মনের মধ্যে কোন খেদ বা অতিরঞ্জন নেই যে মানুষের তার পেটের ভাত চাল হলেও এই সংসারে কারো কিছু যায় আসে না।তবুও ভোঁতার ভোলাবাবার মুখে দিব্যি প্রসন্নতার একটা আলো ঠিকরে বেরুচ্ছিল । মধুময় পাল সংসারে বিতৃষ্ণার ভাবটিকে হৃদয়ে পুরতে না পেরে এখানেই ঠাঁই নিয়েছে।নিজের নাম ধাম ঠিকানা চেপে তেলির ছেলে ঘটি ধরে অং ঢং করছে দেখে কাজল গায়েন বুধি বায়েনকে বলে –দিদি আমার যে সব কেমন কেমন ঠেকছে।নতুন ভটচাজ পুজোপালের কিছুটি জানেন না।মাঝের মন্ত্র গুলো গোঁ গাঁ করে বলে শেষে স্পষ্টস্বরে বলছে আমাদের মতো শূদ্রুরদের যেটি বলতে নেই সেটি।
—ব্যাপারটা আমিও বুঝেছি।তবে আশ্রমের ব্যাপার স্যাপার আমাদের বলা কি ঠিক হবে?
—-কী তুই কি আমাকে ব্যাপারটা চেপে যেতে বলছিস?
রাখ রাখ ঢাক ঢাক না করলে আমাদের লাভ বৈ ক্ষতি হবে না।
আসলে দেশের ধর্ম কর্মে রাজনীতির যে রঙ লেগেছে সেখান থেকে সুস্থ হয়ে জীবদশায় ফিরতে পারব বলে মনে হয় না। তবু মধুর পুজো মধুর হলেই ভালো।
তিন সন্ধ্যের পরে ।সন্ধ্যরতির পরে সবাই যখন ভজন কুটিরে জপ ধ্যানে ব্যস্ত তখন মধুর ছ মাসের পোয়াতি বউটা ছিদাম তাঁতির হাত ধরে আশ্রমের সামনে।বুধি মধুকে ভোলাবাবার পদ সেবায় জুড়ে দিয়ে মধুর ব উকে নিয়ে হাজির।মধুর পুজো
দেখার জন্য কাজলদের দল জটলা বেঁধে নির্দিষ্ট দূরত্বে থেকে দেখতে লাগল।