#সোনার_খাঁচা

শিরোনাম : সোনার খাঁচা
কলমে : কেয়া চক্রবর্তী

সোনার খাঁচায় বন্দী স্বাধীনতা,
রয়েছি পরের অধীন,
মুক্তির অপেক্ষায় গুনি
সেথায় বসে দিন,
খাওয়ার অভাব নেই সেখানে,
তবুও নই স্বাধীন,
বন্দক দিয়েছি নিজের শখ, ইচ্ছা,
হয়ে রয়েছি পরাধীন।।
মুক্ত আকাশে ডানা মেলে
ওড়ার ছিল আশা,
জালে আটকে পড়েছি এখন
ভুগে চলেছি বন্দীদশা,
ওড়ার ক্ষমতা ক্রমশঃ
হারিয়ে ফেলেছি এখন,
খাঁচায় বন্দী এখন আমার
নিস্তরঙ্গ জীবন।।
সোনার খাঁচায় আটকে যায় দম,
যতই ডানা ঝাপটে মরি,
বন্দী থেকে পারি না উড়তে,
যতই ছটফট করি।।

নারীজীবন ও বন্দী তেমনই
এক সোনার খাঁচায়,
প্ৰথমে বাবা, পরে স্বামী,
তারপরে সন্তানের ইচ্ছায়।
এটা করো না, এতে
সম্মান হানি হয়,
একটিবার নারীর মনের
খবর কজন নেয় ?
সারাদিন মুখটি বুজে
খেটে চলে,
জীবন নামক যন্ত্রটি
পিষে যায় সংসারের যাঁতাকলে,
কত মেয়ে হয়তো ভালো
গাইতো গান,
বা নাচে ছিল তুখোড়,
পেয়েছিল কত সম্মান,
বিয়েটা হয়েছে এই শর্তেই,
এরপরে বন্ধ রাখতে হবে সব,
বাড়ির বৌ নেচে বেড়াবে,
এও কি বাস্তবে সম্ভব?
সংসার নামক সোনার খাঁচায়
এমন বহু নারী বন্দী হয়ে আছে,
যাদের খাওয়া পড়ার হয়তো অভাব নেই,
মনের খবর নেওয়ার কেউ নেই কাছে।।
মুখ বুজে মেনে নিয়েছে
অনেক অত্যাচার,
তারা সবাই নানাপ্রকার
মানসিক অত্যাচারের শিকার,
পাছে ভেঙে যায় তিলে তিলে গড়া
সাধের সংসার,
তার চেয়ে নিজের শখ, শৌখিনতা
বলি দি, মেনে নি সকল অত্যাচার।।
সবাই পায় না মনের মতন
মানুষ যে বোঝে মনের কথা,
নীরবে তাই তো অনেকেই
আজ সয়ে চলে তাদের ব্যথা।
জানিনা এভাবেই আর কতদিন
সোনার খাঁচায় বন্দী থাকবে কত সুপ্ত প্রতিভা,
পরিবারের মান যাবে তাই বন্দী জীবন
সোনার খাঁচায় পায়েতে বেড়ি বাঁধা?

©কেয়া চক্রবর্তী®

Leave a Comment

Your email address will not be published. Required fields are marked *