শীত মানে চড়ুইভাতি
শিশির ভেজা ঘাস,
শীত মানে লেপ কম্বল
চাঁদর মুড়ি দিয়ে বাস।
শীত মানে মেলার আসর
দল বেঁধে বেড়ানো,
রঙ বাহারী শীতবস্ত্র
গায়ে শুধু জড়ানো।
শীত মানে কুয়াশাচ্ছন্ন ভোর
একটু রবির খোঁজ,
শীত মানে গরম পোশাক
একটু উষ্ণতার খোঁজ।
শীত মানে নতুন খাবার
নতুন গুড়ের পায়েস,
শীত মানে রোদে পিঠে
খেয়ে সে কি আয়েশ।
শীত মানে আগুন পোহানো
খড়ের আঁটি জ্বেলে,
শীত মানে তো পাখির মেলা
নদী পুকুর ঝিলে৷
শীত মানে ডালিয়া-গাঁদা
চন্দ্রমল্লিকার বাহার,
শীত মানে তো পুলি-পিঠে
রকমারি সব আহার।
শীত মানে তো টাটকা সব্জি
সবুজে সবুজে ঘেরা,
শীত মানে তো বইমেলা
উৎসবেতে ভরা৷
শীতমানে রোদ পোহানো
একটু উষ্ণতার খোঁজে,
শীত মানে আড্ডা চায়ের
গরম ধোঁয়ায় মজে।
শীত মানে তো ঘুরতে যাওয়া
চড়ুইভাতির এক ধুম,
দল বেঁধে যেতে হবে
তাই নেইকো রাতে ঘুম।
শীতের এই রং তামাশা
পাইনা সবাই দেখতে,
ছেঁড়া পোশাক যাদের
রাতকাটে ফুটপাতে৷
শীতের যেমন আছে মজা
কষ্টও আছে ও তেমনি,
স্বধীনতার এতো বছর পরেও
চাঁদর কম্বল যারা পায়নি।
শীত মানে ওদের কাছে
শুধুই হাড় কাঁপানো,
কাঠ খড় জড়ো করে
সাত সকালে আগুন পোহানো।
ফুটপাতে শুয়ে থাকে যারা
খোলা আকাশের নিচে,
শীতের স্নিগ্ধতা বোঝেনা তারা
জীবনটা যে ওদের কাছে মিছে।
মোবারক মন্ডল