আমার বন্ধু মিলু আজ কলকাতা থেকে ফিরেছে। ফিরে প্রথমেই আমার সঙ্গে দেখা। আমি বললাম, মিলু কেমন আছিস মিলু বললো, ভালো আছি তুই কেমন আছিস আমি বললাম ভালো আছি তবে… কথাটা বলতে না দিয়ে মিলু আমাকে বলল জানিস আশীষের সঙ্গে দেখা। গল্প করতে করতে এলাম।
আমার শোনার আগ্রহ বেড়ে গেল প্রথমে আমি বললাম আশীষ কি বলল -সকলের খবর নিল বাদাম খেলাম তুই খেয়েছিস কিন্তু আশীষ খেয়েছে কি না? আশীষ না খেয়ে পকেটে রাখল, বললো পরে খাবো। আর কি বলল আশীষমিলি বলল, সে বলল ভেলোরে গেছিলাম আমার হার্টের অবস্থা ভালো নয়, বড়জোর আর কয়েকদিনের অতিথি আমি এই পৃথবীর। আমি বললাম, কদিন বলেছিল না কয়েকঘন্টা বলেছিলো, মনে আছে।
– না তা মনে নেই তবে তুই এরকম গোয়েন্দার মতো প্রশ্ন করছিস কেন বুঝতে পারছি না। আমি বললাম তুই আগে জল-টল খা।তারপর বলব। বন্ধু জল খেলো। তারপর বলল বল কি খবর আছে আপডেট।
আমি বললাম আশীষ আজ ভোর পাঁচটায় মরে গেছে। আমার কাকু মরে গেছেন বলে শ্মশানে যেতে পারিনি। আমার অশৌচ চলছে। বন্ধু বলল তাহলে আমি কার সঙ্গে এলাম ট্রেনে চেপে ছিলাম আমি আটটার সময় এখন দুপুর 12:00 টা। তাহলে এই সময়টা আমি বন্ধুর আশীষের সঙ্গে আসিনি।
আমি বললাম চল তো তোকে ডাক্তারের কাছে নিয়ে যাই তোর মানসিক অবস্থা কেমন উনি বলে দেবেন।
বন্ধু এলো। ডাক্তারের মুখের উপর প্রথমেই মিলু বললো আমি কি পাগল হয়ে গেছি ডাক্তারবাবু?
ডাক্তার বাবু বললেন, পাগল রা সকলকে পাগল ভাবে নিজেকে ছাড়া। তুমি পাগল হলে এই প্রশ্নটা করতে পারতেনা। ডাক্তারবাবু আরো বললেন, ‘আমি কি আমি কি পাগল হয়ে গেছি’ এ প্রশ্ন যিনি নিজেই নিজেকে করতে পারেন মনোবিদদের মতে তিনি ততক্ষণ পাগল নন। বন্ধু বলল পুরো ঘটনাটা ডাক্তারবাবুকে।
তিনি পুরো ঘটনাটা শুনে বললেন পৃথিবীতে এমন কিছু বিষয় এখনো আছে যার কোনো ব্যাখ্যা নেই। তর্ক পরে হবে। সব রহস্যের সমাধান হয় না। ভগবানের অস্তিত্ব থাকলে ভূতের অস্তিত্ব থাকা অসম্ভব কিছু নয়। আলোকে তো অন্ধকারে চিনতে পারি বেশি বারমুডা ট্রায়াঙ্গেলের কুলকিনারা করতে পেরেছে বিজ্ঞান? মহাকাশের কতটুকু জানতে পেরেছে মানুষ?
মিলুকে নিয়ে আমরা চলে আমি চলে গেলাম গ্রামে । আমার কাকুর শ্রাদ্ধ আগামীকাল। সারাদিন বাড়িতে।
আত্মা প্রকট হয় তার পরের রাতে। বললেন জেঠু,তোমার কাকু মরে গেছে। তাই বাড়ির দোষ হয়েছে। কাটাতে হবে। তান্ত্রিকের ফর্দমত কিছু কিনে আমরা পরের দিন চলে গেলাম শ্মশানের কালী তলায়।সেখানে তান্ত্রিক জেঠু সাধনা শুরু করলেন।
এখন রাত দশটা বাজতে চলেছে আগের দিন থেকে একটা মড়ার মাথা আর্জেন্ট রাখা ছিল। মড়ার মাথার খুলি খেতে শুরু করল। কাটারি দিয়ে সেই জিওল মাছের টুকরো। তান্ত্রিক কাটারি করে কাটছেন মাছ। আর মড়ার মাথাকে দিচ্ছেন যেন মানুষের মতো খাচ্ছে। সেইমড়ার মাথা কাঁচা মাছ কচকচ করে খাচ্ছে। আমরা বড় ভয় পেলাম।
তান্ত্রিক জেঠু বললেন ভয় নেই আমি আছি। তবে আত্মা যখন বাড়ি ছাড়বে তোমাদের ছোটখাটো একটা অনিষ্ট হবে। বাড়ি এসে শুনলাম কথা ঠিক, আমাদের বড় আম গাছের ডাল ভেঙে টালির চাল ভেঙে পড়েছে।
আমার বাবা বললেন, যখন ভয়ের অনুভূতি প্রথম টের পাচ্ছি, মনে হচ্ছে বুক ধড়ফড় বেড়ে গেছে, অস্থির লাগছে, বমি বমি ভাব হচ্ছে, মুখ শুকিয়ে যাচ্ছে।জেঠু বললেন, দেরি না করে দ্রুত ব্রিদিং রিলাক্সেশন করুন। নাক দিয়ে ধীরে ধীরে গভীর শ্বাস নিন, বুকের ভেতর সমস্ত খালি জায়গা বাতাসে ভরে ফেলুন, দমটা অল্পক্ষণ আটকে রাখুন, তারপর মুখ দিয়ে ধীরে ধীরে শ্বাস ছাড়ুন।
এভাবে পর পর তিনবার করুন।ভূতের ভয় থেকে বেড়িয়ে আসতে ভূত এবং ভয় নিয়ে চিন্তা করা বন্ধ করুন। নিজেকে প্রশ্ন করুন, সত্যি ভূত বলে কিছু রয়েছে কি না? না কি আপনি অজানা কোনো কারণে ভয় পাচ্ছেন?
আপনি বা আপনার পরিচিত কেউ কখনো ভূত দেখেছে কি না? ক্ষতি হলে তার কী ধরনের ক্ষতি হয়েছে? উত্তরগুলো খুঁজে নিয়ে ভাবুন আদৌ ভয় পাওয়ার কোনো কারণ রয়েছে কি না।এসব নিয়ে চিন্তা করব আমরা।
বাবা বললেন আপনি তো ডাক্তারের মত কথা বলছেন। ভূত, আত্মা এই বিষয়গুলোকে অতিরঞ্জিত করে উপস্থাপন করা হয়। ভয়ের সিনেমা, নাটক আমাদের মধ্যে ভূত ও আত্মা সম্পর্কে ভয় তৈরির সাহায্য করে।
জেঠু বললেন, আমরাও প্রথামত চিকিৎসা করি।তারপর যেখানে এর শেষ তখন তন্ত্র শুরু। তাই যদি এ ধরনের সিনেমা, নাটক দেখে নিজেকে নিয়ন্ত্রণ করতে না পারেন তবে এই ধরনের নাটক, সিনেমা, গল্পের বই এড়িয়ে চলুন।ভয়কে জয় করতে ভয়ের বিষয়টি সরাসরি মোকাবিলা করতে হয়।
আপনি হয়তো ভূতের ভয়ে রাতে একা থাকতে ভয় পান, ঘরে আলো জ্বালিয়ে রাখেন- এ পরিস্থিতি থেকে বের হতে রাতে একা থাকা শুরু করুন। ভাবুন, পৃথিবীতে কত মানুষ একা থাকে। ভূত তাদের আক্রমণ না করলে আপনাকে করবে কেন? আপনার সঙ্গে তো ভূতের বিশেষ কোনো শত্রুতা নেই।
প্রথমে আলো জ্বালিয়ে একা ঘরে থাকার অভ্যাস করুন। প্রথমে কষ্ট হবে তারপরও চেষ্টা করুন। প্রথমদিন পারলে নিজেকে নিজে ধন্যবাদ দিন, ছোট পুরস্কার দিন। এভাবে একা থাকায় অভ্যস্ত হলে একা ঘরে আলো নিভিয়ে থাকার পদক্ষেপ নিন।
এভাবে ধীরে ধীরে ভয় কাটিয়ে ওঠার চেষ্টা করুন ভয় থেকে মনটাকে অন্য দিকে সরিয়ে দিতে গান শোনা, টিভি দেখা, গল্পের বই পড়ার মতো নিজের ভালোলাগার কাজগুলো করুন। জানালার দিকে তাকালে ভয় হলে জানালা খুলে রাখুন। জানালার কাছে গিয়ে দাঁড়িয়ে বাইরে দেখুন। জানালার দিকে চোখ পড়লে চোখ বন্ধ না করে তাকান।
কিন্তু বার বার তাকিয়ে কিছু রয়েছে কি না সেটি চেক করা থেকে বিরত থাকুন।নিজেকে বলুন যতবার শব্দ শুনে বা আওয়াজে ভয় পেয়েছি, বা বাইরে যা দেখেছি তাকে ভুলভাবে ব্যাখ্যা করেছি।ভূত নিয়ে নানা আশঙ্কার কথা মনে হলে ভাবুন যা ভাবছেন তা যদি সত্যি হয় তবে কি হবে?
সবচেয়ে খারাপ কী হতে পারে? এমন হবার আশঙ্কা কতটুকু?যখন ভয় পাচ্ছেন তখন যা ভেবে ভয় পাচ্ছেন তা কাগজে লিখে ফেলুন, লেখা শেষে কাগজ কুটিকুটি করে ছিঁড়ে ফেলুন বা পুড়িয়ে ফেলুন।ভাবুন ভূত বা আত্মা আপনার মতোই। তাদের ভয় পাওয়ার কিছু নেই।
কোনো প্রমাণ নেই যে ভূত কারো কখনো ক্ষতি করেছে।অনেক সময় ছোটবেলা থেকে ভূত সম্পর্কে শোনা গল্প আমাদের মনে ভূত সম্পর্কে একটি ভয়ঙ্কর ছবি তৈরি করে। এতে আমাদের মাঝে ভয় তৈরি হয়। অনেক সময় বড় হওয়ার পরও তা থেকে যায়। তাই বাচ্চাদের সঙ্গে এ ধরনের গল্প না করার চেষ্টা করুন।
ভয় থেকে বেড়িয়ে আসার জন্য নিজেকে যথেষ্ট সময় দিন।নিজের আগের সফলতার কথা চিন্তা করুন। মনে করুন আগে কঠিন সমস্যার মুখোমুখি হওয়ার পর কী কী পদক্ষেপ নিয়েছিলেন, কীভাবে বের হয়ে এসেছিলেন।
এটা আপনার মনোবল বাড়াতে সাহায্য করবে।নিজেকে বলুন, ‘ভয়ের কাছে পরাজিত হবো না। ভয় আসতেই পারে। এটা স্বাভাবিক। আমি জানি ভয়টা অমূলক। তাই ভয় পাবার কিছু নেই। বরং ভয় দূর করতে যা যা করা দরকার করব।
ভূত নিয়ে যেসব কমেডি সিনেমা রয়েছে সেগুলো দেখুন। ভয়ের সময় মনে করার চেষ্টা করুন ভয়ের সিনেমাগুলোতে ভূত কী কী করার চেষ্টা করে এবং প্রাণ খুলে হাসুন।কোনো বিষয় নিয়ে মজা করলে সে বিষয়ে ভয় দূর করা সম্ভব। ভূত বিষয়ে অন্যের সঙ্গে বেশি বেশি গল্প বলুন, মজা করুন।অনেক সময় ভূতের ভয়ের সঙ্গে মানসিক অসুস্থতাও যুক্ত থাকতে পারে।
সেখানে ছোটখাট পরামর্শ মেনে চললেই তা দূর করা সম্ভব হবে না। তাই নিজে নিজে ভূতের ভয় দূর করতে না পারলে মনো-চিকিৎসক, চিকিৎসা মনোবিজ্ঞানীর সাহায্য নিন।ভূতের ভয়টা যেহেতু রাতেই হয়, তাই ঘুমাতে যাওয়ার আগে শিথিল থাকতে পারেন এমন কিছু করুন।
ঘুমের সময় অল্প আলো জ্বালিয়ে ঘুমান। সিলিং বা জানালায় ঝুলন্ত কিছু থাকলে তা সরিয়ে ফেলুন, যাতে রাতের বেলা এগুলো থেকে ভয় না তৈরি হয়।ভূত আসলে কী হবে?আমি এভাবেই ভয় কাটিয়েছি।এখন ভয় আমাকে ভয় পায়। বাবা বললেন, এই ভয় থেকে পরিত্রাণ পাওয়ার জন্য আপনার শরণাপন্ন হলাম আমরা।
জেঠু বললেন,ভাল করেছেন। প্রয়োজনে পাবেন। আমি সিদ্ধ তান্ত্রিক। আমার কাছে পেঁচো কানাভুলো র মত পিশাচরা পাত্তা পায় না। মিলু বললো বাপরে বাপ। কি কুক্ষণে বেরিয়েছিলাম কলকাতা থেকে। বেরিয়ে দু দুটো ভূতের পাল্লায় পড়ে জীবন একেবারে নাজেহাল।
মিলুর মেসবাড়িতে একমাস পরে বেড়াতে গেলাম মেনু আরো অনেকে সেখানে থাকে আসিস এখানে থাকতো পরে অন্য জায়গায় দোকান করেছে ঝুলু বলল জানিস কয়েকদিন ধরেই আমাদের এখানে একটা উপদ্রব শুরু হয়েছে কেউ একজন মশারী টাঙ্গানো পরে গভীর রাতে মশারী ছেড়ে দিচ্ছে আবার দড়ি বেঁধে সকলে পাহারা দিচ্ছি কিন্তু ঘুমিয়ে পড়লে আবার দড়ির খুলে দিচ্ছে তো মহা মুস্কিল হলেও গতকাল আমাদের রান্না করা খাবার উল্টে পড়েছিল তাহলে মেম্বাররা কেউ নিশ্চয়ই করবে না ।
কারণ খাবার তো সবাই সবার খাবার খেতে পাবে না তাহলে কেউ নিজের খাবার ফেলে দেবে না আমি বললাম তাহলে আবার সেই আমাদের পুরুষতান্ত্রিক জেঠুকে ডাকা হোক তিনি নিশ্চয় কিছু একটা ব্যবস্থা করবেন তাকে খবর দেওয়া হল তিনি আসছেন ট্যাক্সি ভাড়া করে খরচ আমরাই দেব ।
কিন্তু তিনি যখন মেসবাড়িতে এলেন তখন বিকেল চারটে বেজে গেছে আমি বললাম যে তুই এত দেরি হল কেন যেতে বলছে না রে বাবা আর বোলো না ভৌতিক কোন কাজের সমাধান করতে গেলেই আমাকে সমস্যায় পড়তে হয় মাঝপথে টায়ার পাংচার হয়ে গেল তারপর আবার ড্রাইভার এর শরীর খারাপ তাই বলছে আমি তো ভালোই ছিলাম ।
কিন্তু রাস্তায় এরকম হচ্ছে কেন তারপর ড্রাইভারকে ডাক্তারের কাছে নিয়ে যাওয়া হলো দেরি হয়ে গেল এই জন্যই আমি দেখলাম তান্ত্রিক মন্ত্র বলেছেন কথার ফাঁকে ফাঁকে সারারাত্রি নিমন্ত্রণ বাড়িতে ঢুকেই তিনি বললেন এই বাড়িতে ভৌতিক একটা ব্যাপার আছে ।
তিনি বললেন দেখো তো তোমাদের ঘরের অন্য তাকে কোনরকম গহনা আছে কিনা খুঁজে খুঁজে পাওয়া গেল একটা পিতলের আংটি মিনু বলল এটা তো আসি শান্তি ও যখন ইমেজ বাড়িতে থাকত তখন বেকার ছিল পিতলের আংটি টা ওর খুব প্রিয় ছিল হয়তো খুঁজে বেড়ায় সে যুবক ছিল তার কোনো ইচ্ছে পূরণ করতে পারেনি এই আংটি তার খুব প্রিয় ছিল আর সে ভালোবাসতো যে মেয়েটিকে তাকে সবাই আমরা চিনি ঝুনু বলল সমরে বোন সুধা।
সুদা তো আশিস মরার কয়েকদিন পরেই বিয়ে করে কানপুর চলে গেল পুরুষ বললেন তোমরা শোনোনি সুদা গতকাল কানপুরে রোগে ভুগে ভুগে মরে গেছে তান্ত্রিক বলল এই সুযোগে আমি এখানে একটা হোম যজ্ঞ করব তাহলে আসিস আত্মা এই আংটি নিয়ে উধাও হবে হয়তো মিলিত হবে শুধু আত্মার সঙ্গে সেখানে তো দেহের কোন ব্যাপার নেই শুধু আত্মার মিলন তারপর তান্ত্রিক শুরু করলেন যোগ্য সবাইকে বললেন তোমরা সবাই বস এখানে কেউ নড়াচড়া করবে না ।
তাহলে সাধনার ব্যাঘাত ঘটবে প্রায় একঘন্টা আমরা সবাই শান্তি প্রার্থনা করছিলাম আশিসের আত্মার জন্য তবে তার পরের দিন থেকে মেসবাড়িতে আর কোন উপদ্রব হয়নি আমাদের বন্ধুদের গ্রুপ এখনো আছে আমরা সময় পেলে একসঙ্গে বেড়াতে যাই খাওয়া-দাওয়াও করি রাতে মেসবাড়িতে। ভূতের গল্প শোনেনি বা ভয় পায়নি এমন মানুষের সংখ্যা কমই আছে।
আমার নিজের জীবনে দেখা একটা গল্প তোমাদের বলতে ইচ্ছে করছে। আমি তখন বিল্বেশ্বর উচ্চ বিদ্যালয়ের ছাত্র। আমার বন্ধু ছিল অনেক। তার মধ্যে সর্দার ছিলো বিশু।
এখন যার কথা বলবো তার নাম অলক।বাড়ি তার কোমডাঙ্গা। স্কুলে যত সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান হতো তার প্রধান দায়ীত্বে থাকত আমাদের দলের প্রধান বিশু। আর কান টানলেই মাথা আসে। হাত বাড়ালেই বন্ধুদল হাজির। বিশু মানেই আমরা সবাই। আমাদের বন্ধুরা এই পরোপকারী নির্ভিক নেতার ভক্ত।
স্কুলে ঠিক হলো এবার রবীন্দ্র জয়ন্তী অনুষ্ঠান হবে সন্ধ্যাবেলায়। নাটক,আবৃত্তি,গান সব হবে। হষ্টেলের ছেলেরা বললো,বিশুদা তোমাকে থাকতে হবেই।বিশু বন্ধুদের কথা ভেবে বললো,আমাদের বাড়ি অমেকদূর।প্রায় চার ক্রোশ দূরে।হেঁটে আমরা যাওয়া আসা করিদিনেরবেলা বলে সম্ভব।মাষ্টারমশাই বললেন,বিশু তুমি আর তোমার দলবল থাকবে।
তোমাদের ছাড়া অনুষ্ঠান অসম্পূর্ণ থেকে যাবে। প্রয়োজনে রাতটা হষ্টেলে কাটাবে।বিশু বললো,তাই হবে স্যর। অসুবিধা হবে না। তবে রাতে থাকা যাবে না।—-কেন? কি এমন রাজকাজ আছে তোমার?
—-স্যর,আমার গ্রামের ডোম পাড়ার তিন বুড়ির কাছে আমি রাতে থাকি। তাদের সুবিধার জন্য রাতে আমি কোথাও থাকি না। ।
