দেখেছিলাম নীরব সাঁঝে এক নাবালিকাকে কাঁদতে,
কেউ কি চায় তার মনের মাঝের বেদনার কথা জানতে?
তারে ডেকে প্রশ্ন করি কিই বা তার সমস্যা-
নাবালিকা বলে ওঠে তার টাকা উপার্জনের জন্য এ শহরে আসা;
কিন্তু এক ঝুড়ি মাটির পুতুলই ছিল তার একমাএ ভরসা,
এক বর্ষার দিনে যখন পড়ছিল অঝরে বৃষ্টি,
রাস্তায় হাঁটতে হাঁটতে পা পিছলে যাওয়ায় একটি পুকুরে পড়ে যায় পুতুলের ঝুড়িটি-
ভেবে না পাই সে কি করবে যখন
কান্নায় বালিকা ভেঙে পড়ে তখন;
কথা ছিল পুতুল বেঁচে যা করবে উপার্জন
তাই দিয়ে সে মেটাবে সংসারের প্রয়োজন
তাদের দিন আনা দিন খাওয়া পরিবারের একমাত্র সেই নাবালিকায় করত উপার্জন,
কারণ তার মা-বাবা এক দুর্ঘটনায় হয়ে পড়েছিল অক্ষম;
চেয়েছিল সে অনেকের কাছে অনেক সাহায্য,
কিন্তু কেউ করেনি তাকে কোনো গ্ৰাহ্য
শুনে তার কথা হয়ে পড়ি ভারাক্রান্ত
নাবালিকা টিকে কিছু টাকা দিয়ে সাহায্য করার নিই সিদ্ধান্ত-
টাকা পেয়ে নাবালিকার মুখে ফোটে হাসি
ব্যস্ততার সঙ্গে বলে ওঠে আজ তাহলে আসি;
মাসখানেক পর একদিন প্রাতঃভ্রমণে বেরিয়ে হঠাৎ দেখা পেলাম সেই নাবালিকার,
দেখি এক বৃক্ষের নীচে পুতুলের পসরা সাজানো তার
আজ সে নাবালিকা ভীষণ ব্যস্ত তার কেনাবেচায়
দেখে মনটা ভরে উঠলো তার সফলতায়;
হাঁটতে হাঁটতে পৌঁছে গেলাম বাড়ির দরজায়,
মনে মনে ভাবতে থাকলাম কিছু কিছু মানুষের জীবন কতটা সংগ্ৰামের হয়।।
Related Posts
অনন্ত প্রতীক্ষায় এখনাে প্রহর গুনি
Leave a Comment
/ অবস্থা ব্যতিক্রম নয়, কবিতা / January 5, 2019 January 5, 2019 / By
sahitya patrika