ধারাবাহিকতা
সৃজনে-বন্দনা পাত্র
পাথরকুচি সেই একই ভাবে জন্ম দিয়ে যায়
আরও একটি গাছের,
ঋতুরা মাঝে মধ্যেই ভুল পথে হাঁটে
আবহাওয়ার বদল ঘটে,
বর্ষা তার ধারাবাহিকতা বজায় রেখেই চলেছে
শ্রাবণ আকাশ মেঘ ভাসায়—–
কখনও রোদ্দুর, কখনও বৃষ্টি।
সকলেই নিজের পথে চলে একইভাবে—
কেউ অন্যের কথা শোনেনি,
এও তো আর এক ধারাবাহিকতা-
দেখায় শুধুই শুনছি তো—!
ফুচকাওয়ালা চলেছে নিজের পথে
সব্জির গাড়ি চলেছে নিজের পথে,
শুধু চলেনি কিছু স্কুল-পড়ুয়া
ধারাবাহিকতার কোনও চিহ্ন টুকু নেই।
গাছগুলো তেমনি দাঁড়িয়ে আছে নিজের মতো
ছায়া স’রে যায় দ্রুত বাতাস বয়ে গেলে,
বর্ষার দুপুর আগের মতোই বৃষ্টি নামায়
মাটির উঠোন বদলেছে,নেই তো ভিজে গন্ধ
বর্ষা-স্নান আর দেখি না
কোথায় ধারাবাহিকতা?
বিরহ তো টান নিয়েছে বিচ্ছেদে
কোথায় প্রেমের ধারাবাহিকতা?
এখন শুধুই শূন্য দুপুর অলস মাখে দুপুর-উঠোনে
ধারাবাহিকতায় জল ঢেলে দেয় ফুলের বাগানে,
বেলফুলের ঐ ঘ্রাণ নিয়ে যেই বৃষ্টি মাখি
সবাই বলে,ঐ যে রূপকথার ঐ রূপবতী।
মাটির গন্ধ পাই না নাকে–
দু’ফোঁটা জল পড়ল আঙুল ফাঁকে।
আবহাওয়ার বদল চলে ছয় ঋতুতে
অভিমানী-মেঘ দরজা খোলে আমার কাছে
ওরা শুধুই ফাঁকিবাজী দলছুট সব
পাথরকুচি আগে যেমন, তেমনি আছে।