
” উপহার “
বিকাশ চন্দ্র মন্ডল
এক গোছা টাটকা , রক্ত গোলাপ
তোমায় উপহার দিয়ে করি প্রেমালাপ ।
পরান বন্ধু তুমি আমারে
চিরদিন নিবিড় ভালোবেস।
মরণ দিনেও ,আজিকার মতো
এমনি ভাবে আকুল হয়ে
ভালোবেসে , মোর
শিয়রের পাশে এসে বোস ।
সংসার জীবনে , যাপিত দিনে
আমার ছোট্ট ভুলে কক্ষনো
ছন্দ পতনে , মন ভেঙে দিয়ে
আমায় একলা ফেলে , চলে যেও না ।
বল তুমি , চির তরে
হুট পাট করে
কখনো বিচ্ছেদ মামলা , আনবে না ,
একলা ফেলে চলে যাবে না ?
শিশু শ্রমিক
বিকাশ চন্দ্র মণ্ডল
গদীবেড়ো, রঘুনাথপুর, পুরুলিয়া
এই ভুবনে আমারা কুঁড়ি, ছোট্ট শিশু
মোদেরও পিতা রাম – হজরত – যীশু।
শৈশব মোদের নিয়েছে কেড়ে
পিতা – মাতা, মালিক, সমাজ আজ,
শিশু শ্রমিক হয়েছি তাই পড়াশোনা ছেড়ে।
শ্রমিক দিবস তবে কাদের তরে – – –
দু বেলা খাবার জোটে না, যাদের ঘরে ।
সংবিধানে আছে অনেক কিছুই লেখা ?
পেটের ক্ষুদায় পড়ে যায় সবই চাপা ।।

সুবর্ণ রেখার চরে
বিকাশ চন্দ্র মণ্ডল
সুবর্ণ রেখা নদী চরে দেখি ঘুরে ফিরে
কতই না অপরূপ শোভা তারি অঙ্গে ধরে।
পারাপার হয়ে যায় দেখো কত গরুর গাড়ি
দাশু গাড়ি চড়ে চলে যায় তার মামা বাড়ি।
নদী কূলে, ঘুরে ফিরে, বারে বারে জলে
জেলে মাছ ধরে তার ছোট্ট ছাঁকনি জালে।
গ্রাম্য পাড়া থেকে এসেছে কত দুষ্ট ছেলে
ডুব দেয় বারে বারে তারা ঐ ঘোলা জলে।
মানা করে দিলে আরো বেশি বেশি করে খেলে
জেলে এসে অবশেষে কত শত গালি দিলে।
পরে ওরা যায় ফিরে নিজ নিজ আপনার ঘরে
ভালো লাগে কত সুবর্ণ রেখার ঐ সোনালী বালু চরে।
কত স্বপ্ন, কত আশা, কত কথারা ভেসে গেছে জলে
পেট চলাতে সোনার রেণু পেয়েছে নাকি কালে কালে।
আর সেই সব আনন্দের দিন, হয় তো ফিরে আসে না ?
প্রকৃতি প্রেমের দিন গুলো কেড়ে নিয়েছে এখন সব ঐ মোবাইলে।