জীবনটা অনেকটা ফুলের মতন।
আকাশ চন্দ্র শীল
.
যখন সে সদ্য কুঁড়ি হয়ে জন্ম নেয়, তখন তার জীবনটুকু দলমন্ডল গুলোর যাঁতাকলে থেকে তিক্ত, বিষাক্ত হয়ে যায় ।
আবার যখন প্রতিকুলতা পার করে সমস্ত সৌন্দর্য্য নিয়ে ফুটে উঠতে শুরু করে-তখন ফোটবার আনন্দে বিমোহিত হয়ে জীবনটাকে অনুভব করতে শুরু করে। শতপাপড়ির ডানা মেলে আকাশ পানে যেন স্বাধীনতা খুঁজে পায় সে।
কিন্তু,ঠিক তখনই আসে বিষ,আসে বিষাক্ত কীট,আসে ভ্রমর। পরাগায়ন,বশীকরন,শূন্যতা,বিচ্ছেদ। শেষে আসে বিষাক্ত হুলের তীব্র যন্ত্রণা। এতো বিষ,এতো যন্ত্রণা,এতো মন্ত্রনা শেষে যখন জীবন থেকে পাপড়ি ঝরে পড়া শুরু করে,তখন সে অক্ষম।
অক্ষম সে প্রেমিকার মুখে হাসি ফোটাতে। অক্ষম সৌন্দর্য বৃদ্ধিতে।অক্ষমতা আসে তার মেরুদণ্ডে ও। একটু শক্ত হয়ে দাঁড়াতে না পারার কারনে দমকা হাওয়াতে আয়ুর স্বল্পতায় সে তার জীবনের শেষ অস্তিত্বের মুহুর্তটাকে কল্পনা করে নেয় । কল্পনা করে জন্ম থেকে মৃত্যু পর্যন্ত টিকে থাকার সংগ্রাম।
জীবনটা কী সুন্দর ছিলো?
মন্দ ও তো ছিলো না,তাই না?
কি সুন্দর আকাশ দেখেছিলাম একবার!
.
-আকাশ চন্দ্র শীল
শিক্ষার্থী, ইংরেজি ভাষা বিভাগ
জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়
আকাশ চন্দ্র শীল