কবিতা

Ashish Chaudhary

আগুনের কথাআশিস চৌধুরী দরজা খুলে গেলেই ওই গনগনে আঁচআমি তখন পতঙ্গ হয়ে যাইকেন যে এমন হয়!বহুবার দেখেছি দরজা খুলতে বন্ধ হতেবন্ধ হলে কী হয় সে তো সবাই জানেতবু যেন আমাকেই আলিঙ্গন করতে চায়বারবার হাতছানি দেয়বলে এখানে এসে সব জ্বালা জুরাওকেন গেয়েছিলে সেই গান‘জুরাইতে চাই কোথায় জুরায়’…আজ আর পিছিয়ে যেও না। ফুটনোট আশিস চৌধুরী যতই ঘৃণা …

Ashish Chaudhary Read More »

Subhadip Dutta Pramanik

ডিশ অ্যান্টেনা শুভদীপ দত্ত প্রামানিক ” হরে কৃষ্ণ হরে কৃষ্ণ কৃষ্ণ কৃষ্ণ হরে হরে । “মহামন্ত্রই শিশুর কোলদেখছি মনোরম স্নানমায়া স্পর্শ করছে গণিকা আহ্বান । শুক যা বলে বলুক আমার রাধা বাঁশিসত্য কৃষ্ণ গুরুতেই ধর্ম অর্থ কদাচিৎ জ্যামিতি শুদ্ধ প্রেমিকা মিথুনের তীরে খুলে বসে যোগীন । বৃন্দাবনে আজও সৃষ্টি হয় অপরিমেয় কোষহাততালি ভেঙে তুলে আনি …

Subhadip Dutta Pramanik Read More »

Jolly-Ghosh

সন্ধ্যামালা জলি ঘোষ পশ্চিমে ওই লাল দিগন্তে রবি বিদায় জানায়,আঁধার ঘনায় হিজল বনে ঘুঘু পাখির ডানায়।হাওয়ায় দোলে সবুজ গাছের সারিমেঠো পথে ঝিরি ঝিরি বারি।সন্ধ্যা নামে বলাকা সব ফেরে ঝাঁকে ঝাঁকে,চাঁদের আলো উঁকি মারে গাছের ফাঁকে ফাঁকে। ঠাকুরঘরে রোজ মা সন্ধ্যায় প্রদীপ জ্বালার তরে,মাথায় সিঁদুর পায়ে আলতা লালপাড় শাড়ি পরে।ধূপ আর ধুনার গন্ধ ঘরে ঘরে,মিষ্ট ঘ্রাণে …

Jolly-Ghosh Read More »

Mustary Begum

নৌকাবাড়ি মুস্তারী বেগম। ফেলে এসেছি যাকে সে আমার নৌকাবাড়িএক চিলতে উঠোন,অনেক কান্না ।কিছু খোলাপাতির খেলনাকিছু কান্না হাসির এ্যালবাম।ফেলে এসেছি আমার নৌকাবাড়িকে।দাঁড় ,মাঝি,হাল,পালের হাওয়া সব কিছু।পালে লেগে আছে আমার নিশ্বাসে অংশ।নদীতে মিশে আছে আমার আঁতুরে রক্ত।হালে লেগে আছে অশ্রুপানি।মাঝি এখনো আছে।তবে নৌকাবাড়ি এখন খুব ধীরে চলে।দাঁড় ,পাল সকলেই আমাকে জারজের মতো হেয় করে।যাত্রিরা আলাদ।কেউ খুনি,কেউ জল্লাদ।তখন …

Mustary Begum Read More »

SIDDHESWAR HATUI

কবিতা যেওনা দূরে সিদ্ধেশ্বর হাটুই তুমি কি আর ভাবতে পারো সেই দিনটির কথা ? তুমি ছিলে আমার কাছে-পাশে ঘুরেছি কত হেথা-সেথা। দুজনে মিলে গেয়েছিলাম সেই জীবনের জয় গান। যেখানে নদী মিলেছিল সমুদ্রে ভরেছিল অসহায় দুটি প্রাণ। আজ অনেক দিন তো হয়ে গেলো পাইনা আর তোমার দেখা। ব্যর্থ অভিসারে এ মন যায় পুড়ে লাগে যে ভীষণ …

SIDDHESWAR HATUI Read More »

Moshiur Rahman Mihu

অবিনশ্বর শহরের মানুষেররুদ্ধ অবাধ স্মৃতি,রক্তের রঙে রঙিনযত অবশ অনুভূতি।দেয়ালে বন্ধ রুমেরদাবানো শিহরিত কাকুতি,শেকল ভেঙে দুর্বারএযে আমারই আহুতি। আমি নশ্বর একচিলে কোঠার সেপাই,করোটির চিৎকারেঅবিনশ্বর দুলোক মাতাই। আজ আমাকে থামায় কে,আমি ছুটছি দূরান্তে চন্দ্র হাতে! মিহু

SIDDHESWAR HATUI

কে ছিল তোমার আপনসিদ্ধেশ্বর হাটুই কে যে ছিল আপন আগে আর আজ কে হয়েছে পর সমাজটা আজ যাচ্ছে পুড়ে- তার গায়ে ভীষণ জ্বর। কেউ ভাবেনা কারোর কথা নিজের কথাই ভাবে স্বার্থপরতার অন্ধকারে কে -কাকে দেখতে পাবে? খড়ের পালুই এ লেগেছে আগুন নেভানো বড় দায় মানুষকে আজ খাচ্ছে মানুষ কি আর করা যায় ! বন থেকেতো …

SIDDHESWAR HATUI Read More »

Dr. Amitava Mukhopadhyay

সোনা রোদের গান অমিতাভ মুখোপাধ্যায় সবার জীবনেই একসময়সোনা রোদের গানশোনা যায়তুলসী তলায় প্রদীপ জ্বলেঅঙ্গনে খেলে বেড়ায় জোড়া শালিককিংবা দামাল শিশুকেয়ারী করা বাগানে ফোটে মরশুমি গোলাপনয়তো হরেক রকমের জবাসেই সময়ও একদিনবদলে যায়বয়স বাড়েস্মৃতি হয়ে যায় অনেক কিছুইআপন হয় পরপর হয় আপনপ্রাঙ্গণে তখন শুধুই কুয়াশা আর বেহাগের সুর সোনা রোদের গান আর শোনা যায় না l

Jahangir Hossain

হৈমন্তিক প্রাণ জাহাঙ্গীর চৌধুরী হৈমন্তিক প্রাণ নবান্নের ঘ্রানএলো কার্তিক দেশে।নবান্নের গান গাইব সবাইখোশে মিলেমিশে।বেলা শেষে শিশির এসেঘাসের শীষে ভাসে।সকাল বেলায় রাঙা প্রভায়চিকচিকিয়ে হাসে।মায়েরা সব প্রাতঃকালেবানায় নানান পিঠা।খেজুরের রস সঙ্গে থাকলেখেতে দারুণ মিঠা।রাস্তার ধারে উড়ে নিত্যহরেক পিঠার ধোঁয়া।আসতে যেতে ভোজনরসিকলাগায় হাতের ছোঁয়া।নবান্নের এ উৎসব বাংলায়অন্যরকম উচ্ছ্বাস।সবার ঘরে বয়ে বেড়ায়নবান্নের এই সুবাস। ঈদগাহ, চট্টগ্রাম।

Md. Habibur Rahman

বিপরীত সময়ের মুখমুখি মুহাঃ হাবিবুর রহমান এই খানে একটি পদচিহ্ন একেঁ দাও-বিস্তর ফাক রেখ দাড়াও রৌদ্রজ্জল দিনের শুরু ভাগে,কোনো রাগ কিংবা অভিমান যেন তোমাকে স্পর্শ করতে না পারে।দিনের প্রথম ভাগের নরম রোদের তাপে উত্তপ্ত হবে তোমার মসৃন শরীরচুলের ডগায় জমবে ঘামের ফোটা-শ্রাবনে ঝরা ধারার মতো ঝরতে পারে নিঃসঙ্গ বৃষ্টির কণাপ্লাবিত মেঠ পথে জমে থাকবে ঘোলা …

Md. Habibur Rahman Read More »