
এক গুচ্ছ ছড়া
সন্ধ্যা এল
বরুণ মণ্ডল
ধূলা উড়িয়ে রাখাল এলো
মাঠের থেকে ফিরে;
গ্রাম পাড়াতে সন্ধ্যা এলো
অলিগলি জুড়ে।
সন্ধ্যা প্রদীপ জ্বালিয়ে হাতে
ঘুমটাখানি টানি
গায়ের বধূ শঙ্খ বাজায়
তুলসীতলার রানী!
শঙ্খ আর উলুধ্বনিতে
মুখর হল গাঁ পাড়া;
দীপের আলোয় উজ্জ্বল হল
নিত্য অনটনেও যারা।
ঋতু বর্ণন
বরুণ মণ্ডল
গ্রীষ্মকালে দাবদাহ
জলের হাহাকার।
বর্ষাকালে মহা প্লাবন
জলেই ছারখার।
শরৎ হল মজার ঋতু
আনন্দের ছড়াছড়ি।
হেমন্ত ঋতু আরাম বেশ
নাতিশীতোষ্ণ ভারী।
শীতকালে হাড় কাঁপুনি
নলেন গুড়ের পুলি।
বসন্ত হলো ঋতুর রাজা
কেমনে সেটা ভুলি!
ভূতের কবি আড়ি আড়ি
বরুণ মণ্ডল
ভূতের কবি তোমরা থামো
আর লিখো না মিথ্যা ছড়া।
আজগুবি সব ভূত কাহিনী
বেজয় খারাপ ফালতু ওরা।
জ্ঞান দেয় না, ভয় দেয় খালি
মনে বোনে ভয়ের জাল।
ভূতের কবি….আড়ি, আড়ি
ভাব হবে না কোন কাল।
জীবনসমদ্র
বরুণ মণ্ডল
মহাসমুদ্রে পানসি যেবা
পাই না কভু কুল।
জীবনখানি বড্ড ছোট
হাতড়িয়েই আকূল।
অথৈ যে জীবন সাগর
এক ডিঙি যে আয়ু!
আফসোস আর খেদ
ছাড়লে প্রাণ বায়ু।
সাম্যের গান
বরুণ মণ্ডল
অঝর ঝরে বৃষ্টি খানি
করলো পূজা মাটি।
মহীর মাটি কাদা হল
ব্যর্থ পরিপাটি।
‘যার কিছু নাই’ কাঁদে
পাইনি কিছু বলে;
‘সব পেয়েছি’রাও দেখি
কাঁদে বাদল জলে।
মজার লড়াই
✍️ বরুণ মণ্ডল
ধান্দার বান্দা মানুষ
ওড়ায় সুখের ফানুস।
ভোগবাদে মত্ত হয়ে
পাগল আর বেহুশ।
‘এটা চাই, ওটা চাই’
নইলে এটা জীবন নয়।
সবার চেয়ে বেশি পেতে
চলছে মজার লড়াই।
জীবন ইতিহাস
বরুণ মণ্ডল
পানসি খানি
ভাসছে একা।
সেচছে বোকা
সাগর পানি।
রক্ত হল জল
ব্যর্থ কোলাহল।
খানিক খেয়ে
লবণ পানি;
চলছে মনি
বিশাল ধেয়ে।
ব্যর্থ হল পণ
এইতো জীবন।
কেন লিখি
বরুণ মণ্ডল
লিখব ছড়া
পড়বে কারা?
ভাবছি বসে
পচবে শেষে!
মরছি হেসে
কলম ঠেসে।
তবুও লিখি
তাতেই শিখি।
মনের কথা,
গোপন ব্যথা,
ছড়াক ছড়া
না হোক পড়া।
বরুণ মণ্ডল
তিলডাঙ্গা
রাণাঘাট
নদীয়া
ভারত