তোমারই দুয়ারে এসেছি হে প্রভু
হস্ত যে মোর রিক্ত,
তোমারে পূজেছি, তোমারে জপেছি
হয়েছি ভক্তি রসে সিক্ত।
দেবার তরে নাহি মোর কিছু
মাগিবার আছে প্রভু,
শক্তি দিও পাহাড় প্রমাণ
না যেন হারি কভু।
জীবনের ভার বহিবার তরে
চাহি না কোনো ক্লান্তি,
মনের অনলে পুড়ে খাক্ হোক
অপারগতার ভুল ভ্রান্তি।
শিরে আমার পরশ করে দিও
তোমার চরণের ফুল,
সজাগ কোরো যদি কখনো
করে ফেলি কোনো ভুল।
সত্যের পথে রেখো হে সদা
তোমার আশীষ তলে,
জানি তুমি বিরাজিছো
আকাশে বাতাসে জলে আর স্থলে।
এটুকু প্রার্থনা করি হে নাথ
তোমার ঐ শ্রী চরণে,
সু – পথগামী যেন সদা রই
মম ইহ জীবনে মরণে।
সমুদ্রের সৈকতে বালির ভিড়ে
চাঁদের আলো যখন স্পষ্ট স্পর্শ করে,
একটু দমকা হাওয়া যখন
আমার গাল ছুয়ে বেরিয়ে চলে,
ঠিক সেই সময়ে নিশ্বাস জুড়ে
এক রাশ সতেজতায় তোকে মনে পড়ে
তুই ঝিলিক জানি মনে করিস না আমাকে।
আমি বাড়ির জানালায়
কনকনে শীতেও যখন চেয়ে থাকি আকাশে
হঠাৎ করে টেবিলের কলম পরে গেলে নিচে
আমার মনোযোগ ভেঙে ওঠে
এক রাশ বিষণ্ণতায় তোকে মনে পড়ে
তুই ঝিলিক জানি মনে করিস না আমাকে।
বইমেলা জুড়ে একটা আবৃত্তি সমগ্র খুঁজতে
একশো দোকান তিনবার ঘুরে
যখন হাতের কাছে আসে শেষের কবিতা
এক রাশ ভুল পরিকল্পনা জুড়ে তোকে মনে পড়ে
তুই ঝিলিক জানি মনে করিস না আমাকে।
বাড়ির কাছেই এক শহরে
মাঝে মধ্যেই আসা যাওয়া তোর
তবুও দেখা করার অজুহাত করে উঠিনি কোনোমতে,
এক রাশ আবেগের সাথে তোকে মনে পড়ে
তুই ঝিলিক জানি মনে করিস না আমাকে।
বারে বারে এক হয়
পরিবর্তন যে ভালোবাসার ধর্ম নয়।
যার গল্পের একটা পাতায় বানান ভুলেও আমি নাই
নিজের মনের কল্পনার জন্যে
তাকে কি নিজের করা যায়!
.