শিরোনাম : #মনুষ্যত্ব_বিসর্জিত
কলমে : কেয়া চক্রবর্তী
তারিখ : ২৯.১১.২১
আকারে প্রকারে মানুষ হলেই,
হয় কি কেউ আর মানুষ?
যদি না থাকে তাদের
কোনোই মান আর হুঁশ?
মানুষ হয়েও যদি থাকেনা
তাদের মনুষ্যত্ব, কোনোই
পশুর থেকে তারা উন্নত
হতে পারে কি প্রকারেই?
কিছু প্রশ্ন এমনই সব
মনের মাঝে করে আনাগোনা,
যখন দেখি আদতে পৃথিবীর শ্রেষ্ঠ জীব,
কিন্তু মনে পুষে রেখেছে যত আবর্জনা।।
যারা করে একটু ভালো আচরণ,
পশুরা তাদের জন্য দিতে পারে প্রাণ,
মানুষ অতি ঘৃণ্য জীব বটে,
উপকারীর উপকার মিটলে দেয় না কোনোই মান।।
যখন দেখি সদ্যোজাত শিশুকে,
সারমেয় রেখেছে আগলে,
কন্যাসন্তান হয়েছে তাই,
মানুষ আস্তাকুঁড়েতে দিয়েছে ফেলে।
প্রভুভক্তির পরাকাষ্ঠায় পশুরা,
রয়েছে আজও এগিয়ে,
মানুষই কেবল, প্রয়োজন মিটলে
বদলে যায় একনিমেষেই।।
বদলে গিয়ে মানুষ আজ
পশুর পর্যায়ে নিয়ে গেছে,
মনুষ্যত্ব দিয়ে বিসর্জন,
আজ স্বার্থকেই আপন করেছে।।
স্বার্থ শেষ হয়ে গেলে,
ফিরে দেখে না নিজের পিতামাতাকে,
যাঁদের কারণেই এই পৃথিবীর দেখেছে আলো,
বয়স হলেই, অযত্ন, আর অবহেলা করে তাঁকে।।
নিজের কাজ করতে হলে
তোমার পা চাটতেও পারে,
কাজ মিটে গেলেই কে তুমি?
তোমায় চিনতেও কষ্ট বাড়ে।।
সম্পত্তির জন্য ভাই ভাইয়ে
করে মারামারি, লড়াই,
তারাই নাকি শ্রেষ্ঠ জীব,
করে কিসের জন্য বড়াই?
নারী, শিশু, কন্যাসন্তান
এদের মানুষ মনে করতে লজ্জা পায়,
প্রত্যাখ্যান করলে অ্যাসিড মারে ছুঁড়ে,
তুমি নাকি মানুষ, এই কি তোমার পরিচয়?
পথে ঘাটে যখন তখন করো
নারীদের অসম্মানিত,
গরিব, দুঃখী, অনাথ শিশুদের,
করো প্রতিপদে লাঞ্ছিত।।
নিজ আত্মগরিমা ভুলে করে,
এমন সব আচরণ,
মনের মাঝে প্রশ্ন জাগে,
এঁরা কি মানুষ, না হয়েছে পশু, কি তার কারণ?
©কেয়া চক্রবর্তী®