সে এবং একজন তার সখ্যতা – মোহাম্মদ শহীদুল্লাহ

দিনাকে সে একদিনের জন্য হলেও হাতের মুঠোয় নেবে।
পাঁচটি বছর ঘোরাঘুরিকে ব্যর্থ হতে দেবেনা।
মনের এই অবাঞ্ছিত প্রতিজ্ঞা একদিন সফল হয়েছে। প্রতিবেশি নাহিদকে দিয়ে বিয়ে করিয়ে আনে।ঘটকালিটা সে ই করিয়েছে।দিনাদের সাত ভাই, তিন বোনের সংসার। সুতরাং  তাকে বিদেয় করাটাই অত্যাবশ্যকীয় ঘটনা মনে করেছে দিনার অভিভাবকগণ।
এজন্যই দিনাকে বিনা যৌতুকে  পার করার মধ্যে একটা তৃপ্তিকর ঢোক গিলতে পারছে সবাই।

  
দিনার পেটের বাচ্চাটা নিয়েই নাহিদ বনাম দিনার মধ্যকার চিরাচরিত পারিবারিক ঘুষঘুষেজ্বর।
দিনা সুটকেস গুটিয়ে উঠে এসেছে।
দিনাকে সে ফুসলিয়ে ফাসলিয়ে নিজের ঘরে জায়গা করে দেয়।কিন্তু বাপের বাড়ি চলে যাওয়া ওর স্ত্রী সাতদিনের আগেই চলে এসেছে। এসেই মহাযুদ্ধ। দিনাকে পাত্তাড়ি গুটাতে হলো।
দিনার সংসার চলছে।ভাঙ্গাচোরা পথ। কখনো ধীরে।কখনো দ্রুতযান।ব্যবসাটাও ধরা দিয়েছে।কোম্পানি আসছে। অর্ডার পাচ্ছে।
দিনাকে দিয়ে সে নাহিদকে রাজি করালো। কক্সবাজার যাবে সাম।কিন্তু নাহিদের মনে কেবল ব্যবসার হিসেব।দিনটা গেলেই মাটি।কোটিটাকার হিসেবের মাঝে ফাঁক নেই।সময় কই?নাহিদের সময় নেই
অগত্যা সে ই দিনার একাকি যাত্রার বন্ধু হয়ে যাত্রা শুরু করে।
কক্সবাজার পৌছে হোটেল ভাড়া, এখানে সেখানে বেড়ানো,চারটা দিনে সে দিনাকে ঘিরে প্রচুর এনজয় করেছে। সমুদ্র,বার্মিজ মার্কেট, ঝাউবন,শঙ্খ মার্কেটের সময়গুলো অনবদ্য। আরো কদিন থাকার ইচ্ছে ছিল। কিন্ত ওর ধার্মিক বৌটা ফোন করে করে অস্থির করে রেখেছে।আজ ফিরতেই হবে।কারন ওর বৌ শরীর ভীষণ খারাপ।প্রেগ চেকিং পজিটিভ।
দিনা বাসায় ফিরে ভেবেছিল,  নাহিদ অত্যন্ত উৎকণ্ঠায় আছে।
না।সে ব্যবসা নিয়ে আগের মতই ব্যস্ত। রাতে কেবল দিনাকে ছোট্ট করে প্রশ্ন করে–নেকলেসটা কই?
দিনা ইতস্তত করে।
হারিয়ে ফেলেছো?চুরি গেছে?
দিনা নিরুত্তর।

কী হয়েছে– এটার উত্তর  দিতে গিয়ে শরীর কাঁপছে দিনার।

Leave a Comment

Your email address will not be published. Required fields are marked *