কবিতাঃ জীবন্মৃত
লেখকঃ দীপ দাশ নিশান
দেখলাম সেদিন পথশিশু এক, নাম জানা নেই তার,
বসে আছে সে আদুল গায়ে, পাশে ছবিটি বাবার।
জিজ্ঞেস করে জানলাম আমি, গত হয়েছে পিতা,
অন্তর তার পিতৃবিয়োগে, পাচ্ছে অনেক ব্যাথা।
মা জননী আছেন বেঁচে, এটা সুখের কথা,
বাড়ি ঘরে আর অলি গলিতে, করে তার মা ভিক্ষা।
কেমন করে তোমার পিতা, মারা গেলেন বলো,
অল্প দিনে কেন তোমায় অনাথ হতে হলো।
অশ্রু ঝরে দুই নেত্রের, দুঃখে কাঁদে শিশু,
মানিব্যাগটা বার করে তাকে, টাকা দিলাম কিছু।
দাঁড়িয়ে উঠে পা বাড়ালাম, শুরু করলাম হাঁটা,
খেয়ে না খেয়ে চলে তাদের, জীবন যুদ্ধের পাতা।
শপিংমলে পোশাক পরিহিত, কত প্রাণহীন পুতুল,
মানুষ হয়ে জন্মেছি যখন, করবো শত ভুল।
শরীর আছে, প্রাণ আছে, তবুও নেয় পোশাক,
আত্মহীনে পোশাক মিলে, গরীবের যত অভাব।
ধনীরা খায় মিষ্টি-মিঠাই, ক্ষুধা তাদের অনেক,
বলি আমি গরীবের দিকে, একটু তো ভাই দেখ।
খেতে পায় না, পরতে পায় না, অভাবের নেয় শেষ,
রোগে শোকে কষ্টে মরে, গরীবরা পায় ক্লেশ।
ভাবছি আমিও গরীব, তবু দেখছি বাঁচার স্বপ্ন,
“অভাব নিয়েই মরবো মোরা?”-সবার কাছে প্রশ্ন।
#শেষ
tnq the team.