স্বামী – বিশ্বনাথ পাল

হরেকৃষ্ণ  বলে সদরে ঢুকতে না  নীচু দরজার বাজুতে মাথাটা ঢাঁই করে লাগল।গলগলিয়ে রক্ত বের হল খানিকটা।মনটা এক ধাক্কায়  দমে গেল।
খড়ের বিছানার গদির ওপর বসে সাত সকালে সবে কলকেতে পেত্থম টানটা দিয়েছে ভজন বৈরাগী।ধূমায়িত  নেত্রে বিভীষণকে দেখে ভজনের মাথা থেকে সমস্ত স্মৃতি লোপাট।
দাড়িগুলো এখনো সব পাকে নি এরই মধ্যে সে মোহান্ত মণ্ডলীর মাথায়!
  মাথার রক্তে চোখের পাতা অব্দি ঢেকে গেছে।কে গুরু কে শিষ্যা দেখার সময় কোথায়?
একটি মেয়ে  দরদী গলায়  বললো
খুব লেগেছে না সোনা?বলেই নিজের গিরি রঙের  কাপড় ছিঁড়ে  মাথায়  ফেটি বাঁধতে গিয়ে  আবিষ্কার করল এই মানুষটাই ওর স্বামী ।ক বছর আগে  কুম্ভ মেলাতেই সে হারিয়েছিল একদিন।

Leave a Comment

Your email address will not be published. Required fields are marked *