–
[post-views]
—
বাঙালির বারো মাসে তেরো পার্বনের সংগে আরো একটি সংযোজন বড়দিন। বড়দিনের উৎসব এখন আর কোনো বিশেষ দেশ, জাতি বা ধর্মের গন্ডীর মধ্যে আবদ্ধ নেই। মূলত, মানবপুত্র পরিত্রাতা যিশুখ্রীষ্টের আবির্ভাবকে কেন্দ্র করেই এই উৎসবের সূচনা। কালক্রমে এই উৎসব আন্তর্জাতিক রূপ নিয়েছে। ঊনবিংশ শতকের মধ্যভাগ থেকে বাঙালিরাও এই উৎসবে সামিল হয়েছে। সাদরে গ্রহণ করে এই উৎসবকে তাদের সংস্কৃতির অঙ্গ করে নিতে পেরেছে।
বড়দিনের উৎসবের প্রধান আকর্ষণ কিন্তু কেক। কেক-এর অস্তিত্বকে বড়দিনের উৎসব থেকে এখন বুঝি আর চেষ্টা করলেও আলাদা করা যাবে না। বড়দিন মানেই কেক। বড়দিনের কেক।
অবশ্য এমনিতেও কেক বছরের সবক’টা মাসেই দোকানে কিনতে পাওয়া যাবে। এবং যখন ইচ্ছে এই মুখরোচক খাবারটি আমরা কিনে খেতেও পারি। কিন্তু বড়দিনের কেক? সে এক সম্পূর্ণ অন্য জিনিস। অনন্য সাধারণ তার স্বাদ ও অভিনবত্ব!
বড়দিন উপলক্ষে প্রতিবারই কেক প্রস্তুতকারীরা রীতিমতো চমক সৃষ্টি করে থাকেন। বড়দিনের কেক বলে কথা! সাধারণ কেক-এর তুলনায় কি আকৃতিতে, কি স্বাদে বড়দিনের কেককে হতে হবে বৈচিত্র্যময় ও সুস্বাদু! প্রাণপণে সেই চেষ্টাই করে থাকেন কেক প্রস্তুতকারীরা।
কুয়ালালামপুরের হিল্টন হোটেলে বড়দিন উপলক্ষে যে কেকটি তৈরি হয় সারাবিশ্বে সত্যিই তা নজিরবিহীন। এটি পৃথিবীর বৃহত্তম কেকও বটে। লম্বায় একশো এগারো মিটার। এর রেসিপিও তেমনি চমকদার। হিল্টন হোটেলের পাচকরা এহেন দৈত্যাকৃতি কেকটি তৈরি করেন মাত্র চারহাজারটি ডিম, একশো পাঁচ কিলোগ্রাম চিনি, দশ কিলোগ্রাম ময়দা, তেত্রিশ কিলোগ্রাম আটা, সাড়ে তিনশো কিলোগ্রাম প্যাস্ট্রি-ক্রীম এবং আটশোটি আনারস দিয়ে।
এইরকম অভিনব উপাদেয় একটি কেক আস্ত খেয়ে উদরস্থ করার মতো মানুষ আজও এই ধরাধামে খুঁজে পাওয়া যায়নি। যাবেও না। তবে কেউ যদি মনে করেন, সোজা কুয়ালালামপুর গিয়ে একবার চেষ্টা করে দেখতে পারেন। অবশ্য যদি সেরকম মনের জোর থাকে!
–
–
মুক্তি দাশ
১৩৫, অঘোর সরণী
রাজপুর
কলকাতা-৭০০১৪৯