বলছে শোন রবি ঠাকুর
কেমন আছিস ওরে?
জন্মদিনে এলাম নিজেই
এবার তোদের ঘরে।
অন্যবারে ডাকিস তোরা
আড়ম্বরের সুরে
নাইবা সেটা হল এবার
থাকতে পারি দৃরে?
আসার পথে মিলল না তো
একটা মোটর গাড়ি
তাই তো আমি হেঁটে হেঁটেই
আসছি তোদের বাড়ি ।
আমি যখন হাঁটা দিলাম
গ্রামের মেঠো পথে
ফসল নিয়ে হাঁটল না কেউ
আমার সাথে সাথে।
আবার যখন এলাম আমি
গ্রামের থেকে নগর
জনমানব শূন্য দেখি
লাগল না তো ডাগর।
চেয়েছিলাম ফিরে পেতে
গ্রাম বাংলা মাকে
চাইনি মোটে এমন ছবি
দিনেই ঝিঁ ঝিঁ ডাকে।
চেয়েছিলাম শহরখানি
থাকবে কোলাহলে
চাইনি মোটেই আমার শহর
ভরবে হলাহলে।
বড্ড ভালোবাসিস আমায়
তাই তো এলাম চলে
কোন কিছুই চাই না আমি
তোদের চোখের জলে।
জন্মদিনে দিতে পারিস?
এই উপহার ‘চাহিরে’
খুশি হব “ওরে তোরা
যাসনে ঘরের বাহিরে” ।