এক
আজকাল কেউ কাউকে চিনতে পারে না
সকলের মুখ ঢাকা থাকে নানা রংঙের মাস্কে
আগে কি মানুষ চিনতে পারতো মানুষকে?
দুই
শীতের সন্ধ্যায় পার্কে শেয়ার করেছি
একটাই বড় নকশা করা লেডিজ চাদর
খিদের সময় একটা টিফিন বাক্স থেকে
শেয়ার করেছি সামান্য খাবার অমৃত
বর্ষায় একটা ছাতায় শেয়ার করেছি
বিয়ের পর পারলাম না শেয়ার করতে
এই স্বর্নরেনু মাখা জীবন।
তিন
তোমার আলুথালু চুল থেকে
তুলে এনেছি কতো নক্ষত্র
তোমার ঠোঁটে চুম্বনে ফুটেছে
কতো রক্ত গোলাপ, হলুদ গোলাপ
তোমার কন্ঠের গান
অজস্র ফুল ঝড়েছে চরনতলে
তোমার হাতের পর্শে শীত পারি
দিয়েছে আন্টাটিকায়।
কি আশ্চর্য! তিন বছরের সংসার
কে বা কারা মুছে দিল এই দুর্লভ ছবি।
চার
তোমার সারা অংগে মেখে দিলাম
এই মৃত্তিকা এই সৃর্যাস্তের বেলায়
যেন মৃত্যুর সময় ঘ্নান পাই এই মৃত্তিকার।
পাঁচ
সমস্ত যুদ্ধাস্ত রাখলাম
তোমার পদ্ম চরনে
কি আশ্চর্য!
মূহুর্তে পৃথিবী
হয়ে উঠলো বুদ্ধের চোখ।