অভিশপ্ত
—দীপক বেরা
সে এক বাতাস ছিল—
আঁচল উড়িয়ে দিয়ে যেত দোল
ঢেউ ওঠে, ঢেউ ভাঙে..
কানে কানে কথা শোনার
কান পাতা আছে দেয়ালে অনেক
তবু, পড়োশির উঁকিঝুঁকি উপেক্ষা করে
দিয়েছি মস্ত উড়ান
শুনেছি চুপিচুপি নিষিদ্ধ মাদলের গান
স্বপ্নের ভিতর দেখি সারাক্ষণ মেঘ ও ময়ূর
আতর নিজ গন্ধে বুঁদ হয়ে ঝরেছিল বৃষ্টির মতন।
বৃত্তাকারে উড়ে চলা আকাশচুম্বি চিল
তীক্ষ্ণ নজর রাখে ঠিক তার খাদ্যের প্রতি
গাছে গাছে কচি কুসুম, কামনা-কাঞ্চন
যৌবনের বনে লেগেছে আগুন
পীড়নের তীব্র দহন ছড়ায় শরীর থেকে মনে;
নারীদেহ স্রেফ ডেটলের গন্ধ,
নারীকথা সব অকথ্য কথন।
তবু এ সত্য যে, —বাতাস দিয়েছিল দোল..
সৃষ্টির ভার বুকে ধরে সর্বংসহা ধরিত্রী,
অভিশপ্ত দেহে নারী, তার গর্ভে পোষে প্রাণ!