–
[post-views]
—
আমার মানবজমিন পতিত রয়ে গেলো একথা বলেছেন অনেকেই, যদি ঠিক সময়ে আবাদ হতো তাহলে হয়তো সোনা ফলত ; সোনা কিংবা রুপা কে না চায়? ষড়রিপুর দহনে আমরা একটা সময় পর্যন্ত জ্বলতে থাকি ।
বয়সের সঙ্গে এই রিপু দমনের গভীর সম্পর্ক আছে .আর কামিনী কাঞ্চন যিনি ত্যাগ করতে পারেন তিনিই মহাপুরুষ. এর একটি উল্লেখ যোগ্য দৃষ্টান্ত হলেন: যুগাবতার শ্রী রামকৃষ্ণ দেব. কিন্তু সাধারণ মানুষের এ জীবনে চাওয়া-পাওয়ার শেষ নেই,
কিন্তু কিছু পেতে গেলে কিছু যে দিতে হয় একথা আমরা সব সময় মনে রাখি না, না পাওয়ার জন্য আক্ষেপ করি -জীবনে যা কিছু সাফল্য তা নিজের বলে দাবী করি, আর যা কিছু ব্যর্থতা -তা ঈশ্বরের দিকে ঠেলে দিই. এটাই মানব চরিত্র, তাই আবাদ কিংবা বরবাদের দায় নিজেকেই শেষ পর্যন্ত নিতে হয়, দস্যু রত্নাকর তার বড় প্রমাণ. এরই নাম জীবন সংগ্রাম.আর টিকে থাকার নাম:উদ্বর্তন ।
তাই মানব জমিন যাতে বিষবৃক্ষে পরিণত না হয় তা সময় থাকতে থাকতেই নজর দেওয়া উচিত, অপরের সম্পদ দেখে অনুতাপ করে যেমন কোনও লাভ নেই, ঠিক এটাও মনে রাখতে হবে -সেই সম্পদও স্থিতি শীল নয় -সাময়িক.আজ যা আমার হলো কাল তা অন্যের ছিল.পরশু বা আগামীদিনে তা আর এক জনের হবে. উলঙ্গরাজা কিংবা ফকির সকলকেই একদিন সাজতে হবে, এই নিয়মের ব্যতিক্রম মেলা ভার. এটাই মানবজীবনের বিধিলিপি , শ্রেষ্ঠ পরিণতি !
তাই যে সময়ের যা কাজ তা নিয়মের সঙ্গে সম্পন্ন করাই উচিত. এই প্রসঙ্গে আরও একটি কথা মনে রাখা জরুরী: সময় ও নদীর স্রোত কারও জন্য অপেক্ষা করে থাকে না. আর একবার যা চলে যায় বা হারিয়ে যায় তা আর ফিরে আসে না. যদি কারও জীবনে তা পরিশ্রম লব্ধ হয়ে ফিরেও আসে তা পরিবর্তিত রূপেই আসে ।
মানব সমাজের সব থেকে বড় ত্রুটি হলো আবেগে ভেসে যাওয়া.এটা মনোবিজ্ঞানের বিষয়. আবেগ ছাড়া কোন কাজ হয় না এটি যেমন সত্য আবার সেই আবেগ যেন নিয়ন্ত্রিত থাকে. রাগ, অভিমান, ক্ষোভ -বিক্ষোভ সবই আমাদের গুরু মস্তিষ্ক র নির্দেশেই পরিচালিত হয়. মস্তিষ্কই মনো জগতের নিয়ন্ত্রক. আর আচরণ তার বহিঃ প্রকাশ মাত্র ।
শেষে বলি, এই মনকে সঠিক পথে যে বা যারা সাধনা সর্বোপরি স্থির সংকল্পের মাধ্যমে নিয়ন্ত্রণ করতে পারেন তাঁর মানব জমিন পতিত থাকে না, কোন উৎকৃষ্ট না হলেও উপাদেয় ফল ফলবেই ।
–
–
–