ছোট্ট ভাইটা নাকের পোটা সারা মুখে মাখিয়ে কেঁদে যাচ্ছে,তাতে দু একটা মুড়িও লেগে আছে । চোখের জলে নাকের জলে একেবারে মাখামাখি ।
সবাই সকালবেলা মুড়ি খায় মোটা চালের মুড়ি, দু পাঁচ টাকায় পাওয়া যায়।এই এলাকার সবারই মুড়ি জোটে সহজে কিন্তু ভাত নয়। মুড়ির চাল দিয়ে দু একবার ভাত করে খাবার চেষ্টা করেছিল অনেকে, কিন্তু পেটে সয়নি, বিশেষ করে বাচ্চাগুলোর । তাই মুড়ি দিনে তিনবার ,যদি ঘরে থাকে । ভাত রেশনের চাল এর, তাও যা পাওয়া যায় তাতে মাত্র একবারই হয় এই ছয়জনের সংসারে।
সোনালীর, নিজে মুড়ি জল দিয়ে খেয়ে স্কুল বেরোনোর সময় ভাইকে কাঁদতে দেখে মনটা খুব খারাপ হল । বেচারা হাঁটতে পারে না ,শুধু শুয়ে থাকে। আজ ভাতের বায়না ধরেছে সকাল-সকাল ।
মিড ডে মিলের থালাটা নিয়ে সোনালী একটু আড়ালে গিয়ে প্লাস্টিকের ভেতর গরমাগরম ভাত তরকারি ভরে দৌড়ে গিয়ে ব্যাগে রেখে আবার থালা নিয়ে লাইনে দাঁড়ালো।