মহাপৃথিবীর কবি, মহাজীবনের কবি গোলাম রসুল

আলোচক – তৈমুর খান 

এই সময়ে বাংলা কবিতায় যে ভিন্ন স্বরের উপস্থিতি লক্ষ করা যায় যাঁদের কবিতায়, তাঁদের মধ্যে অন্যতম হলেন কবি গোলাম রসুল। বাংলা কবিতার চিরচেনা পথে হাঁটতে অভ্যস্ত পাঠকরা স্বাভাবিকভাবেই গোলাম রসুলের কবিতায় বিভ্রান্ত হতে পারেন। যে ব্যাখ্যা, যে দর্শন, যে জীবনবোধ নিয়ে বাংলা কবিতার পাঠক কবিতার কাছে উপস্থিত হন; গোলাম রসুলের কবিতায় সেই পথ আর খুঁজে পাওয়া যায় না। গোলাম রসুল তাঁর সত্তাকে কবিতায় স্বয়ংক্রিয় করে তুলেছেন। অনেক ক্ষেত্রেই তা abnormal psychology হিসেবে উপস্থিত হয়েছে। সম্প্রতি প্রকাশিত ‘শূন্য যেখানে শূন্য নয়'(প্রথম প্রকাশ নভেম্বর ২০২১) ৮৬ টি কবিতা নিয়ে প্রকাশিত কাব্যটিতে তাঁর সৃষ্টির অনন্যতা আরও তীব্র হয়ে উঠেছে।

    কাব্যের শেষ কবিতা ‘শূন্যের চেয়ে শূন্য’তে তিনি লিখেছেন:

 “শূন্যের চেয়েও আমি শূন্য হয়ে যাই

 আলো পার হয়ে দেখি আমার হৃদয়

 যে অনুসরণে তৈরি করে নিয়েছি ভালোবাসা আর স্নেহ

 শরীরের ভেতর কেঁপে ওঠে পৃথিবী

 প্রতিটি হিংসা ধারালো হতে হতে আত্মহত্যা করে”

 এই বোধকে তখন আমরা আর আমাদের সামর্থ্য দিয়ে উপলব্ধি করতে পারি না। কীভাবে তা ঘটে যায়, কোন্ শক্তিতে তা সচল হয় তা আমাদের ধারণাতীত এক ক্রিয়াসংযোগ। তখন মনে পড়ে যায় অস্ট্রিয়ান নিউরোলজিস্ট, মনোরোগ বিশেষজ্ঞ, দার্শনিক, লেখক এবং হলোকাস্ট থেকে বেঁচে ফেরা ও লোগোথেরাপির প্রতিষ্ঠাতা ভিক্টর এমিল ফ্রাঙ্কল(১৯০৫-১৯৯৭)-এর একটি উক্তি: “An abnormal reaction to an abnormal situation is normal behavior.”

(Victor Frankl, Man’s Search for Meaning)

 অর্থাৎ একটি অস্বাভাবিক পরিস্থিতিতে একটি অস্বাভাবিক প্রতিক্রিয়াই হলো স্বাভাবিক আচরণ। এই অস্বাভাবিক পরিস্থিতি শুধু আমাদের বাস্তব পৃথিবীতে নয়, আমাদের মনোজগতেও নানা ভাঙচুর সৃষ্টি করেছে। যেখানে সদর্থক কোনও মূল্যবোধ নেই। স্বাভাবিকভাবেই কবিও অশ্রয়চ্যুত। আর সেই কারণেই একটি নিজস্ব জগৎ সৃষ্টি করেছেন যা বিনির্মাণ হিসেবেই তাঁর কাব্যকলায় প্রকাশিত।

     আধুনিকতার যে মূল বৈশিষ্ট্য বিজ্ঞান ও যুক্তিবাদ, সত্যতা ও মানবতাবাদ সেইসব চিরচেনা সড়কে গোলাম রসুলকে খুঁজে পাওয়া যায় না। চিরাচরিত দর্শনের মধ্যেও তাঁর প্রতীতি নির্মাণের অভিমুখ হয়ে ওঠেনি। মানবীয় চেতনাকে এক ভিন্নতর অবলম্বন দান করতে চেয়েছেন যে অবলম্বনকে স্বপ্নেও দর্শন সম্ভব নয়। কোনও বিশেষণেই তাঁর কবিতাকে বিশেষিত করা যায় না। সর্বদা এক বৈপরীত্য ও বিষম দর্শন এবং অগোচর এসে উপস্থিত হয়। আমাদের কাঙ্ক্ষিত অনুধাবন ভেঙে যায়। অথচ আশ্চর্য—সবকিছুই স্বয়ংক্রিয়ভাবেই রচিত হয়েছে। যে ইতিহাস আমাদের আদিম জীবনের উত্তেজনাকে মনে করিয়ে দেয়, আমাদের সভ্যতার উত্থানকে তুলে আনে, গোলাম রসুল সেই ইতিহাসের মধ্যে যখন নিজেকে প্রবেশ করান, তাঁর অতীত সত্তার সঞ্চার ঘটান— তখন আমরা দেখতে পাই:

 “একটি রুটির আকারে মানবজাতির সভ্যতা

 আমাদের মেয়েরা প্রচণ্ড বৃষ্টির মধ্যে কাঠের আগুনে কীভাবে সেঁকে ফেলত সেই রুটি

 অনেক রাত্রিতে আমরা কাঁচের গ্লাসে জল পান করতাম আর অনুভব করতাম জীবন

 ছোটবেলা থেকেই আমি খুঁজে বেড়াই মেঘ

 বৃষ্টি আমাকে কিছু কথা মনে করিয়ে দিতে পারে যেগুলো একটি গাছের গোড়ার মতো

 সন্ধ্যায় পড়তে বসেছিলাম

 যারা অন্ধকারে আছে তাদের ইতিহাস”                                                                (ইতিহাস)

 মানব জাতির সভ্যতা তখন রুটির মতো, বৃষ্টির মধ্যেই মেয়েরা কাঠের আগুনে সেই রুটি সেঁকছে। কাচের গ্লাসে জলপান করছে পুরুষরা। মেঘ খুঁজে বেড়ানো কবি গাছের  গোড়ার মতো কথা মনে করছেন। সন্ধ্যায় পড়তে বসে যারা অন্ধকারে আছে তাদের ইতিহাস পড়ছেন। এই অংশটুকুকে প্রাগৈতিহাসিক বলতে পারি না। কাচের গ্লাসে জলপান সভ্যতার পরিশীলিত রূপ হলেও অন্ধকারে থাকা ইতিহাস আত্মদর্শনের গভীরতাকে স্মরণ করায়। ‘গাছের গোড়ার মতো’ বলতে সেই প্রত্নচারী পরিচয়টিই ফিরে আসে। ‘অসুখ’ নামের কবিতাতেও এই ইঙ্গিত আছে। ব্যক্তি সেখানে সমূহের ধারক। অসুখও মানুষের মুখ হয়ে ফুটে ওঠে। কবি লেখেন:

“আর এই মুহূর্তে আমি নিরুদ্দেশ থেকে ফিরলাম

 কী কঠিন ছিল জীবন

 অজানা ঠিকানা ছিল আমাদের জন্ম”

   শরীরও গাছ। আবার শরীরেও গাছ। নিজের দেহকে দেখেই পৃথিবীকে দেখা হয়। নিজেকে পৃথিবীর মধ্যে হারিয়ে দেওয়াও যায়। আবার অনেক মানুষের মধ্যেও আবিষ্কার করা যায়। আকাশ, সন্ধ্যাতারা, নদী, জল, সূর্য,চাঁদ, বজ্রপাত, মৃত্যু ও জীবনের মধ্যেও সঞ্চারিত হওয়া যায়।ম্যাজেন্টা পেরিউইঙ্কল ছদ্মনামে কেলি শ্যাফিন  ২০১১ সালের বসন্তে প্রকাশিত ‘কাটিং ক্লাসে’  লিখেছেন: “I had choosen the path of the black sheep rather than that of the unicorns and puppies.”

(Magenta Periwinkle, Cutting Class)

অর্থাৎ  আমি ইউনিকর্ন(গ্রীক ও ল্যাটিন পুরাণে বর্ণিত সিংহের ল্যাজবিশিষ্ট কাল্পনিক একশৃঙ্গি অশ্ব)এবং কুকুরছানাদের চেয়ে কালো ভেড়ার পথ বেছে নিয়েছিলাম। উল্লেখ্য তিনি তাঁর তিনটি বিড়ালের সাথে টেক্সাসে থাকেন এবং একদিন একটি বানরের মালিক হওয়ার আশা করেন। একটি মনস্তাত্ত্বিক অফিসেও তিনি কর্মরত। কবি গোলাম রসুলও বিড়াল-কুকুরদের সঙ্গে জীবন কাটান। তাঁর স্বতশ্চল অভিযাপনে এই স্বয়ংক্রিয়তাই বহুমুখী পর্যটন হয়ে উঠেছে। ‘আমরা রাতের শহরের ভিতরে কুয়াশায় ভিজতাম’ কবিতায় গোলাম রসুল লিখেছেন:

 “অনেক রাত্রি

 উড়ে যাওয়া রাস্তা বাজ পাখির মতো

 আকাশে অরণ্যের মিউজিয়াম

 পৃথিবীর কাটাছেঁড়া দাগ

 আর নক্ষত্ররা ধাতুর তৈরি আমাদের দৃষ্টি”

পেরিউইঙ্কলের কালো ভেড়ার পথের সঙ্গে উড়ে যাওয়া বাজ পাখির মতো রাস্তারও কোথাও মিল খুঁজে পাই। উভয় লেখকই জীবনকে চেতনা প্রবাহের পর্যাপ্ত আবেশ দান করেছেন। বলেই তাঁদের চলার মধ্যে এক মুক্তির ঠিকানা অন্বেষণ আছে। মনে রাখতে হবে, গোলাম রসুল জীবনকে মহাজীবনের সোপানে পৌঁছে দিয়েছেন। পৃথিবীকে মহাপৃথিবীর প্রাচুর্যে এবং আকাশকে মহাকাশের বিরামহীন চক্রে উপস্থাপন করেছেন। খুব সাধারণ বিষয়ের মধ্যেও অসাধারণ এসে উপস্থিত হয়েছে। বিস্ময়ও মহাবিস্ময়ের অন্তর্গত। তাঁর সংকেত প্রাপ্তির মধ্যে এসেছে মহাসংকেত। সত্তার মধ্যে মহাসত্তার জাগরণ। তাই চেতনাও হয়েছে মহাচেতনা। যুদ্ধের খর রৌদ্র, দুঃখের প্রতিবিম্ব, আগুনে আঁকা রাত্রি, গর্ভপাতে জন্মানো শহর, মৃত্যুও পাণ্ডুলিপি, বাড়িগুলিকে হাত দেখানো এবং জানালাগুলিকে শূন্যে ছুঁড়ে দেওয়া, গোধূলির সড়ক পথে চাঁদকে একটি মাল বোঝাই ট্রাক হিসেবে দেখা, আর আদিগন্ত ঘুম সবই আমাদের জীবনচেতনার সীমানায় ধারণা করাও মুশকিল হয়ে ওঠে। সচরাচর যা কল্পনায় ধরা যায়, যাকে জাদুবাস্তবের ফ্যান্টাসি হিসেবে দেখার চেষ্টা করি এখানে সেসবকেও ছাড়িয়ে যায়। একটা স্বয়ংক্রিয় ব্যাপ্তির ভেতর যে জগৎকে আমরা পাই সেখানে বহুমুখী ক্রিয়াগুলির এক একটি অবিশ্বাস্য প্রয়োগে নিরন্তর এক সচল রূপকথা খেলা করে। যে রূপকথার সম্মোহনে কবিসত্তারই বিকাশ ঘটে। প্রত্নপ্রাজ্ঞের উত্থানে সভ্যতার আদি-অন্তহীন অবস্থান মেলে ধরেন। বস্তুও প্রাণের মহিমায় সাড়া দেয়। গ্রহ-উপগ্রহগুলিও কথা বলে ওঠে। উপলব্ধির ক্ষেত্রটিও বিস্তৃত হয়। মানুষের হৃদয় এক ঝাঁক মৌমাছি অথবা মিছিলের প্রতিধ্বনি হয় পর্বত। কাগজের আকাশ লাইব্রেরির চিহ্ন হয়। কবি তখন লেখেন:

 “দূরে সন্ধ্যা

 জীবন

 আর বালিকা চাঁদ

 বৃষ্টি পড়ছে

 আমি শুনছিলাম মেঘের গান”

 সময়, চাঁদ এবং জীবনের সম্মেলন ঘটলেই বৃষ্টি পড়া শুরু হয়। তখন মেঘের গান শুনতে পান কবি। রবীন্দ্রনাথ শুনেছিলেন বজ্রের বাঁশি। সেই সুরে জাগার মতো কানও চেয়েছিলেন:

“বজ্রে তোমার বাজে বাঁশি, সেকি সহজ গান!

সেই সুরেতে জাগব আমি, দাও মোরে সেই কান ॥”

 কিন্তু কবি গোলাম রসুল সেই বজ্রের গান শুনেছেন। মহাবিস্ময়ের জাগরণে সাড়া দিয়েছেন। আলোর অন্ধকারে রাস্তার ধারে দেখেছেন বিমূর্ত গলিকে। সময়, স্থান, গ্রহ-নক্ষত্র, দিন-রাত্রিকে ‘তুমি’ সর্বনামে সম্বোধনও করেছেন। পৃথিবী বন্দরে নেমেছে। আকাশে ভেসেছে শহর। স্রোতে ভেসে গেছে মনুষ্যত্ব। মেরুদণ্ড শুয়ে আছে কবরের প্রহরে। কবি নিজের অস্তিত্বের কথা ভেবে দেখেননি জীবনের বিজ্ঞাপনের মতো। শুধু নিজের অবস্থানটি জানিয়েছেন:

 “আমি বসে আছি শূন্যে

 না-দেখা মহাকাল

 আমার বিশ্বাস একটি নৌকা ভাসছে”

 এই শূন্য নাথিংনেস-এর মধ্যে বিলীয়মান। জন্ম-মৃত্যুর চেতনাপ্রবাহ থেকে আত্মস্থিত প্রজ্ঞাও এখানে অবস্থিত। সুতরাং নাথিংনেস্ও এম্পটিনেস্ নয়। বিষয়টি নিয়ে ভেবেছিলেন খুব কম বয়সী যুক্তরাজ্যের একজন ইংরেজ নাট্যকার, চিত্রনাট্যকার এবং থিয়েটার পরিচালক সারাহ কেন(১৯৭১-১৯৯৯):

“Built to be lonely

to love the absent.

Find me

Free me

from this

corrosive doubt

futile despair

horror in repose.

I can fill my space

fill my time

but nothing can fill this void in my heart.”

(Sarah Kane, 4.48 Psychosis)

 অর্থাৎ শূন্যতা অনুপস্থিতদের ভালবাসার জন্য নিঃসঙ্গ হওয়ার জন্য নির্মিত। আমাকে সন্ধান করুন এই ক্ষয়কারী সন্দেহ থেকে, আমাকে মুক্ত করুন বিশ্রামে থাকা নিরর্থক হতাশা থেকেও। আমি আমার স্থান আমার সময় পূরণ করতে পারি,কিন্তু কিছুই আমার হৃদয়ে এই শূন্যতা পূরণ করতে পারে না। এই মনস্তাত্ত্বিক ব্যাপারটিই গোলাম রসুলের কাছে আত্মিক হয়ে উঠেছে। আবহমান নিজের শূন্যতাকেই বহন করে নিয়ে চলেছেন। উপলব্ধি করেছেন:

 “জীবন পরিযায়ী পাখনা

 বিরামহীন অন্য এক উড়ে চলা”

 এভাবেই অনেক বছর কেটে চলেছে। চাঁদের সিক্সটি স্ট্রিটে হেঁটে চলেছেন কবি। আকাশের নক্ষত্র বুদবুদের মতো মিলিয়ে যাচ্ছে আর কবিও জলের কিনারায় ঠিকানা খুঁজছেন। চেতনাপ্রবাহের যাপন এমন নিবিড়ভাবেই আপতিত হয়েছে যা ঈশ্বরীয় প্রবর্তনে নিঃসীম স্তব্ধতায় আমাদের পৌঁছে দেয়। কবির বোধ এমনই যে, কোনও না-লেখা বইও সহজে পড়ে নিতে পারে। মেঘের হত্যাকারীও  হয়ে উঠতে পারে। শূন্যতার নিচে শুভবুদ্ধিসম্পন্ন হয়ে দাঁড়াতেও পারে। বৃষ্টি সমুদ্র নক্ষত্র বাতাস পৃথিবী সবই মহাযজ্ঞের ক্রিয়ায় নিয়ত আবর্তিত হয়েছে। আর সব কিছুর মধ্যেই কবির চেতনাও প্রবাহিত হয়েছে। সমগ্র কাব্যটিই একটা জগৎ হয়ে উঠেছে। আর এই বোধের জগতেই শূন্যতা থেকে স্তব্ধতায় কবি তাঁর বিরাট আত্মাকে মেলে ধরেছেন। 

    তবু কি সমসাময়িক রাষ্ট্রযন্ত্রের শোষণ, সাম্প্রদায়িক রাজনীতি, ধর্মীয় মেরুকরণ, সংখ্যালঘু নির্যাতন এসব নিয়ে ভাবেননি? অবশ্যই ভেবেছেন।কবিরও মনুষ্য হৃদয় বারবার দগ্ধ হয়েছে। নিজের পরিচয় জানাতে গিয়ে বলেছেন:’আমি তিনবার খুন হয়েছিলাম’। ‘আমার অপরাধ শুধুমাত্র আমি জন্মেছি’ কবিতায় উল্লেখ করেছেন:

 “প্রথমে আমি ছিলাম সংখ্যালঘু

 দ্বিতীয়বার আমি নাস্তিক

 তৃতীয়বারে কমিউনিস্ট

 তারপর থেকে যতবার আমি জন্মেছি ফ্যাসিস্টরা আমাকে ভয় দেখিয়েছে

 ওদের বিরুদ্ধে কিছু বলতে গেলে বন্ধুরা আমাকে কিছু মৌলবাদের প্রসঙ্গ তুলেছে

 কিন্তু ওরা জানে না সব ধর্মই হল রাষ্ট্রের ভিত্তিপ্রস্তর

 আর যে রাষ্ট্র আমাকে বারবার খুন করেছে

 আমার অপরাধ শুধুমাত্র আমি জন্মেছি

 শেষপর্যন্ত আমি রক্ত আর হাড়ের কলমে লেখা দুর্জয়

 আমাদের বিজয় ওই বিশাল আকাশ”

    এই রক্ত আর হাড়ের কলমে লিখেই কবি দুর্জয় হয়ে উঠেছেন। মৌলবাদ প্রসঙ্গকে দূরে সরিয়ে চিরন্তন প্রাণ-ঐশ্বর্যের ব্যাপ্তিতে বিশাল মহাকাশকেই বিজয়ক্ষেত্র করে তুলেছেন। আর তখনই জাত-ধর্ম-সম্প্রদায় নয়, এমনকী সংখ্যালঘু-নাস্তিক-কমিউনিস্টও নয়, কবি একটি পৃথিবী হয়ে উঠেছেন, আর সেই পৃথিবীর নাম মহাপৃথিবী। আর কবিও হয়েছেন মহাজীবনের অধিকারী।

 শূন্য যেখানে শূন্য নয় :গোলাম রসুল,কচিপাতা প্রকাশন, পানাগড় বাজার, পশ্চিম বর্ধমান, প্রচ্ছদ:অর্পণ, মূল্য:১৭০ টাকা 

#storyandarticle

Leave a Comment

Your email address will not be published. Required fields are marked *