু ভাবে না। অন্যকে খেলার জন্য এ্যাপ্রোচ করে কিন্তু নতুন কিছু ভাবে না, ভাবতে বলে না।