তোমার সাথে আমার পরিচয় সেও ত কম রোমান্টিক নয়।
যেতে যেতে পথে, হঠাৎ চোখ পড়েছিল তোমার বাড়ির খোলা বাতায়নে।
তুমি দাঁডিয়ে ছিলে জানালার শিক ধরে হয়ত বা কারো পথ চেয়ে।
তোমার মুখে ছড়িয়েছিল অদ্ভুত অস্ফুট মায়াময় স্নিগ্ধ হাসির রেখা।
জ্যোতস্নার পূর্ণ চন্দ্রমার শোভাও যেন সেই সৌন্দর্যের কাছে ম্লান হয়ে যায়।
তোমার পরনের সেই দুধেআলতা রঙের শাড়ী খানা তোমায়
জড়িয়ে ছিল পরম স্নেহের পরশে।
পডন্ত বিকালের মৃদু আলো এসে পড়ছিল তোমার স্নিগ্ধ মুখে।
তোমার খোলা অলোকদাম বারবার উড়ে এসে পড়ছিল তোমার মুখের সামনে,
তুমি সযত্নে তাদের সরিয়ে দিচ্ছিলে মুখের উপর থেকে ।
যেন জ্যোতস্না ভরা আকাশে চন্দ্রমার সামনে কালো মেঘ এসে পড়ছিল
আর পরক্ষণে মৃদুমন্দ বাতাস তাদের ঠেলে সরিয়ে দিচ্ছিল।
তোমার চোখের পলক বুজে যেতে চাইছিল সেই বাতাসের স্পর্শ আঘাতে,
ঠিক যেমনভাবে সন্ধ্যার সমুদ্রের ঢেউ আলতো বাতাসে পাড়ে আলপনা আঁকে।
আলোর তীব্রতা কমছিল একটু একটু করে
আর তোমার রূপের আভা যেন তার সাথে পাল্লা দিয়ে বাড়ছিল।
বাতায়নে তোমার সেই দাঁড়িয়ে থাকা আমাকেও এক লহমায়
স্হির করে দিয়েছিল মূর্তির মত।
হঠাৎ তুমি সেই হাসিমাখা মুখে আড়চোখে তাকালে আমার দিকে,
মনে হল যেন আমিই তোমার স্বপ্নের সেই রাজকুমার,
যার পথ পানে চেয়ে তুমি দাঁডিয়ে আছ অনন্তকালের অপেক্ষায়।
জানি না কত সময় স্হানুবত দাঁড়িয়ে ছিলাম নিজের
অজান্তে তোমার মুখপানে চেয়ে-
হঠাৎ তুমি বাতায়ণ থেকে মুখ ফিরিয়ে দ্রুত সরে গেলে ,
#
মনে হল হঠাৎ ঘুমের মধ্যে দেখতে থাকা একটা সুন্দর
স্বপ্নের যবনিকাপাত হল ভোরের শীতল দমকা বাতাসে।