তোমার অনেক বয়স হয়েছে,
বয়সের ভারে তুমি জর্জরিত,
তাই বুড়ো ভামকে দেখে না কেউ
ভালো বেসে সেভাবে আর।
কানে শুনতে চায় না তো কেউ
তোমার ভাঙা গলার ঐ
প্যানপেনে কন্ঠস্বর বারংবার।
আজ আর যত্ন নেয় না
তোমার কোন আধুনিক ছেলে।
ভারতীয় প্রণম্য বাঙালী বিজ্ঞানী
আচার্য জগদীশ চন্দ্র বসু ও
ইতালিয় বিজ্ঞানী মার্কনীর হাত ধরেই
একদিন তুমি এসেছিলে আনন্দ দিতে
বিজ্ঞানেরই বিনোদনের খেলা ঘরে।
ছিল না কোন সে মতো সংযোগের তার
তাই তো তুমি হয়েছিলে নামে বেতার।
কলের যাঁতা কলে পড়ে হয়ে গেছো যে
কর্মহীন, একদম বেকার
তুমি ছিলে এক দিন
সমাজের জনশিক্ষা ও সংযোগ মাধ্যমের
বিনোদন জগৎ দরবারের মধ্য গগণে।
ফ্রিকোওন্সি মডিউল হয়ে পরে
যদিও ধরা দিলে এফ.এম হয়ে, তবুও
এ. এম, এস্. ডাব্লিউ এখন শুনতে
শোনাতে চায় না তো কেউ ?
এসেছে দুনিয়াতে যখন ইন্টারনেট,
ফেসবুক থেকে মেটা টুইটারের ঢেউ।
এনড্রয়েড মোবাইলেই পড়ে থাকে সব্বাই
হোয়াটস্অ্যাপ – চ্যাট, নেট,
লাইক কমেন্ট নিয়েই সময় কাটায়
তুমি তো এখন বিজ্ঞানেরই ব্রাত্য ছেলে !
তথ্য জালকের দুনিয়ায়, মোবাইলের বাড় বাড়ন্তে
রয়ছো তুমি নীরবে লোক চক্ষুর অন্তরালে।
একান্তে নিয়েছো বাস বাড়ির অন্ধকার গুদাম ঘরের বৃদ্ধাশ্রমে।
বিকাশ চন্দ্র মণ্ডল