— ফ্যাটি লিভার থেকে সিরোসিস অব লিভার হয়। সিরোসিস অব লিভার থেকে লিভার ক্যান্সার হয়।ডাক্তার
রায় কথাটা বললেন। হাতে সিরোসিস টেষ্ট রিপোর্টে আর একবার তিনি নজর দিলেন।
– – তাহলে তো মৃত্যু? পলাশ পাল বললেন। গলায়
একটা ভয় নেচে উঠলো।
– – না। এখন মৃত্যু নয়। লিভার ট্যানফার করে বেঁচে যাবেন
—লিভার টান্সফারের অপারেশনের সাফল্যের হার টু পার্সেন্ট।
–এখন অনেক বেড়েছে। তাছাড়া আপনার লিভারের সিরোসিস হয়েছে ফাইভ পার্সেন্ট
আপনা সুগার প্রেসার কিছু নেই। আপনি ডেনজারেস জোনের মধ্যে নেই।
—-কত খরচ হবে?
-+-তিন লাখ।
– – – কে লিভার দেবে?
– – – আপনার পরিবারের যে কেউ। জেনারেলি পরিবারের সদস্যদের সংগে লিভার ম্যাচ করে।ডাক্তারের কথা শোনার পর পলাশ পাল বললেন-বাড়িতে আলোচনা করে আপনাকে জানাচ্ছি।
–দেরি করবেন না। নেক্সট মানথে আমি u kযাবো।
2
বাড়ি ফিরে পলাশ পাল বউকে বললেন সব। বউ শুনে কিছুখন চুপ থেকে বলল
—আমার বাবা বড্ড ভয় অপারেশনে। আমি লিভার দিতে পারবো না।
– – – আমি মরে গেলে কে সংসার চালাবে?
——–দেখ, সন্ধ্যার সময় অলুখনে কথা বলো না
পলাশ পাল ছেলের কাছে গেলেন। ছেলে
সব শুনে বলল–একটা কনডিশনে আমি লিভার ডোনেট করতে পারি।
– – – কনডিশনটা কি শুনি?
——-এই বাড়ি জমি ব্যাবসা সব আমার নামে করে দিতে হবে। রাজি আছো? ভেবে দেখ।
– – – তারপর আমি লোটা কম্বল নিয়ে কাশি বাসি হই? এই চাইছো তো তুমি? ।এত অর্থ খরচ করে
এই শিক্ষা দিলাম? ভালো।
মেয়ে শুনে বলল–দেখ বাবা, অরুন এ মাসে বিয়ে করবে। রেজিসটি ম্যারেজ করবে। ওর সংগে কথা না বলে তোমাকে কি করে কথা দি?
– – এখনও আমার খাচছো পড়ছো। আর লিভার দিতে অরুনের সম্মতি লাগবে? বা: বেশ।
3
বারান্দায় একটা দোলনা আছে। সেখানে বসে পলাশ পাল গান শুনতে শুনতে কফি খান। পেটে একটা ব্যাথা হচ্ছে। দিন দিন বাড়ছে। অন্যদিন দোলনাটা মৃদু দোলান।আজ তীব্র জোরে দুলিয়ে দিলেন। দোলনা শূন্য উঠে গেল।