স্পোর্টস ইলাস্ট্রেটেড : আফতাব হোসেন

ওটা স্ট্র্যাপ বলে,,ব্রায়ের স্ট্র্যাপ । বউকে বললেই দেখিয়ে দেবে ” লজ্জায় পড়লাম । খুব লজ্জায় পড়লাম । বাসভর্তি লোক এর মাঝে মেয়েটার কোন কান্ডজ্ঞান নেই , যা তা বলে দেয় ।আজকাল কার মেয়েগুলো খুব ওভারস্মার্ট । প্রায় কোন কিছুকেই খুব একটা পাত্তা দেয়না । সে সিগারেট দোকানে হোক বা নিজেদের প্যাড কেনা ,সবেতেই বড্ড বেপরোয়া। আমাদের সময় তো মেয়েরা নিজের বরদের ও লজ্জা করতো ব্রা এর কথা বলতে। মেয়েটাকে চিনি না । ইদানিং ডেলি প্যাসেঞ্জার দেখছি ।সালী এক নম্বরের রেন্ডি নিশ্চই । না হলে কেউ এরকম ভাষা বলে । ইসসস,, সরি সরি আপনারা আবার ভদ্রলোক , রেন্ডি ফেনডি বললে আবার বুঝবেন না । মানে মেয়েটা চরিত্রহীন । কোথায় কোথায় যে কার কার সঙ্গে ঘপা ঘপ করে কেউ জানে না ।ইসসস আবার সরি,, ঘপাগপ মানে অবৈধ সম্পর্ক । সালা ভুলভাল ল্যাঙ্গুয়েজ বলে বলে এমন অভ্যাস হয়ে গেছে যে বুঝতেই পারি না সমাজে কোনটা চলে আর কোনটা চলেনা । আমাকে আবার খারাপ ভাববেন না যেন । আমি বাবু সাতে পাঁচে থাকি না । আমার হ তো হ , ন তো ন ।


যাই হোক আমার পরিচয় দিই । আমি ওই অফিস বাবুটা যে রোজ সকালে 9 টা পাঁচ এর লোকাল ধরি । ডেলি প্যাসেঞ্জার সিট রাখাই থাকে তবুও চেষ্টা করি বাম দিকের সিট গুলোই বসতে । লক্ষি দা বলে বাম দিকে বসলে  শাড়ির ফাঁকে পেট দেখা যায় । ইসসস,,,,আবার ভুলভাল বকলাম  । তিন পাত্তির 200 টাকার বেট চালাতে চালাতে রোজ আপ আর ডাউনে  বাচ্চা কোলে যে কালো রোগা বাজীগর মেয়েটা ভিক্ষে করতে আসে তার বুক ছুঁয়ে একবার চোখ টা বুলিয়ে নিয়েই দূর দূর করে খেঁকিয়ে উঠি সালা এই নোংরা মেয়েগুলোর লজ্জাও নেই । সালারা কোনদিনও পেট খালি রাখেনা । সহযাত্রী লক্ষি দা তো মাঝে মাঝে বলেই দেয় এরা সেই মাল মাইরি ,,দেখ সালা একটুও ঝুলেনি । আমিও ভাবি , সালা আমাদের ঘরের বউরা ফ্রিজ, ওয়াশিং মেশিন আর কাজের লোকের পরেও দিন দিন হাতি বাচ্চা হচ্ছে অথচ এদের দেখ । পুরো ডবকা । চিনতে পারলেন ?? আমি দাদা আমি । আমি কারো সাতে পাঁচে থাকি না । সেই সাদা জামা পরা  হ তো হ , ন তো ন বলা লোকটা আমি ।


ট্রেন থেকে নেমে 26বি বাসে রোজ ঘন্টাখানেক যেতেই হয় । লেডিস সিটে আমি কোনদিনও বসি না । মেয়েদের সিটে বসতে একটু পেস্টিজে লাগে ,রাগ ও হয় , ওদের জন্য সব জায়গায় একটা রিজার্ভেশন এটা মানতে খুব কষ্ট হয় । কিছু বললেই আবার ওনারা নারীবাদী ডায়লগ মারেন । আমিও মাঝে মাঝে শুনিয়ে দিই ,, সালা অর্ধেকটা বাস আর পুরো ট্রেনের কামরা ,তাও বলে ওরে চুপ মহিলা আমরা । রাগ টাই বা হবে না কেন বলুন ।এই যে সেদিনের ছুড়ি টা অফিসে ঢুকেই টপাটপ প্রমোশন । চোখে তো লাগেই না । লক্ষি দা বলে রাগ করিস না ভাই , তুই শুনিস নি  পৃথিবীর সব জুতো বানায় বাটা , সব লোহা টাটা আর সব প্রমোশন ফাটা । ইসসস,,,,আবার নোংরামি করলাম । বিশ্বাস করুন দাদা মন থেকে আমি এরকম নই , আমি দাদা কারো সাতে পাঁচে থাকি না । আমার স্ট্রেট কথা হ ত হ ন ত ন । চিনতে পারলেন এবার । ধুর আমি দাদা আমি ।


বাস থেকে নামার সময় তাড়াহুড়োয় হাতটা মেয়েটার বুক ছুঁয়ে গেল । বাপ রে বাপ কি খিস্তি ,বলে কিনা বাড়িতে মা বোন নেই । সালা আমারও রাগটা চটলো ,, ইচ্ছে করে করেছি কি , বয়ে গেছে করতে । সালা জিও নেট আছে আমার । রোজ লাইভ দেখতে পারি তোদের চেয়ে ধের ভালো মাগীদের । শালীরা কোথায় কোথায় বড় করে এসে এখানে ঝাঁঝ দেখায় । অত ছোয়াছুঁয়ির বাতিক থাকলে নিজের পার্সোনাল গাড়িতে যা । বগলকাটা জামা পরে বগলের চুল দেখাতে লজ্জা করে না আর একটু ছোঁয়া ছুঁয়ি হলেই গাঁ# ফাটে । সালীরা খা#কির জাত । আরো কিছু বলতাম । মাথায় আগুন জ্বলছিল । লক্ষি দা আটকালো । বলল দূর বাল ,,এসব বাদ দাও দিকি । নতুন একটা লোকাল পানু কেস আছে । জেন্ডার খোলো কাকা দিচ্ছি । বিশ্বাস করুন আমি ওসব নোংরামিতে নেই । পাঁচ মিনিটের ন্যাংটামি আমার ভালো লাগে না । লক্ষিদা কি ভাববে ,,তাই নিয়ে ডিলিট করে দিই । লক্ষিদা এখন আবার পুরো রাস্তাটা খ্যাপাবে ,, কি গুরু হাত তো মারলে ,,কেমন ছিল ?  নরম নরম ? ইসসস,,বিশ্বাস করুন,,আমি ওরকম নই । আমার উপায় থাকে না ।এদের সাথেই মিশতে হয় তো তাই । আমি দাদা এসবের সাতে পাঁচে থাকি না । আমার হ ত হ ন ত ন ।


অনলাইন প্লাটফর্মে এখন সালা ঘুষের চান্স কমছে । বড় বাবুরা ফোনে কন্ট্যাক্ট করছে আর অনলাইনের ফাইল এপ্রুভ করছে  । আমাদের মত নিচের জীবগুলোর কাছে এখন যে গুলো আসে সেগুলো একদম ছিটেফোঁটা । অফিস টা আজকাল অফিস মনেই হয় না । ভাগ্যিস কাকলিদী রা অফিসে আসে । স্লিভলেস ব্লাউজ এর ভেতর ব্রা দেখিনি ওর কোনদিন । শুধু আমি নই । কল্লোল ,স্বরাজ আর মিহীররাও অনেক চেষ্টা করে এসে একদিন স্যারেন্ডার করেছিল , বললো না দাদা শ্যামলি দী ব্রা পরে না । আমি তো সালা শুনে অবাক । বললাম দূর সালা এসব হয় নাকি । ব্রা না পরে কেউ অফিস আসে । কুন্তল দা ফুট কেটে বললো কেন দাদা আপনিও তো একদিন জাঙ্গিয়া ছাড়া চেষ্টা করতে পারেন । বললাম দূর বোকা মেয়েরা পারে রে,,ওদের তো দাঁড়ানোর কিছু নেই । কুন্তল কাউন্টার করে বললো তার মানে কাকলিদী নিচের টাও ফাঁ#,,,,ইসসস,,কি সব ভাবছেন আমাকে নিয়ে । বিশ্বাস করুন আমি এসব আলোচনায় থাকি না । নতুন চ্যাংড়া গুলো এসব ধ্যামনামি করে ।পরে লক্ষি দা বলেছিল এখন নাকি কি সব স্পোর্টস ইলাস্ট্রেটেড ব্রা আছে যেগুলোর নাকি দড়ি থাকে না । তবে যাই বলুন কাকলিদী দের বরেরা কিন্তু খুব ভাগ্যবান । আমাদের বউ রা তো অন্ধকারেও লজ্জা পায় । বিশ্বাস করুন আমি এসব ভাবি না । বউ বাচ্চা নিয়ে আমার সুখের সংসার । আমার হ ত হ ন ত ন ।


আরো কিছু টা লিখতাম । মুড টা খারাপ হয়ে গেল । লক্ষিদা ফোনে বললো কালকে অফিসে যাবে না । ওর মেয়েটাকে নাকি রোজ বাসে কোন লোক নোংরা চোখে তাকায় । কাল খুঁজতে যাবে কালপ্রীট টাকে । আজ নাকি লোকটা লক্ষিদার মেয়ের ব্রায়ের দিকে তাকিয়ে ছিল । 
চিনতে পারলেন ,, বিশ্বাস করুন,,আমি ওরকম নই,, আমি শুধু  মানে ওই একটু দেখছিলাম ,, মানে,,দেখছিলাম ,, ওই,,যে কি সব স্পোর্টস ইলাস্ট্রেটেড ,,,, মানে দড়ি থাকে না ।
#গাঁজাখুরি কল্পনা ,, মিল কাকতালীয় ।

Leave a Comment

Your email address will not be published. Required fields are marked *