” আমি শান্তি চাই না। চাই না।চাই না।” চায়ের দোকানের বেঞ্চে বসে বছর চৌত্রিশের হরি দা বেশ জোর গলায় বলে উঠল।
” সে কী দাদা আপনি শান্তি চান না , আজব তো !” পাশে বসা বছর সাতাশের টুকাই অবাক হল।
” আজব কেন হে ছোকরা! আমার কী চাই আর কী চাই না তা কী তোমায় জিজ্ঞেস করতে হবে!” বিস্মিত হয়ে বলল হরি দা ।
” না তা ঠিক নয় ,সবাই তো যুদ্ধ নয় শান্তি চাই বলে নিজের প্রাণ পর্যন্ত বিসর্জন দেয়।আর আপনি শান্তি চান না । তাই আর কী!” টুকাই উত্তর দিল।
” এটা আমার পছন্দ, কী করা যাবে।” বেশ তাচ্ছিল্য করে বলল হরি দা।
” আপনার বাড়িতে শান্তি আছে তো?” দিশা পাল্টে প্রশ্ন করল টুকাই।
” অবশ্যই।” হরি দা কনফার্ম করল।
” আমাকে একটু ভাগ দেবেন। আমার কাছে না একটুও নেই।” টুকাই বিনয় ঢালা গলায় বলল।
” এক থাবড়া মেরে চোয়াল ভেঙে দেব , ত্যাদোর ছেলে!” হঠাৎ উত্তেজিত হয়ে বলল হরি দা।
” আপনি রাগ করছেন কেনও! আমি আপনার টাকা পয়সা , সম্পত্তি কিছুই তো চাইনি, শুধু একটু শান্তির ভাগ চেয়েছি !” করুণ গলায় বলল টুকাই।
” টাকা-পয়সা চাও , সাধ্য মত দেব । কিন্তু , আমার বাড়ির শান্তির কেশাগ্রও তোমাকে স্পর্শ করতে দেব না !” গম্ভীর হয়ে বলল হরি দা ।
” কিন্তু কেনও!” আশ্চর্য হল টুকাই।
হরি দা এবার গলা নামিয়ে আস্তে করে বলল ” শান্তি আমার বউয়ের নাম! “