“মা, আমার লেখার ডায়রিটা কোথায় রেখেছ গো, খুঁজে পাচ্ছি না …” বিরক্ত স্বরে বলে তিন্নি।
রান্নাঘর থেকে তিন্নির মা চেঁচাতে থাকে “ কী হবে লেখালেখি করে অত তোর? দুটো পয়সা তো ঘরে আনতে পারবি না , এত বড় মেয়ে একটা , তাও লেখা চাই । বাবার শরীরের অবস্থা দেখে তোর ইচ্ছাও হয়না একটু বাবাকে সাহায্য করি রোজগার করে । কতবার বলেছিলাম নাচটা শিখতে, কিছু টাকা অন্তত পেতিস নাচ শিখিয়ে। তা নয় ,ওনার লেখিকা হওয়ার স্বপ্ন! যত্তসব!”
রোজকার এই ঘটনায় অভ্যস্ত তিন্নি নির্বিকারে আবার ও জিজ্ঞেস করে “আমার ডায়রি টা দেখেছ কী ?”
“ আর বারবার এক কথা বলবে না । আমি তো চাকরির পরীক্ষা দিচ্ছি।” কেটে কেটে বলে সে।
“ বিক্রি করে দিয়েছি ।ঐ ডায়রিই যত কাল তোর। ফের যদি লিখতে বসেছিস তো …” রাগত স্বরে বলতে বলতে চলে যায় তিন্নির মা। শুধু নির্বাক রয়ে যায় তিন্নি। এতটা বোধহয় ও আশা করতে পারেনি।
মনে মনে ভাবে সে তাহলে কি সত্যিই মধ্যবিত্তদের স্বপ্ন দেখতে নেই?
রিনি