স্বাধীনতার আগের দিনের : বিশ্বনাথ পাল

তোমার শীতল ছায়ায় হৃদয় জুড়ানোর বার্তা

মৃত্যুঞ্জয়ীরা ঠিকই  দিয়েছিল।

অবিশ্বাসে বাঁধল গোল।

মরামানুষের  বালিশের খোল নিয়ে 

আজ যত গণ্ডগোল।

তোমার ছায়া দৈর্ঘ্যে-প্রস্থে  কমতে কমতে

শত ছিন্ন মায়ের আঁচলের মত।

গ্রীনহাউসের জবাবে কি  দেবে কাজ

ছাগল তাড়ানো বৃষ্টিতেও চুপড়ি ভিজে আজ —

হাল্কা  মাথা, লালটুপিদের ছেড়ে

হাজার হাজার  কিম্ভুত টুপি আজ যেন নেকড়ে !

তবুও  আগামীকাল কোন কোন অর্বাচীন 

বালকের মাথায়  বিনাপয়সায় তোমারই নামে

টুপি উঠবে তেরঙ্গা ।মনকে চাঙ্গা করে

গরীব পাড়ায় ঘুরবে দামী নামী কোম্পানির চাকা

ছোট একটু বিস্কুট মুখে ফুরোলে

সফেন ভাতের গন্ধে চাষাঢ়ে খিদে শকুন হয়ে

হামলে পড়বে যেই ,

ভোটার খোঁজা দূরবীণ গুলো আর পাশে নেই।

বুড়ো  চালাক রোগীটিও হাসপাতালের বেডে

ফ্রিতে একটা আপেল পেতে ওঠবস করবে

আসন্ন প্রসবার মতো বারবার।

একটা আপেল খুব যে দরকার।

তোমার স্নেহচ্ছায়ায় বড় হয়েও বিগড়োয় নি

যে বিএস এন এল —আজ নেতাধরা কোম্পানির 

কোপানলে ছাতাধরা ,গলসির কৃষকের মতো

সত্যিই ছাতার আড়ালে গরজের দরে বেচে সীম।

কালকের রেশ কেটে গেলেই 

 কনে দেখার ফাইনাল কথা –যাবে ঠিক কানে

এখনো বেশকিছু সংস্থা “রাষ্ট্রায়ত্ত সংস্থা” র তকমা

বহনে অক্ষম—দাদা গল্প করে এখানে ওখানে।

সব কনে একদিন জানে সদগতিকে করবে জামাই

নেতামন্ত্রীর পকেট উপচে -হবে বেমক্কা কামাই।

কাকের দল উপোসী ছারপোকার মতো চিৎকার

করে বারবার,গরীব মেধাবী ছাত্রটি দিন রাত এক করে –একটা চাকরি দরকার ।

মুরগির ডিম আর গজরাজ দারোগার গল্প তো জানি।তোমার ছায়ায় বেড়ে ওঠা সুসার,এ পোড়া সংসারে অভাব জিইয়ে  রাখে শুধু।

লক্ষকোটির আমানত কোন হরিমতি, হরিদাস

কিম্বা রোহিনীর গর্বের হয় না কারণ।

বিদেশিনী মারিয়ার গলে ঝোলে মরা দের মেরে

চুরির ধনে কোটি টাকার হীরের নেকলেস।

দোহাই  বন্ধু  গোল করো নাকো তোমার দু নয়ন

বাঘের পেটে হরিণ হবে জানোই যখন

এর নাম কী স্বাবলম্বন? পোড় খাওয়া  ঐতিহাসিক

বলতে পারে না ঠিক —তো তো করে গাল।

এর হিসেব দেবেই দেবে –মহাকাল।

পূজারী বেশে ঘাতকের গলে

নাই বা পড়লে বাঁধা  —এ মুস্কিলে

তোমার ছায়া  চাই,স্বার্থের রোদের 

চেয়ে  মায়ের আঁচলের মায়া

যে কোন শিশুর  পক্ষেই  দামী

শোন জনগণ।

Leave a Comment

Your email address will not be published. Required fields are marked *